পার্বত্য চট্টগ্রামে যত সমস্যা আছে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা। সেই সমস্যা নিরসনে সরকার বেশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করেছে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬’ সরকারের একান্ত আন্তরিকতারই ফসল। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী এই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০১৬’-কে স্বাগত জানালেও উক্ত অধ্যাদেশের বেশ কিছু ধারা নিয়ে তারা শঙ্কিত।কারণ, বাঙালিদের ধারণা এই কমিশন গঠন করে সরকার পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার সদিচ্ছা দেখালেও যাদের দাবির প্রেক্ষিতে এগুলো করা হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু ভিন্ন। এ বিষয়ে গত ৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘‘১৯৮৭ সালে পার্বত্যাঞ্চলের এসব দেশদ্রোহীরা সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলো পুরো বাংলাদেশ দু‘টি ভাগে ভাগ করার। এক ভাগের নাম বাংলাদেশ- যার রাজধানী ঢাকা। আর এক ভাগের নাম হবে ‘জুম্মল্যান্ড’- যার রাজধানী রাংগামাটি। এই দু’টি অংশ মিলে একটি ফেডারেল সরকার হবে। তখন আমরা রাজি হইনি। কিন্তু বর্তমান এই ভূমি আইন বাস্তবায়নের ফলে দেশদ্রোহীদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে’।
ভুমি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ভুমি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
সংবিধান ও আইনের বাইরে পার্বত্য ভূমি কমিশনের কোনও কাজ হবে না: চেয়ারম্যান
সংবিধান ও আইনের বাইরে ভূমি কমিশনে কোনও কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন পার্বত্য ভূমি বিরোধ কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে আমার কাছে দিয়েছে। আমি সেগুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠিয়ে দেবো। সরকার আইন করে আমাদের হাতে বুঝিয়ে দিলে আমরা সেভাবে কাজ করবো।’ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ভূমি কমিশনের সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিভিত্তিক সংগঠন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের বিরোধিতা আর ঘেরাওয়ের মধ্যেই নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর রাঙামাটিতে শুরু হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা। সোমবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশাসনের আশ্বাসে পার্বত্য ভূমি কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি তুলে নিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ ও ঘেরা কর্মসূচি তুলে নিয়েছে রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের। তাদের বিরোধিতার কারণেই নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা শুরু হয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কমিশনের সভা শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৮টা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা সভাস্থলের প্রবেশপথে অবস্থান নেয়। প্রধান সড়কটি অবরুদ্ধ থাকায় রাঙামাটি শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যেই কমিশন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। তাদের দাবি-দাওয়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো এবং দেশের সংবিধান ও আইনের বাইরে কিছু না করার ঘোষণা দেয়। তার আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে চলে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেয়।
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য ভূমি কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি : স্মারকলিপি পেশ
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের শুনানিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়।কমিশনের একপেশে শুনানি বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন ও প্রধানমস্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শুনানির প্রতিবাদে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়িস্থ ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়।
বান্দরবানে পার্বত্য ভূমি কমিশন সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬” সংশোধনের দাবিতে জেলা প্রশাসক,বান্দরবান পার্বত্য জেলার মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপিড়িত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করার প্রত্যায়ে নব গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক চিন্তা,চেতনাকে ধারন করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী যে সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন পার্বত্য শান্তি চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ল্যান্ড কমিশন গঠনের লক্ষ্যে যে আইন প্রণয়ন করা হয় যা ২০১৬ সালে চুড়ান্ত অনুমোদন পায়।
বাংলাদেশেও নাগরিক উৎখাত 'পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন'
