নিরাপত্তার অজুহাতে ১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮১টি গুচ্ছগ্রামে প্রায় ৫০ হাজার বাঙালি পরিবার নিয়ে আসে সরকার। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নিজ জায়গায় ফিরতে পারেনি এসব পরিবার। এদিকে দীর্ঘ ৩৪ বছরে পরিবারের সদস্য সংখ্যা লক্ষাধিক হওয়ায় গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিতে সরকার বা প্রশাসনের কোনও পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা বিরাজ করছে গুচ্ছগ্রামগুলোয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০-৮১ সালে তৎকালীন সরকার খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে লক্ষাধিক ভূমিহীনকে পুনর্বাসিত করে। বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি পাহাড়ে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)।
গুচ্ছগ্রাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গুচ্ছগ্রাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২০
সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯
গুচ্ছগ্রামে ৮১২ বাঙালি পরিবার, নিজ ভূমিতে ফিরতে পারেনি ৩৩ বছরেও
খাগড়াছড়ির গুচ্ছগ্রামে ৮১২ বাঙালি পরিবার, নিজ ভূমিতে ফিরতে পারেনি ৩৩ বছরেও পুনর্বাসনে মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও প্রশাসন। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ৫নং বাবুছড়া ইউনিয়নের একটি টিলায় ১৯৮১ সালে ৮১২ ভূমিহীন বাঙালি পরিবারকে পুনর্বাসন করেছিল সরকার। মুন্সীগঞ্জের নদীভাঙনে ভিটে-মাটি হারানো সোনা মিয়ার নামে ওই টিলার নাম হয় সোনা মিয়ার টিলা। বসতি স্থাপনের পাঁচ বছর পর ১৯৮৬ সালে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি সশস্ত্র বিদ্রোহীদের কারণে পরিস্থিতির অবনতি হলে ওই টিলা থেকে বাঙালি পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয় প্রশাসন। তাদের স্থান হয় বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামে। তখন তাদের বলা হয়েছিল, তিন মাস পর পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবার সেই টিলায় ফিরিয়ে নেয়া হবে। এরপর ৩৩ বছর কেটে গেলেও তারা সেই টিলায় ফিরতে পারেননি।
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯
পাহাড়ে নিজ ভূমেই যেন পরবাসী বাঙালিরা, পার্বত্য ভূমিতে ‘ইচ্ছাকৃত’ জটিলতা

পার্বত্য ভূমিতে ‘ইচ্ছাকৃত’ জটিলতাস্বাধীন রাষ্ট্রের সর্বত্রই দেওয়ানী আইন-কানুন একই রকম হওয়ার কথা। অথচ দেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিরাজ করছে ভিন্ন আইন। ‘পার্বত্য বিশেষ অ্যাক্টের’ মারপ্যাঁচে এখানকার ভূমি ব্যবস্থাপনা, কেনাবেচা ও বরাদ্দসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন উপজাতি নেতারা। এক সম্প্রদায় হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা জমির কাগজপত্র নিয়েই বসবাস করলেও সেখানে ভূমি সংক্রান্ত সব কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা সবই উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হাতে। আগামীকাল ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি জটিলতা নিরসন হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতি নেতা বা কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে ‘ইচ্ছাকৃত’ জটিলতা সৃষ্টি করে রেখেছেন।
সোনামিয়া টিলা গুচ্ছগ্রামের বাঙালিরা নিজভূমে ফিরতে পারছেনা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার সোনাটিলার ৮শ’ ১২টি পরিবার এখনও ফিরতে পারেনি নিজ ভূমিতে। অবশ্য ভূমি না থাকলেও নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে। মানবেতর জীবন কাটছে গুচ্ছগ্রামে। আদালতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বারবার নির্দেশনাও উপেক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য পাহাড়ের সশস্ত্র আঞ্চলিক দলগুলোই দায়ী বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। বাবুছড়ার গুচ্ছগ্রাম, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার প্রধান সড়কের একদমই পাশে। বাইরে থেকে দেখে ধারণাই করা যাবে না, এই গুচ্ছগ্রামে কী মানবেতর জীবনযাপন করছেন মানুষগুলো। ১০ হাত বাই ১২ হাত আয়তনের একেকটি ঘর। অধিকাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা গড়ে ১০ জন, ১৫ জনের পরিবারও এইরকম একটি ঘরে বসবাস করছেন। গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থাও পাশাপাশি। নেই বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। নালা-নর্দমা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই নাজুক। উপজাতি সশস্ত্র আঞ্চলিক দলগুলোর ভয়ে বাঙালিরা গুচ্ছগ্রামের বাইরেও যেতে পারে না।
