মুক্তমত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মুক্তমত লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০২০

মাটিরাঙ্গার ৫ মার্ডার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট : বিজিবি'র অপেশাদার আচরণ এবং নিরস্ত্র ছিল নিহত গ্রামবাসীরা

গ্রামবাসীকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গত ৩ মার্চের সহিংসতার ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ গঠিত কমিটি গতকাল বুধবার (১১ মার্চ) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে হয়েছে দাবি করেছেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার রিজাউল করিম। এর বেশী প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি তিনি। তবে নাম প্রকাশে অনচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজিবি সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিডিও চিত্র এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার পেছনের ৫ টি তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে মন্তব্যসহ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিজিবি’র পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে জড়িয়ে হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও হত্যার অভিযোগ থাকলেও নিহত গ্রামবাসীরা নিরস্ত্র ছিল বলে জানানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। বিজিবির ওপর গ্রামবাসী ও নিহতদের হামলার অভিযোগটির সত্যতা পায়নি কমিটি।

সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

শর্ত ভঙ্গ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণ করছে বিদেশী নাগরিক

সরকারের বেধে দেয়া শর্ত লঙ্ঘন ও মেয়াদবিহীন ভিসায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণ করছে অধিকাংশ বিদেশী নাগরিক। নিরাপত্তার স্বার্থে পাহাড়ে বিদেশী নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। রোববার (১ মার্চ) ৫ দিনের সফরে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি ভ্রমণে আসেন বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা আইসিআরসি এর ডেলিগেট মাসসিমো রুশো। ইতালীর এ নাগরিক সে দেশের পাসপোর্ট নং YB0340004 দিয়ে আবেদন করে বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য ৬ মাসের ভিসা পান। ভিসা নং A1052247 এর মেয়াদকাল ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল পর্যন্ত। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ইতালীর এ নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা : সার্বভৌমত্বের সাথে বিদ্রোহ

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা আমাদের প্রাণাধিক প্রিয়তম মাতৃভূমি বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা নিয়ে পাহাড়ি উপজাতিরা মিয়ানমারে সহায়তায় একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যে স্বপ্নের উন্মাদনায় ষোল কোটি মানুষের বিজয়ের প্রতীক স্বাধীন বাংলার বুকেই তারা 'জুম্মল্যান্ড' নামে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠনের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের মানচিত্রকে দ্বিখণ্ডিত করতে চায়। বাংলাদেশ থেকে আলাদা করে নিতে চায় আমাদের 'রত্নভূমি' পার্বত্য চট্টগ্রামকে। পাহাড়িদের এই অনৈতিক উদ্যোগ এবং একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভেতর নতুন আরেকটি রাষ্ট্র সৃষ্টির পাঁয়তারাকে আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র থেকে একটা অংশকে আলাদা করে আরেকটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার পরিকল্পনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিপক্ষে এক গভীর হুমকিও বঠে। এমন পরিকল্পনা বা উদ্যেগের সাথে যারা জড়িত, নিঃসন্দেহে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। আমাদের সবার প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী। লাল-সবুজ পতাকার শত্রু।

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পাহাড়কে বাংলার ইসরাইল সৃষ্টিতে তৈরী জুম্মল্যাল্ডের নারী ব্রিগেড