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন -২০০১ এর সংশোধনী বিল ২০১৬ সালে পাস হয়। এই কমিশন নিখুঁত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী বিতারনের নীলনকশা তৈরী করেছে। বাস্তুহারা মানুষের আর্তনাদ কতটা কষ্টের তা ঐ ব্যাক্তি ছাড়া কেউ জানে না। একটা স্বাধীন দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বাচতে চায়। কেউই চায়না তার অধিকার খর্ব হউক। সেটা ভারতের বির্তকিত নাগরিক আইন হউক কিংবা বাংলাদেশের পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন! পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রের যে বীজ বোপণ হচ্ছে তা প্রতিহত করা সকল সচেতন নাগরিকের কর্তব্য! সম্প্রতি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে বারবার আলোচনা পর সর্বশেষ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং এই কমিশন লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে! মূলত একটা গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে এ কমিশন কাজ করছে ! পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন একটা সম্প্রদায়কে বেশি সুবিধা দিয়ে অন্য সম্প্রদায়, বিশেষ করে বাঙালিদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। যেখানে বৈষম্য আছে, সেখানে কখনো শান্তি আসতে পারে না। সংশোধিত আইনে ভূমি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের হাতে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টি করতে বাধ্য।
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯
সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ভূমি কমিশন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসুচী
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ ও সংশোধনী আইন ২০১৬ এর অধীনে শুনানী বন্ধ রাখা এবং অবিলম্বে আইন সংশোধনের দাবিতে সোমবার ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। রবিবার বিকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে কাল সোমবার তিন পার্বত্য জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান এবং ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের কার্যালয় ও সভার স্থল ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ এর সংশোধিত আইন অনুযায়ী (২৩) ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে প্রথমবারের মত কমিশনের শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।
ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় উত্তপ্ত পাহাড়, শঙ্কিত বাঙালীদের কাল কমিশনের শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা
কাল সোমবার ২৩ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জমা পড়া প্রায় ২২ হাজার আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের শুনানি শুরুর কর্মসূচী রয়েছে। ভূমি বিরোধ নিয়ে নিষ্পত্তি কমিশনের এ শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পাহাড়ে বাঙালীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনসমূহের অন্যতম পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি কমিশনের আগামীকালের শুনানি শুরুর বিষয়টি একপেশে বলে দাবি উঠেছে। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বর, বনরূপা ও বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে বাঙালীদের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ নবেম্বর রাঙ্গামাটির সার্কিট হাউসে এক বৈঠক অনুষ্ঠানের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল হক জানান দেন যে, আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর বিরোধ নিয়ে আবেদনসমূহের শুনানি শুরু হবে। বাঙালীদের পক্ষে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ৫ সদস্যের এ কমিশনে বাঙালীদের কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। সুপ্রীমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এ বিচারপতি চেয়ারম্যান, সদস্য আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয়), জেলা পরিষদসমূহের চেয়ারম্যান (উপজাতীয়) সংশ্লিষ্ট তিন সার্কেলের তিন চীফ (উপজাতীয়)। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার বা তার প্রতিনিধি থাকবেন। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগের অধিকার লাভ করবেন।
ভূমির অধিকার নিয়ে ফের উত্তপ্ত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম

গত ২৭ নভেম্বর রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে এক বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে কমিশনের শুনানি করা হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বাঙালিদের উপজাতীয় প্রাধান্যবিশিষ্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং কমিশন আইনের উপর আস্থা রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ভূমি কমিশনে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই। চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত) এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বা তার প্রতিনিধি (সরকারের প্রতিনিধি, যিনি বাঙালি বা উপজাতীয় যে কেউ হতে পারেন)। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ লাভের অধিকারী।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯
পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, খাগড়াছড়ি
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের আগামী ২৩ ডিসেম্বরের শুনানি একপেশে দাবি করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা ভূমি কমিশন আইন বাতিল করে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পতি কমিশনের পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের সংখানুপাতে নেতৃত্ব নিয়োগের দাবি জানান। তারা বলেন, সংবিধান বিরোধী ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন জরিপের মাধ্যমে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈষ্যমমূলক আইন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইঞা, যুগ্ন আহবায়ক সাবেক মেয়র আলমগির কবির, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ, আনিছুজ জামান ডালিম, নারী নেত্রী সালমা আহম্মেদ মৌ, আসাদুল্লাহ আসাদ, মাইন উদ্দিন।
