বিদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

২০১৯ সালে বিএসএফের হাতে ৪৩ বাংলাদেশি নিহত



২০১৯ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৪৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থাটির হিসাবে, ২০১৮ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা ছিলো ১৪। এবছর তা বেড়ে ৪৩-এ দাঁড়িয়েছে। আসক’র বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, “নিহত ৪৩ বাংলাদেশির মধ্যে ৩৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাকিদের নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।” এই প্রতিবেদনটি আজ (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। সংস্থাটির দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৪৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা কমে ৩১ এ দাঁড়ায়। ২০১৭ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ২৪ এ।

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভারত থেকে লাখ লাখ মুসলিম পালাতে পারে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে ব্যাপক শরণার্থী সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। জেনেভায় শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক ভাষণে ইমরান খান বলেন, নতুন বৈষম্যমুলক নাগরিকত্ব আইন এবং কাশ্মীর পরিস্থিতির ফলে লাখ লাখ মুসলিম ভারত থেকে পালাতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করেন, বড় ধরণের শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। "শুধু যে সম্ভাব্য শরণার্থী সঙ্কট নিয়েই যে আমরা উদ্বিগ্ন তা নয়, একই সাথে আমরা উদ্বিগ্ন যে এ নিয়ে দুই পারমানবিক অস্ত্রধর দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে যতে পারে।" ইমরান খান বলেন, "পাকিস্তানের পক্ষে নতুন করে আর শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই এদিকে নজর দেওয়া উচিৎ।"

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলিমদের প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ : জাতিসংঘ



সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। এই আইনের প্রতিবাদে সরব বিভিন্ন মহল। এবার মোদী সরকারের এই আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতিসংঘ। এই আইন মুসলিমদের প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ বলে জতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। শুক্রবার জেনেভায় এই সাংবাদিক বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত দপ্তরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চরিত্রগতভাবে বৈষম্যমূলক। এই আইন নিয়ে আমরা চিন্তিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই আইন খতিয়ে দেখতে চলেছে। এই আইন পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষায় ভারতের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটিও আদালত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

ভারতীয় ভিসার ‘ধর্মভিত্তিক বৈষম্যমূলক’ জরিমানা নীতিতে বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ



ভারতের ভিসা নীতিতে একটি বৈষম্যমূলক পরিবর্তন বাংলাদেশে গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। প্রায় এক বছর আগে আনা ওই পরিবর্তনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ মুসলমানরা যদি ভারতে অবস্থান করে তাহলে সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দুদের থেকে ২০০ গুণ বেশি জরিমানা গুণতে হবে। বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই জরিমানার বিধানকে ‘ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। আসন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা ইস্যুটি তুলবেন বলে জানিয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলকাতা সফরের সময় প্রথম এই ইস্যুটি সামনে আসে। বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাইফ হাসান ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারতে অবস্থান করন। তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশন অফিসকে বিষয়টি অবহিত করেন। তখন তারা এফআরআরও সম্পর্কে কথা বলেন।

আসামের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িবহরে হামলা



ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাশের বিরুদ্ধে আসাম রাজ্যে চলমান সহিংসতা এবং কারফিউর পটভূমিতে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাই-কমিশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গুয়াহাটিতে বৃহস্পতিবারের মিছিল এবং বিক্ষুব্ধ লোকজনের মধ্য থেকে কিছু লোক মিশনের দুটো সাইনপোস্ট ভাংচুর করে যা চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণ থেকে প্রায় ত্রিশ গজ দূরত্বে অবস্থিত। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানানো জানতে পেরেছে যে, বুধবার ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার সময় নিরাপত্তা-বহরে হামলা চালায় নাগরিকত্ব বিলের বিরোধী উত্তেজিত জনতা। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যা স্বীকার করুন : ৭ নোবেলজয়ীর আহ্বান

