সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭

সুপার জ্যোতি চাকমাকে আদালতে প্রেরণ: আটকের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানদের প্রতিবাদ সমাবেশ


20170102_154154

লক্ষ্ণীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপিডিএফ নেতা সুপার জ্যোতি চাকমাকে অস্ত্র আইনে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্ণীছড়ি থানায় অস্ত্র আইনে ১৯৭৮ সালের ১৯এর (ক)ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলা নং ০১, তারিখ ০২-০১-২০১৭। রবিবার দিনগত রাত ১ টায় সরকারী বাসভবন থেকে ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ আমেরিকার তৈরি ১ টি ফাইভ স্টার পিস্তলসহ গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে সুপার জ্যোতি চাকমাকে আটকের প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ৩ টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে জেলার উপজেলা ্ও ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পেরাছড়া ইউপি মেম্বার সোনামনি চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত  সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, দিঘীনালা উপজেলা চেয়ারম্যান নবকোমল চাকমা, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, পেড়াছড়া ইউপি চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে অস্ত্র রেখে নিরাপত্তা বাহিনী সুপার জ্যোতি চাকমাকে আটক করেছে। তারা অতি দ্রুত সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তি দাবী করেন।

এদিকে ইউপিডিএফ প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংগঠক সচীব চাকমা এ আটকের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মিথ্যা অভিযোগ এনে সুপার জ্যোতি চাকমাকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিপীড়ন চালিয়ে পৃথিবীর ন্যায়সঙ্গত কোন আন্দোলন দমন করা যায়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও গণহত্যার পর গণহত্যা, গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়েও জুম্ম জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না।

[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]