পাহাড়ে ভূমি কমিশন আইন নিয়ে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, রাঙ্গামাটি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ শঙ্কিত। এই আইনে পাহাড় থেকে কোন বাঙ্গালি প্রতিনিধি না থাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষের সাথে আলোচনা না করে ভূমি কমিশন একপেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এভাবে কমিশনের কার্যক্রম চলতে থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা চত্ত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন করে কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে এবং কমিশন আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত কমিশনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে, তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।
পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দারা ভূমিহীন হয়ে পড়বে : চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, বান্দরবন
পার্বত্য ভূমি কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ ও বাঙালি প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বান্দরবানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এতে অংশ নেয়।মানবন্ধনে কাজী মুজিবুর রহমান বলেছেন- ভূমি কমিশন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে। বাঙালি প্রতিনিধিত্ব না থাকায় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে আইনটি অসাংবিধানিক।
পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানী : পাহাড়ীরা স্বাগত জানালেও উদ্বিগ্ন বাঙালীরা
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জমা পড়া প্রায় ২২ হাজার আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাই করে শুনানীর সিদ্ধান্তে পাহাড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ শুনানীকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে এ শুনানী শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। পাহাড়ী নেতৃবৃন্দ এ শুনানীর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিরাজিত ভূমি সমস্যার সমাধানে আশাবাদী হলেও বাঙালি সম্প্রদায় বৈষম্যমূলক ভূমি কমিশনের আইনে শুনানী হলে তাদের বিশাল জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। ইতিমধ্যে শুনানীর প্রতিবাদে ২১ ডিসেম্বর(আজ) তিন পার্বত্য জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচী দিয়েছে। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির আলোকে প্রণীত হয় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। চুক্তির আলোকে হয়নি এমন অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শুরু থেকে এ আইনের বিরোধিতা ও কমিশন বর্জন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে সন্তু লারমার সাথে সুর মিলিয়ে সার্কেল চিফরাও ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক বর্জন শুরু করলে কমিশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। অপরদিকে আইনটি বৈষ্যমমূলক ও সংবিধান বিরোধী এমন দাবী করে বাঙালি সংগঠনগুলোও হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচী দিয়ে আইনটি সংশোধনের দাবী জানিয়ে আসছে।
শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯
পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন নিয়ে বাঙালিরা শঙ্কিত কেন?

গত ২৭ নভেম্বর রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে এক বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে কমিশনের শুনানি করা হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বাঙালিরা উপজাতীয় প্রাধান্য বিশিষ্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং কমিশন আইনের উপর আস্থা রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ভূমি কমিশনে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই। চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি; এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত) এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বা তার প্রতিনিধি (সরকারের প্রতিনিধি, যিনি বাঙালি বা উপজাতীয় যে কেউ হতে পারেন)। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন।
পার্বত্য ভূমি কমিশন বাস্তবায়ন, পাহাড়ে যুদ্ধের দামামা
বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র ৩০ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে কেনা এই বাংলাদেশ।