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সহ নৃশংস অপরাধের বিচারে আর কিছুক্ষণের মধ্যে হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি। এ আদালতে তিনি তার দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করছেন। এ জন্য সারা বিশ্ব থেকে তার দিকে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সহ চালানো অপরাধ প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিতে অং সান সুচির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাতজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তারা হলেন ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইরানের শিরিন এবাদি, ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লাইবেরিয়ার লিমাহ গোউই, ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইয়েমেনের তাওয়াক্কাল কারমান, ১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেদারল্যান্ডের মেইরিড মাগুয়েরে, ১৯৯২ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গুয়েতেমালার রিগোবার্তা মেনচু তুম, ১৯৯৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী জোডি উইলিয়ামস এবং ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় কৈলাশ সত্যার্থী। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ চাই

‘নিরবতা পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলেছে , গণহত্যায় রক্তস্রোত,রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ চাই : আইসিজের প্রথম শুনানীতে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ চেয়েছে গাম্বিয়া। মিয়ানমারে বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের গণহত্যার সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে মামলা করা দেশটি একইসাথে রোহিঙ্গাদের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, নিপীড়ন, জীবিকা ধ্বংস ও নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক এ আদালতের কাছে অন্তবর্তীকালীন পদক্ষেপ চেয়েছে। গাম্বিয়া বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার পূর্ণ এখতিয়ার আইসিজের রয়েছে।

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানীতে উপস্থিত থাকবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিও



রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ছাড়াও মানবাধিকারকর্মীসহ বেশ কয়েকজন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি হেগে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া এ শুনানিতে এ বাংলাদেশ কোনো পক্ষ না হলেও বেশ প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছেন প্রতিনিধিরা। ৭ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার শুনানিতে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসের হেগে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

সাদা চামড়ার ফাদার ডাক্তাররা সেবার মোড়কে ধর্মান্তর করছে



মধুপুর জঙ্গলের অভ্যন্তরে একটি আমেরিকান মিশনে গিয়েছিলাম ১৯৮৯/৯০ সালে। ওখানে তখন মানুষের বাচ্চা কিনতে পাওয়া যেতো। মূল্য ছিল ৪০০ টাকা। আমাদের কোনো ছেলে সন্তান নাই। তাই আমার স্ত্রী আগ্ৰহী ছিলেন একটি ছেলে বাচ্চা যদি পাওয়া যায়। প্রথমবার ফাদার আমাদের বেশ কিছু গাছের চারা দিয়ে বিদায় করলেন। ওখানে তখন দেখলাম এভোকাডো ফলবতী গাছ। ফাদার বললেন, গাছ দুটোর ফল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল কিনে নিয়েছে ৪০,০০০ টাকায়। দেখলাম ৪০ প্রকারের আমের চারাগাছ। এর মধ্যে আমেরিকান আমও আছে। কোকো ফলের গাছ আমাকে দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটা। আমরা ফিরে এসেছিলাম চারাগাছ নিয়ে। তখন আমার পোস্টিং ছিল ঘাটাইল সেনানিবাসে। পরে আবার আমরা গিয়েছিলাম মধুপুর জঙ্গলের আমেরিকান মিশনে। ফাদারকে মনে করিয়ে দিলাম ছেলে বাচ্চার কথা। এবারে ফাদার আমাদের হতাশ করে বললেন ছেলে বাচ্চা পাওয়া যাবে না। তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলছিল তিনি আর্মির কাছে বাচ্চা বিক্রি করবেন না।

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

সম্ভাবনাময় নাইক্ষ্যংছড়ির স্থলবন্দর ও সীমান্ত হাট


প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সাথে বান্দরবানে হতে যাচ্ছে স্থলবন্দর ও সীমান্ত হাট। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে খ্যাত ঘুমধুম আর চাকঢালার সুবিধাজনক স্থানে স্থলবন্দর বা সীমান্ত হাট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। স্থলবন্দর আর সীমান্ত হাট চালু হলে ভারতের চেয়ে সুবিধা জনক ভাবে মিয়ানমারের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাড়বে বাংলাদেশের এমনটি মনে করছেন সীমান্তের ব্যবসায়ী ও সচেতন নাগরিকরা। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৃদ্ধির পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে এখানে। সঠিক স্থানে এই স্থলবন্দর স্থাপন হলে উপকৃত হবে পার্বত্য এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠি।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক এখন দৃশ্যমান। দোহাজারী থেকে ঘুমধুমে যাওয়ার জন্য রেল লাইন প্রকল্পের কাজও রামু উপজেলায় চলমান রয়েছে। অন্যদিকে রামু আরাকান সড়ক থেকে চাকঢালায় সরাসরি ১৮ কি.মি. সড়ক রয়েছে। বাকী কিছু জায়গায় ব্রিজ ও রাস্তা নির্মিত হলে মিয়ানমারের সাথে সরাসরি যাতায়ত করা সম্ভব হবে।