স্বাধীন রাষ্ট্র ‘জুম্মল্যান্ড’ বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র তৈরী করছে আলাদা মানচিত্র ও নিজস্ব মুদ্রা অবিলম্বে সবকিছু নস্যাৎ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই। সে সাথে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে গোটা দেশবাসীকে। ১৯৭১ সালে বাংলার বীর সন্তানরা পাকিস্তানী শাসকদের কাছ থেকে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশের সুত্রপাত হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিদেশী অপশক্তি সবসময় বাংলাদেশকে পরাধীন ও দেশের ভেতর অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। যার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র। বহুদিন থেকে বিদেশী অপশক্তি চেষ্টা করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করে নতুন একটি দেশ গঠন করা। যার নাম দেয়া হবে ‘জুম্মল্যান্ড’। দেশের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করে দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কখনো মেনে নেয়া যায় না। আর পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা এরই এক একটি নজীর উপস্থাপন করছে। এই উপজাতি সন্ত্রাসীরা যেমন তিন পার্বত্য জেলা মিলে তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে এবং আলাদা সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করেছে তেমনি প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে আসছে। যা দেশের সংবিধান বিরোধী ও রাজাকারদের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য। উপজাতি সন্ত্রাসীদের কিছু হুমকির নমুনা নীচে দেয়া হলো - এম এন লারমার হুমকি: “কথায় আছে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠেনা বাঁকা আঙ্গুলই প্রয়োগ করতে হয়, তদ্রুপ কাউকে ভালবেসে কেউ অধিকার দেয়না, অধিকার আদায় করে নিতে হয়।”

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্য ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেছেন পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের আইন ২০০১ এবং সংশোধনী আইন ২০১৬ তে যে সব ধারা সংবিধানের সাথে সাংগষিক যে ধারাসমূহ বাতিল করার জন্য আন্দোলন করে আসছেন তা তুলে ধরে তা সংশোধন না করে পরবর্তী কার্যক্রম না চালানোর জন্য অনুরোধ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলম খাঁন কর্তৃক প্রেরিত এক ইমেইল বার্তায় জানানো হয়। অদ্য ২৪ ফের্রুয়ারি রোজ সোমবার বেলা ১১.৩০ মিনিটের সময় পার্বত্য চট্রগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের এর চেয়ারম্যানের সাথে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভঁ’ইয়ার নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সহ সভাপতি শেখ আহম্মেদ রাজু ,সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ রানা এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড.মোঃ আলম খান,পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়্যারম্যান (অবঃ)বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন, এডভোকেট মোঃ আলম খান।

আইনের বাইরে আমার যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই- বিচারপতি আনোয়ার উল হক

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক বলেছেন, আমার পক্ষে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার আইনের বাইরে যাওয়ার এখতিয়ার নেই। আপনাদের দাবী দাওয়া আমি সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনারাও চাইলে সরকারের সাথে কথা বলতে পারতেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সোমবার সকাল ১০টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ঢাকা কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আলম খান পার্বত্যনিউজকে এ কথা জানান। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সহ সভাপতি শেখ আহম্মেদ রাজু , সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ রানা এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. মোঃ আলম খান।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সন্তু লারমা ভারত গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে

স্বয়ং সম্পূর্ণ স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধান থাকার পরও সন্তু লারমার জুম্ম ল্যান্ড প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রশ্নবিদ্ধ। এই ষড়যন্ত্রের জন্য সরকার কেন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করছেনা প্রশ্ন রাখেন নেতৃবৃন্দ। স্বাধীন দেশে জুম্ম ল্যান্ড প্রতিষ্ঠা কখনো সফল হতে দিবে না নাগরিক পরিষদ। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা। শনিবার বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে হতাহতের ঘটনা ও পাহাড়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান বলেন- সন্তু লারমা ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।

দীঘিনালায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকাসহ ইউপিডিএফ নেতা আটক

দীঘিনালায় পৌনে ১২ লক্ষ টাকাসহ ইউপিডিএফ এর এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত নেতার নাম, আকাশ চাকমা ওরফে এ্যাকশন (৪৫)। সে বাবুছড়া ইউনিয়নের মগ্য কার্বারি পাড়া গ্রামের মৃত নলেন্দ্র চাকমার ছেলে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১;০০ টা বাজে নিরাপত্তাবাহিনী আটক করে। সে ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের বাঘাইহাট (গঙ্গারাম) এলাকার চিফ কালেক্টর।জানাযায়, রবিবার রাত ১টায় বাবুছড়া থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল যাওয়ার সময়, আকাশ চাকমা ওরফে এ্যাকশনকে থামতে সিগন্যাল দেয়। এসময় সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে, তাকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে নগদ ১১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮শত ৪৫টাকা, ভারতীয় রুপী ১ হাজার ১শত ৫০টাকা, বিভিন্ন অলঙ্কার (স্বর্ণ ও রুপা), চাঁদার রশিদ বই, ৩টি ব্যাগ, ব্যক্তিগত ব্যবহার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউপিডিএফ`র সন্ত্রাসী আটক, সর্টগান ও গুলি উদ্ধার