সেই স্বাধীন বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। ভুমিকমিশন ব্যাবস্হা বর্তমানে দেশি-বিদেশি অনেক মহল কে ভাবিয়ে তুলেছে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে প্রতিনিয়ত দেশের কতিপয় বুদ্ধিজীবীদের কল্পনা জল্পনার শেষ নাই যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তির সুবাতাসে অশান্তির পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্প্রতি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে বারবার আলোচনা পর সর্বশেষ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং এই কমিশন লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে, এই কমিশন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে বলে বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, ধারণা করা হচ্ছে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টি করতে বাধ্য। পাশাপাশি এই কমিশন এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন হলে একটি মহল বিশেষ সুবিধা ভোগ করে অপর একটি জাতিগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে রসাতলে ডুবানো হচ্ছে, সম্প্রতি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রায় ৯৩০০০ ভুমি মালিকের আবেদন জমা পড়েছে, এই কমিশনের প্রেক্ষিতে এখানে কমিশন বাস্তবায়িত হলে পুরো বাঙালি জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া এই কমিশন একটি প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কমিশন কেননা এই কমিশনে কোন বাঙালি প্রতিনিধি রাখা হয় নাই, এই কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না, এই কমিশন যার পক্ষে রায় দিবে তার কাছে যতই বৈধ কাগজপত্র থাকুক না কেন জমি তাকে ছেড়ে দিতেই হবে এবং এই কমিশনের দ্বারা কোন ব্যক্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার বিরুদ্ধে আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে ৫৬% বাঙালি জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় পাহাড়ে শান্তির বিনিময় বেজে উঠবে যুদ্ধের দামামা।
পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি, শুক্রবার জেলা সদরে মতবিনিময়, শনিবার মানববন্ধন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে শুক্রবার জেলা সদরে মতবিনিময় সভা ও শনিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এক জরুরী সভায় তিন পার্বত্য জেলার সকল পর্যায়ের নেতা কর্মী, ছাত্র, জনতা, মিডিয়া কর্মী, পরিবহন শ্রমিক ও প্রশাসনের সকলকে এ আন্দোলনের কর্মসূচীতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের, বাঘাইছড়ির সাবেক মেয়র মো. আলমগীর কবির, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি কাজী মজিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, এসএম মাসুম রানা, এডভোকেট মোহাম্মদ আলম খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের আহ্বায়ক সালমা আহমেদ মৌ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের মো. আতাউর রহমান, মো. মিজানুর রহমান আখন্দ, মুক্তিযোদ্ধা অনাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) তারুমিয়া প্রমুখ।
পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি সংশয়, উদ্বেগ-আতঙ্কে আন্দোলনে নামছে বাঙালি সংগঠনগুলো

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে দায়ের করা অভিযোগের শুনানি আগামী ২৩ ডিসেম্বর শুরু হতে পারে। কিন্তু শুনানী শুরু হওয়ার আগেই এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বোধ করছে পার্বত্য অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা বাঙালি নেতারা। এ আইন ও কমিশনকে বৈষম্যমূলক ও বাঙালি বিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে ইতোমধ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। একইসাথে তারা পাহাড়ি-বাঙালি সমতা বিধান করে এই কমিশন গঠন, আপিল করার সুযোগসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশসহ বৃহত্তর আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন তারা। পার্বত্যনিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, ছাত্র পরিষদ ও মহিলা পরিষদের নেতারা এসব দাবি দাওয়ার কথা তুলে ধরেন।
দীঘিনালায় পার্বত্য ভূমি কমিশনের একতরফা শুনানি বন্ধের দাবীতে সভা

দীঘিনালায় পার্বত্য ভূমি কমিশনের একতরফা শুনানি বন্ধ এবং ভূমি কমিশনের কমিটি সংশোধনের দাবীতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের সোনা মিয়ার দোকান এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় হাসিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নুরুন্নবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আলমগীর কবির। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মো. মাসুম রানা প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুনসুর আলম হীরা এবং আল আমিন হাওলাদার।আলোচনা সভায় পার্বত্য ভূমি কমিশনের একতরফা শুনানি বন্ধ করাসহ ভূমি কমিশনের কমিটিতে সমানুপাতে পাহাড়ি বাঙ্গালী নেতৃত্ব রাখার দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিধিমালা ২০১৯ - এর খসড়া চূড়ান্ত
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যত দ্রুত সম্ভব পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের পক্ষে মত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। এর দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি: প্রেক্ষাপট ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের ২২ বছর পূর্তি হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তি করে।
ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবি : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে আগামী শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মানবন্ধন করবে নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সকাল সাড়ে ১০ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম, হাবিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন মহীম, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ নজরুল ইসলঅম, হুমায়ুন কবির, মাসুদ পারবেজ, মোঃ সোলাইমান ও মোরশেদা আক্তার।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)