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর প্রতীক্ষায় দু’দেশের মানুষ


খাগড়াছড়ির রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুম সীমান্তে রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে দুই দেশের মানুষ। অন্যদিকে, ফেনীনদীর ওপর মৈত্রীসেতু-১ এর নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২০ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। এটি নির্মাণ হওয়ার পরই বহু প্রতীক্ষিত রামগড় সাব্রুম স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। বাংলাদেশের ১৫তম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম এ স্থলবন্দর চালু হলে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটনসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার সাথে সেভেন সিস্টারখ্যাত তাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ৭টি অনুন্নত রাজ্যের ‘গেটওয়ে’ হিসেবে দেখছে মৈত্রী সেতুটিকে।

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

পাহাড়ের অর্থনীতিতে নবদ্বার খুলবে ৩ স্থলবন্দর কিন্তু বাধা আঞ্চলিক পরিষদ

বাংলাদেশের পার্বত্য তিন জেলার সাথে ভারত ও মিয়ানমারের আমদানি-রফতানি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। এ অঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে প্রতিবেশী দুটি দেশের সীমান্তেতিনটি স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য এ তিন জেলায় স্থলবন্দর নির্মাণে বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে ১১৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ তিনটি স্থলবন্দর নির্মিত হলে পাহাড়ের অর্থনীতি বদলে যাবে। পাশাপাশি স্থানীয় বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বন্দরগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হলে পর্যটন শিল্পের পালেও লাগবে নতুন হাওয়া। পার্বত্য অর্থনীতিতে নবদ্বার খুলতে যাওয়া এই তিনটি স্থলবন্দরের মধ্যে একটির কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও অপর দুটির নির্মাণ এবং চালুর পথে বাধা হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদ।

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গকারী কবিদের সাজার মেয়াদ বাড়ালো মিয়ানমার আর পার্বত্য চট্টগ্রামে?



সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গকারী কবিদের সাজার মেয়াদ বাড়িয়েছে মিয়ানমারের একটি আদালত। এ কবিরা ‘পিকক জেনারেশন’ নামে একটি কাব্যদলের সদস্য। সেনাবাহিনীকে নিয়ে স্যাটায়ার বা ব্যঙ্গাত্মক পরিবেশনার দায়ে গত এপ্রিলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে গত মাসে কাব্যদলটির পাঁচ সদস্যকে এক বছরের কঠোর সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এরমধ্যেই ১৮ নভেম্বর সোমবার একই অভিযোগে তাদের আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত। তবে নতুন রায়ে আরও একজন কবিকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী সান সান মাইয়িন্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই তারা যে সাজা ভোগ করছেন তার সঙ্গে নতুন সাজা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, তাদের বাড়তি ১৮ দিন কারাগারে থাকতে হবে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, মামলা এখানেই শেষ হয়। দেশটির আরও একাধিক শহরে এই কবিদের বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯

ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্ম, উত্থান, পতন এবং বর্তমানের গল্প