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সুভাষ চাকমা নামক এক সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার শুকনাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুকনাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি দল অবস্থান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে গোপন সূত্রে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা টহল দলের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।

সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা! ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করে রাঙ্গামাটিতে সন্তু লারমার শ্যালকের সমবায় সমিতি পরিচালনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপজাতি জনগণকে ‘ ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা সম্প্রদায়’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান, আলোচনা ও টকশোতে ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার পরিহার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আলোচনা ও টকশোতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ সুশীল সমাজের প্রতি ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার পরিহারের জন্য পূর্বেই সচেতন থাকতে অনুরোধ পর্যন্ত জানানো হয়েছে। অতিসম্প্রতি সরকারী এ প্রজ্ঞাপনে দেশের ছয়টি এনজিওকে তাদের নামের পাশে থাকা বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ শব্দ পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার। ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যহারে সরকারের এতসব নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও একটি বিশেষ মহল যেন সরকারী নির্দেশনা মানছেই না। এখনো অহরহ ব্যবহার করা হচ্ছে বিতর্কিত ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ‘আদিবাসী’ শব্দটি।

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্যঞ্চল রক্ষা করতে জীবন দিবো :পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

পার্বত্যঞ্চল স্বাধীন বাংলার অখন্ড। এ অঞ্চলের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা এবং রক্ষার্থে প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, তারপরও বিছিন্ন হতে দেওয়া হবে না। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টিজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আলোচনা সভায় নব নির্বাচিত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পার্বত্যঞ্চলের সমস্যা নিয়ে আমরা সরকারের সাথে কথা বলবো। সন্তু লারমা এদেশের নাগরিক না। যিনি এদেশের নাগরিক নয় তার সাথে কোন সংলাপ করার কোন প্রয়োজন মনে করছি না আমরা। পাহাড়ে বসবাসরত সকল শান্তিকামী মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বক্তব্য শেষে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।

সন্তু লারমার বিরুদ্ধে দেশাদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত

স্বাধীন বাংলার অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে জুম্মল্যান্ড করার নীল নকশা প্রণয়নের দায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার বিরুদ্ধে দেশাদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত বলে মনে করেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান। কাজী মজিব বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন চলবে না। আর সন্তু লারমা এ এলাকার ভোটার নন। তাই তিনি এ দেশের নাগরিকও নন। তৎকালীন সরকার পার্বত্য চুক্তি করেছিলো পাহাড়ে শান্তির জন্য। কিন্তু চুক্তির অনুসারে পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অধিকার সমান ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

৬ষ্ঠ বারের মত যৌথ অভিযানে উপজাতিদের পপি ক্ষেত ধ্বংস

বান্দরবানে রুমা উপজেলার যৌথ অভিযানে প্রায় ১ একর পপি (আফিম) ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার সকালে রুমা জোন (২৭ ইবি) সদর হতে লেফটেন্যান্ট মোঃ তামজীদ সোবায়ের ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টহল দল- সেনা ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শ্যামা ঝিরি পাড়া এলাকায় শ্যামা ঝিরি এবং আশে পাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ টি চাষকৃত আফিম ক্ষেত প্রায় ১ একর জমিতে লাগানো পপি গাছ ধ্বংস ও পুড়ে ফেলা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আফিম চাষিরা পালিয়ে যায়। এতে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ গোলাম আকবর পিএসসি, রুমা জোন কমান্ডার জানান, যে সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী এ দুই বাহিনী মিলে এ ধরনের যৌথ অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে

মাটিরাঙ্গায় চাকমা শিক্ষকের লাথিতে জ্ঞান হারালো বাঙালী ছাত্রী

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও শ্রেণি কক্ষেই শাহিনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীকে লাথি মারলেন চাকমা শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী শ্রেনি কক্ষেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চাকমা শিক্ষকের হাতে আক্রান্ত শাহিনা আক্তার তাইন্দংয়ের মুসলিমপাড়ার নোয়াব আলী সর্দারের মেয়ে। সে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।জানা গেছে, তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ড চলাকালীন দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোন কারণ ছাড়াই টেবিলের উপর উঠে শাহিনা আকতারের বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এসময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরে ফেলবো। এসময় তার সহপাটি শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণি কক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে। এবং ওই শিক্ষকের হাত থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাইন্দং বাজারে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতের হস্তক্ষেপ চাইছেন সন্তু লারমা



শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র ব্যোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। শ্রীলংকায় তামিলদের অধিক স্বায়ত্ত্বশাসন অর্জনে মোদী সরকার যে রকম ভূমিকা রেখেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামেও তিনি একই ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন ভারতে। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আগত এই সফরের আড়ালে কঠোর গোপনীয়তার সাথে তিনি এ বিষয়ে ভারতীয় দুইজন সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের চেষ্টা করছেন বলে নর্থইস্ট নাও নামে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।‌‌ ’Bangladesh: Push for Chittagong Hill Tracts Accord’ শিরোনামে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “তামিলদের অধিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সেভাবে লারমা নয়া দিল্লিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছেন যে, ভারতেরও উচিত পার্বত্য চট্টগ্রামে একই ভূমিকা পালন করা”

৫ম বারের মত উপজাতিদের পপি ক্ষেত ধ্বংস করেছেন বলিপাড়া জোন

বলিপাড়া জোন (৩৮ বিজিবি) প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বাংলাদেশের সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পাহাড়ি-বাঙ্গালী সম্প্রীতি ও সম্পর্ক উন্নয়নসহ আভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন ও মাদক নির্মুলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সোর্স ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক বলিপাড়া জোনের অধীনস্থ টেন্ডুমুখ সিআইও ক্যাম্প হতে আনুমানিক ০৩ কিঃমিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে কোআংপাড়া নামক স্থানে পপি চাষ করা হয়েছে । উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বলিপাড়া জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মুহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার এর নির্দেশে টেন্ডুমুখ সিআইও ক্যাম্প হতে ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ মোখলেছুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ঘটনাস্থলে গমন করে এবং ০৩ একর জমির উপর পপি চাষের সন্ধান পায়।

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

রুমায় ৪র্থ বারের মত উপজাতিদের অবৈধ পপি ক্ষেত ধ্বংস করেন নিরাপত্তাবাহিনী



বগালেক আর্মি ক্যাম্পের ১০ কি:মি: উত্তরে সৈকত পাড়ার নিকটে খুমি পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে পপি ক্ষেতের আবাদ করা হয়েছে।স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রে সংবাদ পেয়ে রুমা জোন থেকে উক্ত এলাকায় অভিযান করে পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রুমা জোন সদর হতে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান করে ১০ একর জমিতে ১২ টি পপি ক্ষেতের সন্ধান পায় নিরাপত্তাবাহিনী।সন্ধান পাওয়া আবাদকৃত পপি গাছগুলো পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়। পপি চাষের সাথে জড়িত চাষীদের আটক করার জন্য পার্শ্ববর্তী জুম ঘরে অভিযান পরিচালনা করেন সেনাবাহিনী। অভিযান করে জুম ঘরে বিপুল পরিমাণ পপি বীজ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা পপি বীজগুলোও ধ্বংস করা হয়।

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বাঙ্গালীদের আন্দোলনে ভূমি কমিশনের নির্ধারিত সভা স্থগিত