পাহাড়ের বাঙালিরা যেন নিজভূমিতেই পরবাসী

স্বাধীন রাষ্ট্রের সর্বত্রই দেওয়ানী আইন-কানুন একই রকম হওয়ার কথা। অথচ দেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিরাজ করছে ভিন্ন আইন। ‘পার্বত্য বিশেষ অ্যাক্টের’ মারপ্যাঁচে এখানকার ভূমি ব্যবস্থাপনা, কেনাবেচা ও বরাদ্দসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন উপজাতি নেতারা। এক সম্প্রদায় হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা জমির কাগজপত্র নিয়েই বসবাস করলেও সেখানে ভূমি সংক্রান্ত সব কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা সবই উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হাতে। আগামীকাল ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি জটিলতা নিরসন হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতি নেতা বা কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে ‘ইচ্ছাকৃত’ জটিলতা সৃষ্টি করে রেখেছেন।
বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯
ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত তোফাজ্জলের পাশে দাঁড়ানোর আকুতি
ডাক্তার, প্রকৌশলী কিংবা অন্য বড় বড় দশটি ডিগ্রি অর্জনের স্বপ্ন নেই তোফাজ্জলের। শুধুমাত্র সুন্দর এই পৃথিবীর আলো বাতাসে একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন কি আমরা পূরণ করে দিতে পারে না। বলছি খাগড়াছড়ির দীঘিনালার রশিকনগর গ্রামের দিনমজুর কোরবান আলীর ছেলে তোফাজ্জলের কথা। মাস দুয়েক আগেও আমাদের মতো সুস্থ ছিল সে, স্বপ্নও দেখত। পড়ালেখা করত দীঘিনালা অনাথ আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীতে। মাস দুয়েক আগে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা নিয়ে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কোন সমাধান না হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় তোফাজ্জলকে। সেখানে চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আবিষ্কার হয় তোফাজ্জলের ব্রেইনে টিউমার। দিনমজুর বাবার অস্বচ্ছল আয়ে ও স্থানীয়দের কিছু সহযোগীতায় প্রথম পর্যায়ে টিউমার অপারেশন হয় ঢাকায়। আর্থিক অভাবে ঢাকায় রেখে অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তাকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নিয়ে আসে পরিবার।
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯
পাহাড়ে বাঙ্গালীরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিনত হয়েছে : পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বাংলাদেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিস্টান জনপদে পরিণত করতে ইহুদী-খ্রিস্টানদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কিছু এনজিও খ্রিস্টান ধর্মান্তরকরণের কাজ করছে। এনজিওদের এসব অপকর্ম সম্পর্কে সরকার অবহিত থাকলেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে দেখেও না দেখার ভান করছে। তিনি বলেন, এভাবে যদি ধর্মান্তরকরণের প্রক্রিয়া চলমান থাকে তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একদশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই যে সকল এনজিও, দাতা সংস্থা ও মিশনারীরা খ্রিস্টান করনের কাজে জড়িত তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
পানছড়িতে বাঙালী গুচ্ছগ্রাম বাসিন্দাদের মানবেতর জীবনযাপন
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার বাঙালী গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী হাজার হাজার জনগণ দীর্ঘকাল থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলার পূর্ব দক্ষিণ কোণে এক দশমাংশ এলাকা জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বনজ সম্পদে ভরপুর দেশের সীমান্ত এলাকা পানছড়ির অবস্থান। যুগ যুগ ধরে এই পানছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি বসবাস করে আসছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সেক্টর কমান্ডের দায়িত্ব থাকাকালে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য পাকবাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পরবর্তিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় জনসাধারণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায় সমতল এলাকা থেকে ১৯৮০-৮১ সালে বাঙালি এনে পুনর্বাসন করেন।
বাবুছড়ায় বাঙালী গুচ্ছগ্রামবাসীদের মানবেতর জীবন যাপন
