সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বাঙ্গালীদের আন্দোলনে ভূমি কমিশনের নির্ধারিত সভা স্থগিত

বান্দরবানে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের আগমনকে কেন্দ্র করে বান্দরবান জেলা পরিষদ ফটকে বিক্ষোভ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। এসময় তারা কমিশনের চেয়ারম্যানের গাড়ি অবরোধ করেন। ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারউল হক বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে আসার আগে থেকে জেলা পরিষদের গেইটের পাশের রাস্তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ব্যানারে শতশত বাঙ্গালী নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে পরিষদের নেতারা বাঙ্গালীদের অধিকারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। পার্বত্য বাঙ্গালীদের মধ্য থেকে ল্যান্ড কমিশনে সদস্য রাখা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কয়েকটি আইন সংশোধনের দাবি জানান। পরে ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান জেলা পরিষদের গেইটের কাছে পৌঁছালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যানের গাড়ী অবরোধ করে। গাড়ীর ভেতরে অবস্থান নেয়া ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যানে হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন তুলে দেন।

সংগঠনের আহবায়ক আলকাছ আল মামুন ভূইয়া বলেন, শস্যের মধ্যে ভূত আছে। কমিশনের চলমান কর্মকাণ্ডকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে পাহাড়ের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা এবং সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমি কমিশন আইনটি সংশোধনের দাবী জানাচ্ছি।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতা কাজী মজিবর রহমান পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে বলেন, পার্বত্য শাসনবিধি ও শান্তি চুক্তি বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে এবং নতুন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি নিষ্পত্তি আইন কমিশন গঠন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বিরাজ করবে এবং ভূমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। তাই জনগণের পাশে থেকে পার্বত্য অঞ্চলে সকল সমস্যা সমাধানের জন্য এবং ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য পার্বত্য নাগরিক পরিষদ জনগণের পাশে থেকে সকলকে সহযোগিতা করবেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যা সমাধানে জমা পড়া অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক। সোমবার সকালে বান্দরবানে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, ভূমি বিরোধ মীমাংসায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে কমিশন। এতে কারো আতংকিত হবার দরকার নেই।

তিনি আরো বলেন, জোর করে কাউকে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না। বিশেষ করে বাঙ্গালী ভাইদের। এখানে সাংবিধানিকভাবে যে বিধান আছে, সেভাবে আমরা বিরোধ নিষ্পত্তি করব। আইন সংশোধন করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই।

এর আগে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম ভবনের ৩য় তলায় দুইটি কক্ষ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (ল্যান্ড কমিশন) এর শাখা অফিস উদ্বোধন করেন কমিশন চেয়ারম্যান।
অফিস উদ্বোধনের পর কমিশনের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির প্রতিনিধিরা অনুপস্থিতির কারণে তা আর হয়নি। তবে কমিশন চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন।

আলোচনা সভায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত সভার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উপজাতীয় বিষয়ক টাস্কফোর্স এর শরণার্থী তালিকা নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ভূমি কমিশনের সদস্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, ভুমি বিরোধ কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, বান্দরবান বোমাং রাজা উচপ্রু চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউসার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি রক্ষা আন্দোলন কমিটি সভাপতি জুয়াম লিয়ান আমলাই উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]