ইতিহাসের জ্ঞানের খুব বেশি প্রয়োজন নেই, উপমহাদেশের মানুষের কাছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এমনিই অত্যন্ত চেনা একটি নাম। বাণিজ্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবেশ করে কয়েক শতাব্দী শাসন ও শোষণের দ্বারা পুরো উপমহাদেশ কবজা করে রাখবার ইতিহাসই এই নামটিকে এনে দিয়েছে চিরস্থায়ী পরিচিতিতি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বলা হয় পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং প্রথম কর্পোরেশন কোম্পানি। শুরুতে এর নাম ছিল ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬০০-১৭০৮)। পরবর্তীতে এর নাম বদলে করা হয় অনারেবল কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব লন্ডন ট্রেডিং ইনটু দ্য ইস্ট ইন্ডিজ অথবা ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ড ট্রেডিং টু দ্য ইস্ট ইন্ডিজ (১৭০৮-১৮৭৩)। তবে উপমহাদেশে সেটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নামেই অধিক পরিচিত ছিল।

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯

নাগা চুক্তিকে কেন্দ্র করে অশান্ত মনিপুর ও নাগাল্যান্ড



নাগা চুক্তিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মনিপুর, নাগাল্যান্ড ও আসাম। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুক্রবারও বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস। মোদী-শাহ’র কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব রয়েছে ছাত্র-যুব ও মহিলা সংগঠন নিয়ে গঠিত কোঅর্ডিনেশন কমিটি অফ মনিপুর ইন্ট্রিগ্রিটি, সংক্ষেপে কোকোমি। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতারণার ডাক দিয়েছে কোকোমি। সংগঠনের আহ্বায়ক সুনীল কোরাম জানিয়েছেন, মোদী সরকার মনিপুরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নাগা শান্তি চুক্তির নামে মনিপুরের অর্ধেক অংশ নাগালিমের হাতে তুলে দিচ্ছে। এটা মোদী-শাহ’র গোপন এজেন্ডা। তিনি দাবি করেছেন, মনিপুরকে দুটুকরো করার পথে হাঁটছে মোদী-শাহ। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে বিজেপির ষড়যন্ত্র রুখবে কোকোমি। এমনটাই জানিয়েছেন কোরাম। কোকোমির আন্দোলন প্রতিহত করতে পনেরো কোম্পানি সেনা ও আধাসেনা মোতায়েন করেছে কেন্দ্র। ইম্ফল সহ বিভিন্ন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯

সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গ করায় মিয়ানমারে ৫ কবির জেল, আর পার্বত্য চট্টগ্রামে?


মিয়ানমারের সেনাদের ব্যঙ্গবিদ্রূপ করে নাচ-কবিতা-হাস্যরসের আসর বসিয়েছিল পিকক জেনারেশন নামে কবিদের একটি দল। এই অপরাধে কবিদলের সদস্যদের এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত কবিদের এ বছর এপ্রিলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা হলেন, কে কাহিন তুন, জে ইয়ার লুইন, পিয়াং পিয়ো মিন, পিয়াং ইয়ে তু এবং জো লিন হাতু। ফেসবুকে আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করায় ৩ জনকে দেওয়া হয়ে বাড়তি জেল। মিয়ানমারের সংস্কৃতির অংশ ‘থানগিয়াট’ নামের ওই পরিবেশনায় পার্লামেন্টে সেনাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে বিদ্রূপ করা হয়েছে। সেনা পোশাক পরিহিত কুকুরকে তারা জনসমক্ষে প্রদর্শন করেন।

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

বাংলাদেশে গরু পাচারে জড়িত বিএসএফ: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা

বাংলাদেশীরা নয় বরং বাংলাদেশে গরু পাচারের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জড়িত রয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই) এক তদন্তে রিপোর্টে বলা হয়েছে। সিবিআই’র বরাতে এবিপি আনন্দের এক খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদর দফতরে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে রমরমা গরু পাচার বাণিজ্য চলছে। আর এর সঙ্গে রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরাও জড়িত। এরপর সদর দফতর থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের কলকাতা দফতরে। এরপরেই এ রাজ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সেই রিপোর্ট কলকাতা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিতে।