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামের চার শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে নোংরা আর্বজনা ও গিঞ্জি পরিবেশের মধ্যে বসবাস করে আসছে। এ গুচ্ছগ্রামে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যাবস্থা নেই। ঘরের পাশে নোংরা খোলা নালায় মলমূত্র দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আর মাছি ঊড়ছে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. হানিফ মিয়া সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, ‘যে পরিবেশ দেখছেন এই পরিবেশেই দীর্ঘ ৩১ বছর আমরা এখানে জীবন কাটাচ্ছি। গবাদী পশু আর মানুষ এখানে একসাথে থাকতে হয়। কবে যে আমাদের এ দূর্ভোগ যাবে?’ ১৯৮৬ সালে যেখানে একটি পরিবার গুচ্ছগ্রামে আনা হয়েছিল এখন সেখানে চার পরিবার হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রামের প্রবেশের সড়ক গুলো, নালা ও ঘরবাড়ি গুলোর চারিদিকে গবাদি পশুর মূল মূত্র, ময়লা আবর্জনা। প্রচন্ড দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গুচ্ছগ্রামে স্যানিটেশন ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। ঘর গুলোর ভেতরে স্যাঁত স্যাঁতে পরিবেশ। শামছুন্নাহার বেগমের (৪৫) ঘরে গিয়ে দেখা যায়, গবাদি পশু আর পরিবার এক ঘরেই বসবাস করছে। শামছুন্নাহার বলেন, ‘সংসারের উপার্জনের জন্য গবাদি পশু পালতে হয়। আর গুচ্ছগ্রামে যেখানে থাকারই জায়গা নেই সেখানে গবাদি পশু রাখবো কোথায়? তাই বসতবাড়িতেই রাখতে হয়।’
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
পাহাড়ে মুখের কথায় ভূমির মালিক উপজাতিরা আর রেকর্ড থেকেও উচ্ছেদ বাঙালিরা
পার্বত্য চট্টগ্রামে মুখের কথায় জমির মালিক বনে যাচ্ছে উপজাতিরা। আর তাদের মালিকানার স্বীকৃতি দিচ্ছে সেখানকার কার্বারী ও হেডম্যানরা। এদিকে সরকারি বরাদ্দ পেয়েও জমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে বাঙালীরা। নতুন করে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন করে সেখানকার আঞ্চলিক প্রথা ও পদ্ধতি অনুযায়ী জমির বিরোধ নিষ্পত্তি করার বিধান করা হয়েছে। এতে গোটা পার্বত্য এলাকা থেকে বাঙালীদের উচ্ছেদ করার একটি প্রক্রিয়া তৈরি হয়েছে বলে আশংকা করছেন বাঙালী নেতারা। তারা এ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট না রেখে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গেলে পাহাড়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশংকা করা হচ্ছে। সম্প্রতি পার্বত্যাঞ্চল ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা যায়, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ভূমির সি.এস সার্ভে করা হয়নি। ওই এলাকার পুরো জমির মালিকানাই সরকারের। ১৮শ শতাব্দিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতারিত হয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয় উপজাতিরা। পরবর্তীতে তৎকালীন বৃটিশ সরকার তাদেরকে সেখানে পুনর্বাসন করেন। মুখের কথার মাধ্যমে বিভিন্ন জমি উপজাতিদের বসবাস ও চাষাবাদ করার জন্য দেয়া হয়েছিল। আর তাদের এসব জমির মালিকানার পক্ষে প্রমাণপত্রও দিচ্ছে সেখানকার কার্বারী ও হেডম্যানরা। অপরদিকে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া বাঙালীদের জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। তারা কোন কোন এলাকার বাঙালীদের বসত বাড়ি এবং জমিও দখল করে নিয়েছে। পরবর্তীতে একটি খাস জায়গায় গুচ্ছগ্রামে তাদের বসবাসের সুযোগ দিয়েছে সরকার। তাদের চাষাবাদের জমি বেদখল হওয়ায় তারা সরকারের রেশনের উপর জীবন চালাচ্ছে। এমন কী তাদের কোন কোন পরিবার গরু-ছাগলের সাথে এক ঘরে বসবাস করছে।
বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
ভাইবোনছড়া গুচ্ছগ্রামে অবহেলিত বাঙালীদের নিদারুণ কষ্টের প্রতিচ্ছবি
গুচ্ছগ্রাম খুব সুন্দর একটি নাম। যারা পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন তাদের কাছে নামটি খুবই পরিচিত। তবে যারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাস করেন তাদের কাছে এটি খু্ব বেশি পরিচিত নাম নাও হতে পারে, বিশেষ করে পার্বত্যাঞ্চলের গুচ্ছগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য ছোট বড় গুচ্ছগ্রাম রয়েছে যার বেশীর ভাগেরই অবস্থা প্রায় এক ও অভিন্ন। আজ আমি তেমনই একটি গুচ্ছগ্রামে আমার সাম্প্রতিক অবলোকনের প্রতিচ্ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্ট করব। যার নাম ভাইবোনছড়া গুচ্ছগ্রাম। এটি রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় অবস্থিত। মূল লেখায় যাবার আগে এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি জনগোষ্ঠী কারও তাড়া খেয়ে, যাযাবর হয়ে বা কারও দয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে আসেনি। রাষ্ট্রের প্রয়োজন মেটাতেই কিছু বাঙালি পরিবারকে পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করা হয়েছিলো। তৎকালীন সময়ের পাহাড়ের ভূমিরূপ, খাদ্য এবং সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি তাদের বসবাসের জন্য উপযোগী ছিল না। তা সত্ত্বেও প্রাচীনকাল থেকে সেখানে বাঙালিদের যাতায়াত ও বসবাস ছিল।
মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭
পাহাড়ে গুচ্ছগ্রামের অসহায় বাঙালিদের নিয়ে কিছু কথা
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙালি। তুলনামূলকভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ গুচ্ছগ্রামগুলোতে যে কষ্টার্জিত জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে, তাতে রয়েছে শিক্ষার অভাব, কর্মসংস্থানের অভাব আর রয়েছে সীমাহীন দারিদ্র্য। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের চারটি আঞ্চলিক দলের মধ্যে অন্তঃকলহ থাকলেও ভূমি অধিকারসহ অন্যান্য জাতিগত প্রশ্নে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের ঐকমত্য রয়েছে। উপজাতি আঞ্চলিক দলগুলোর নেতাদের অনেকেই জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও পাহাড়িদের জাতিগত স্বার্থের প্রয়োজনে তাঁরা গুরুত্বসহকারে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে অংশগ্রহণ করে থাকেন। পক্ষান্তরে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক বাঙালি দলগুলো, যেমন—পার্বত্য নাগরিক ঐক্য পরিষদ, সমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ প্রভৃতি দলের নেতৃত্বে সমন্বয়হীনতা দৃশ্যমান।
সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭
পাহাড়ে বাঙালির জীবন কথন
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসি সংগঠন সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর চাঁদাবাজি। শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পরও উপজাতিদের অন্তত ৩টা উগ্র সন্ত্রাসি সংগঠন তার বিরোধিতা করছে অব্যাহত ভাবে। প্রধানত চাকমা তরুণদের নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নামক সন্ত্রাসি সংঠনের চাঁদাবাজিতে অতীষ্ঠ ৩-পাহাড়ি জেলার বাঙালিরা। কেবল চাঁদিবাজি নয়, ওখানে বসবাসরত বাঙালিরা কে কি কাজ করবে বা করবেনা, কে কোন জমিতে যেতে পারবে বা পারবেনা, তাও নির্ধারণ করে দেয় এই উপজাতীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বাহিনি। ভিডিওটি দেখলে বাঙালির কান্না দেখা যাবে পাহাড়ে। চাঁদা না দেয়ার কারণে বাঙালি মোটর সাইকেল চালক রতনকে গুম করেছে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বাহিনি। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো চাকমারা কোন কথা বলেনি কোনদিন। কেবল আমাদের সেনাদের কুৎসা আর অত্যাচারের কথা শুনবেন তাদের মুখে।
রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭
বাঙালীর ৩২৪৮ একর ভূমি জবর দখল করছে উপজাতিরা
পার্বত্য জেলায় খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়না কর্তৃক বিরাজমান পরিস্থিতির কারনে নিরাপত্তায় রাখতে খাগড়াছড়ির জেলাধীন দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া সোনা মিয়ার টিলা থেকে ১৯৮৬-৮৭ সালে উচ্ছেদকৃত ৮১২টি বাঙ্গালী পরিবার ৩১ বছরেও নিজ ভূমিতে ফিরতে পারেনি। ভুক্তভোগি পরিবারের ক্ষতিপুরণসহ পূর্ণবহালের দাবীতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন কর্সসূচী পালন করেছে তারা। আজ রবিবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শাপলা চত্ত্বরে এ মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ করেন তারা। দীঘিনালা সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আ: মালেক, সহ-সভাপতি নাছির, সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল। ইব্রাহীম খলিল এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানা।
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭
পাহাড়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বাঙ্গালীরা! বাঙ্গালী পরিবার ভিটেছাড়া
বাংলার বুকে নতুন ইসরাইল সৃষ্টির পাঁয়তারা। আলাদা জুম্মল্যান্ড বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র। তৈরি করছে আলাদা মানচিত্র ও নিজস্ব মুদ্রা। অবিলম্বে সবকিছু নস্যাৎ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই। সে সাথে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে গোটা দেশবাসীকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশেরই একটি ভুখন্ড। কিন্তু সেই পার্বত্য চট্টগ্রামেই অবহেলিত হচ্ছে স্বাধীন দেশের বাঙ্গালী নাগরিকরা। পরিবর্তে সেখানে অনুপ্রবেশ করেছে ভিনদেশী উপজাতি সন্ত্রাসীরা। যাদের অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, হত্যা ইত্যাদিতে পার্বত্য জেলাগুলোর বাঙ্গালীরা যেন নিজভূমে পরবাসযাপন করছে।
বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭
পাহাড়ে বঞ্চিত বাঙ্গালী এবং বহুমুখী ষড়যন্ত্র'
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও এখানে যেমন বহু সম্প্রদায় রয়েছে তেমনি এই স্থানটুকু নিয়েও চলছে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র। এই বিষয় নিয়ে স্থায়ী কোন পরিকল্পনা নাই, যাতে এই সমস্যাগুলোর কোন সমাধান করা যায়। বাবার বখাটে সন্তান যেমন করে থাকে, বেশি অসহ্য না হলে যেমন সন্তানের প্রতি বাবার কোন ভূমিকা থাকে না অনেকটা তেমন। এই বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা জাতীয় দুই দলের কারও নেই। যখন কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন সরকার একটু নড়াচড়া করে মাত্র। এই সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা যাদের জন্য কাজ করেছে তারা মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই স্থানে বসবাসকারী বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী এবং উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধার প্রচুর পার্থক্য বিদ্যমান। উপজাতী ও বাঙ্গালীদের মাঝে বর্তমানে যে বৈষম্য রয়েছে তা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশি ও বিদেশি এনজিও, সরকারি অফিস হতে সুযোগ সুবিধা পেতে বাঙ্গালীরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে।
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
কাঁদে পাহাড়ের বাঙালীরা, তারা আর বন্দি থাকতে চায় না
পার্বত্য চট্টগ্রামের গুচ্ছগ্রামের বাঙ্গালীরা বলছেন, “আমরা আর বন্দি থাকতে চাই না। আমাদের নিজ নিজ ভিটা ফিরিয়ে দিন। সেখানেই আমরা চাষাবাদ করে জীবন ধারন করবো। এভাবে ধুঁকে ধুঁকে সরকারি রেশন নিয়ে আমরা আর বাচঁতে চাই না।” গুচ্ছগ্রাম মানেই থোকা-থোকা, গুচ্ছ- গুচ্ছ দু:খ।খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটির অভিবাসী বাঙ্গালীরা রয়েছেন চরম দূর্দশার মধ্যে। তিন পার্বত্য জেলার গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি রেশননির্ভর বাঙালী পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পরিকল্পনা না থাকায় তারা এখন কর্মহীন অলস জীবনযাপন করছে। অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটে ভূগছে তারা। বিভিন্ন সময়ে তাদের অনেককে দিয়ে জোড় করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করিয়ে্যে একটি মহল। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সরেজমিনে বেশ কয়েকটি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রাম পরির্দশনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি, কর্মহীন গুচ্ছগ্রামবাসীর কঠিন ও কষ্টকর জীবনচিত্র। তৎকালীন আমল থেকে রেশনিং ব্যবস্থা এবং বিরাজিত পরিস্থিতির কারণে গুচ্ছগ্রামের সীমাবদ্ধ জীবনযাপন ও জীবন মানের অনুন্নত একগুয়েঁমি ধারার সৃষ্টি করেছে। পাহাড়ী এলাকায় নির্ধারিত কর্মসংস্থানের অভাবে খয়রাতি রেশন নির্ভর পরিবারগুলি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শিক্ষা সংস্কৃতিসহ নানাভাবে সামাজিক সচেতনতা হারাচ্ছে ক্রমান্বয়ে।
পাহাড়ের গুচ্ছগ্রামে বাঙালিদের সমস্যা ও মিডিয়ার ভূমিকা
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভাগ্যবিড়ম্বিত বাঙালিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখানকার অসহায় বাঙালিরা নানাবিধ বঞ্চনা আর নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। দুর্গম এ অঞ্চলে যেখানে প্রশাসনের হাত অবারিত নয় এবং যেখানে উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ প্রবল প্রতাপশালী। সেখানে আজ বাঙালিরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার। এমনকি কখনো কখনো সমষ্টিগতভাবে তাদের জীবন হুমকির সম্মুখীন। এছাড়া এ অঞ্চলের উপজাতিদের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে বরাবর বাঙালিদের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে, কখনো আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্য কখনো উপজাতি গোষ্ঠীর সন্তুষ্টির জন্য, কখনো বা পাহাড়িদের জীবনের মানোন্নয়নের জন্য। আর এর ফলে বাঙালিদের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। এ অঞ্চল নিয়ে গবেষণামূলক বা বিশ্লেষণধর্মী লেখার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সে দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করা হয়নি। ফলে বাঙালিদের অভাব-অভিযোগ যথার্থভাবে উত্থাপিত হয়নি এবং এর কোনো সুরাহাও হয়নি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)