বান্দরবানে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের আগমনকে কেন্দ্র করে বান্দরবান জেলা পরিষদ ফটকে বিক্ষোভ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। এসময় তারা কমিশনের চেয়ারম্যানের গাড়ি অবরোধ করেন। ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারউল হক বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে আসার আগে থেকে জেলা পরিষদের গেইটের পাশের রাস্তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ব্যানারে শতশত বাঙ্গালী নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে পরিষদের নেতারা বাঙ্গালীদের অধিকারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। পার্বত্য বাঙ্গালীদের মধ্য থেকে ল্যান্ড কমিশনে সদস্য রাখা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কয়েকটি আইন সংশোধনের দাবি জানান। পরে ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান জেলা পরিষদের গেইটের কাছে পৌঁছালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যানের গাড়ী অবরোধ করে। গাড়ীর ভেতরে অবস্থান নেয়া ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যানে হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন তুলে দেন।

যৌথবাহিনীর অভিযানে সেনাসদস্য ও হেডম্যান হত্যায় জড়িত উপজাতি সন্ত্রাসী আটক

রাঙ্গামাটির রাজস্থলিতে সেনা টহলে হামলা চালিয়ে সেনা সদস্য নাসির হত্যা ও এর কিছুদির পর হেডম্যান দ্বীপময় তালুকদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক উপজাতি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। ২রা জানুয়ারি রবিবার বিকেলে উপজেলার মিতিঙ্গাছড়ি থেকে ভাগ্যরাম ত্রিপুরা(৩২) নামের ঐ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহমেদ খান সে বিলাইছড়ি উপজেলাধীন ফারুয়ার বাসিন্দা। ওসি জানান, ভাগ্যরাম ত্রিপুরা রাজস্থলী-কাপ্তাই ও বাঙ্গালহালিয়ার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। গ্রেফতারকৃত ভাগ্যরাম ত্রিপুরার বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রাজস্থলী থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেছিলো ভূক্তভোগী রমিজ মিয়া। সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে ফোন করে রাজস্থলীর হেডম্যান দীপময় তালুকদারকে হত্যায় একটি গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তাকেও সেই উপায়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে ভাগ্যরাম ত্রিপুরা। এছাড়া যৌথবাহিনীর ধারনা ভাগ্যরাম ত্রিপুরা রাজস্থলীর সেনা সদস্য নাসির ও হেডম্যান দ্বীপময় তালুকদার হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে।ওসি মফজল আহমেদ খান জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে রাঙামাটির আদালতে তাকে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ন তথ্য বের হবে বলে তিনি মনে করছেন।

একের পর এক মটর সাইকেল চালক কেন টার্গেট হচ্ছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের



খাগড়াছড়ি সাড়ে ৬ বছরে ১৬ মোটরসাইকেল চালক খুন ও গুম, খাগড়াছড়িতে যাত্রীবেশি সন্ত্রাসীদের হাতে ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল চালক খুন, অপহরণ, গুম ও হামলা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই এখন নিত্যনৈতিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত প্রায় সাড়ে ৬ বছরে খাগড়াছড়িতে অন্তত ৮জন মোটর সাইকেল চালক যাত্রীবেশীদের হাতে খুন হয়েছে। গুম হয়েছেন ৮জন। এদের মধ্যে একজন ছাড়া সকলেই খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। অপহরণ হয়েছে অন্তত এক ডজন। এছাড়া অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেল ছিনতাই ও চুরি হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যেমন বিচার পায়নি, তেমনি নিখোঁজ ব্যক্তিরা হয়তো ফিরে আসবে সে প্রতিক্ষায় আছে তাদের পরিবার- স্বজনরা। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে যাওয়ায় তাদের পরিবার-পরিজন অভাব-অনটনে দিন পার করছে। সে সাথে একের পর এক মোটর সাইকেল চালক খন-গুমের ঘটনায় প্রায় অস্থির হয়ে আছে খাগড়াছড়ি।