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

পাহাড় সংকটে ১৯৪৭ সালে উপজাতিরা ভারতীয় পতাকা উত্তোলন প্রসঙ্গ

পার্বত্য অঞ্চলের সংকটের পটভূমি নিহিত উপনিবেশিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে উত্তর-উপনিবেশিক (post colonial) জাতিরাষ্ট্র গঠনের পার্শপ্রতিক্রিয়া। ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এথনিক জাতিগোষ্ঠীর অধিবাসীরা বিভক্তির কারণে ভারত, বার্মা এবং বাংলাদেশের সীমানা দ্বারা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে ইতিহাসের সাথে তাঁদের যেই সংযোগ ছিল, ছিল স্বাধীন সত্ত্বা, ছিল নিজস্ব কালচার ও ঐতিহ্য সেগুলোও সংখ্যাগরিষ্ট জাতিরাষ্ট্রের চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ কাঠামোগতভাবে শেষ হলেও তাঁর রেশ যে এখনো রয়ে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম সংখ্যাগুরু পাহাড়ী এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ধারণা ও প্রত্যাশা ছিল সেটা ভারতের অংশে থাকবে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, পাহাড়ীরা ভারতের সাথে যোগ দেয়ার জন্য শুরু থেকেই এক পায়ে খাঁড়া ছিল। বরং ১৯৪৭ সালের ১০ ই জানুয়ারি কংগ্রেস হাই কমান্ড জয়প্রকাশ নারায়ণ ও এ ভি থাক্কড়কে পাঠায় সেখানকার হিলমেন্স এসোসিয়েশন ও জনসমিতিকে ভারতের সাথে রাখার দাবি উঠাতে রাজি করানোর জন্য। তারা স্থানীয় নেতাদের আশ্বাস দেন যে যদি তারা দাবি তোলে তাহলে কংগ্রেস তা আদায় করবে।(১)

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসঙ্ঘে দেয়া ইমরান খানের ভাষণ বাংলায়

জাতিসঙ্ঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেয়া ভাষণ আলোড়ন তোলেছে। সবার কাছেই প্রশংসাযোগ্য এই ভাষণ ইতোমধ্যে ভাইরাল। চারটি বিষয়ে তিনি প্রায় ৫০ মিনিট কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তন, মানি লন্ডারিং, ইসলামোফোবিয়া ও কাশ্মির- এই চারটি বিষয় নিয়ে কথা বললেও প্রসঙ্গক্রমে আরও অনেক বিষয় উঠে এসেছে। সবচেয়ে বেশি কথা বলেছেন কাশ্মির নিয়ে। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই বক্তব্যের প্রশংসায় করছে নেটিজেনরা। তারা ইমরান খানের এই জ্ঞানগর্ভ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যকে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার যথাযথ দিক নির্দেশনা হিসেবে মনে করছেন। পাঠকদের জন্য ইমরান খানের ভাষণের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ দেয়া হলো।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রোহিঙ্গা শরনার্থী, ১৯৭১ এবং নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন

ভূমিকা : বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আচার আচরণ এবং স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁদের সংঘাত বিষয়ে এখন বিভিন্ন ধরণের আলোচনা চলছে। এক ধরণের প্রচারনাও হচ্ছে যে এই শরনার্থীরা যে ধরণের আচরণ করছেন তা স্বাভাবিক নয়। বলা হচ্ছে যে, আশ্রয়দাতাদের সঙ্গে তাঁদের এই আচরণ ঠিক নয়। আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকদের সহানুভূতি এবং সহমর্মিতা দৃষ্টিগ্রাহ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর অনেক কিছুই যে কোনও শরনার্থী পরিস্থিতিতেই স্বাভাবিক। এই নিয়ে যারা এক ধরণের জেনোফোবিয়া বা বিদেশিভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা এই ধরণের ক্ষেত্রে অন্যত্র কী ঘটেছে সেটা জানার চেষ্টা করতে পারেন। বাংলাদেশের নাগরিকদের এটা বোঝার জন্যে সবচেয়ে সহজ এবং সম্ভবত কার্যকর উপায় হচ্ছে ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাঙালীদের অভিজ্ঞতা স্মরণ করা। এই নিয়ে খ্যাতিমান সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ-এর অক্টোবর মাসে পাঠানো একটি প্রতিবেদন পড়তে পারেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিলো নিউইয়র্ক টাইমসে। আমি তার কিছু অংশের বাংলা অনুবাদ নীচে উপস্থিত করেছি। পরে ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটিও আছে।