বাঙ্গালী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাঙ্গালী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য ভূমি কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি : স্মারকলিপি পেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের শুনানিকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়।কমিশনের একপেশে শুনানি বন্ধের দাবিতে খাগড়াছড়িতে ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন ও প্রধানমস্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের শুনানির প্রতিবাদে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে খাগড়াছড়িস্থ ভূমি কমিশন বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়।

বান্দরবানে পার্বত্য ভূমি কমিশন সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান


পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬” সংশোধনের দাবিতে জেলা প্রশাসক,বান্দরবান পার্বত্য জেলার মাধ্যমে, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপিড়িত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করার প্রত্যায়ে নব গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক চিন্তা,চেতনাকে ধারন করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী যে সব যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন পার্বত্য শান্তি চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ল্যান্ড কমিশন গঠনের লক্ষ্যে যে আইন প্রণয়ন করা হয় যা ২০১৬ সালে চুড়ান্ত অনুমোদন পায়।

বাংলাদেশেও নাগরিক উৎখাত 'পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন'

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন -২০০১ এর সংশোধনী বিল ২০১৬ সালে পাস হয়। এই কমিশন নিখুঁত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী বিতারনের নীলনকশা তৈরী করেছে। বাস্তুহারা মানুষের আর্তনাদ কতটা কষ্টের তা ঐ ব্যাক্তি ছাড়া কেউ জানে না। একটা স্বাধীন দেশে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বাচতে চায়। কেউই চায়না তার অধিকার খর্ব হউক। সেটা ভারতের বির্তকিত নাগরিক আইন হউক কিংবা বাংলাদেশের পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন! পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্রের যে বীজ বোপণ হচ্ছে তা প্রতিহত করা সকল সচেতন নাগরিকের কর্তব্য! সম্প্রতি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে বারবার আলোচনা পর সর্বশেষ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং এই কমিশন লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে! মূলত একটা গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে এ কমিশন কাজ করছে ! পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন একটা সম্প্রদায়কে বেশি সুবিধা দিয়ে অন্য সম্প্রদায়, বিশেষ করে বাঙালিদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। যেখানে বৈষম্য আছে, সেখানে কখনো শান্তি আসতে পারে না। সংশোধিত আইনে ভূমি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের হাতে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টি করতে বাধ্য।

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানি প্রতিহতের ঘোষণা : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের আগামী ২৩ ডিসেম্বরের শুনানি একপেশে দাবি করে তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা ভূমি কমিশন আইন বাতিল করে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পতি কমিশনের পাহাড়ি-বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের সংখানুপাতে নেতৃত্ব নিয়োগের দাবি জানান। তারা বলেন, সংবিধান বিরোধী ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন জরিপের মাধ্যমে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। বৈষ্যমমূলক আইন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইঞা, যুগ্ন আহবায়ক সাবেক মেয়র আলমগির কবির, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ, আনিছুজ জামান ডালিম, নারী নেত্রী সালমা আহম্মেদ মৌ, আসাদুল্লাহ আসাদ, মাইন উদ্দিন।

পাহাড়ে ভূমি কমিশন আইন নিয়ে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত : পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, রাঙ্গামাটি

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন নিয়ে পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ শঙ্কিত। এই আইনে পাহাড় থেকে কোন বাঙ্গালি প্রতিনিধি না থাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষের সাথে আলোচনা না করে ভূমি কমিশন একপেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এভাবে কমিশনের কার্যক্রম চলতে থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করবে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা চত্ত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন করে কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে এবং কমিশন আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত কমিশনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে, তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতাকর্মীরা।

পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দারা ভূমিহীন হয়ে পড়বে : চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, বান্দরবন


পার্বত্য ভূমি কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ ও বাঙালি প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে বান্দরবানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সংগঠনটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এতে অংশ নেয়।মানবন্ধনে কাজী মুজিবুর রহমান বলেছেন- ভূমি কমিশন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠবে। বাঙালি প্রতিনিধিত্ব না থাকায় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ হানাহানি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে আইনটি অসাংবিধানিক।

পার্বত্য ভূমি কমিশনের শুনানী : পাহাড়ীরা স্বাগত জানালেও উদ্বিগ্ন বাঙালীরা

 পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জমা পড়া প্রায় ২২ হাজার আপত্তি আবেদন যাচাই-বাছাই করে শুনানীর সিদ্ধান্তে পাহাড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ শুনানীকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে এ শুনানী শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। পাহাড়ী নেতৃবৃন্দ এ শুনানীর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বিরাজিত ভূমি সমস্যার সমাধানে আশাবাদী হলেও বাঙালি সম্প্রদায় বৈষম্যমূলক ভূমি কমিশনের আইনে শুনানী হলে তাদের বিশাল জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে। ইতিমধ্যে শুনানীর প্রতিবাদে ২১ ডিসেম্বর(আজ) তিন পার্বত্য জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচী দিয়েছে। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির আলোকে প্রণীত হয় পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। চুক্তির আলোকে হয়নি এমন অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা শুরু থেকে এ আইনের বিরোধিতা ও কমিশন বর্জন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে সন্তু লারমার সাথে সুর মিলিয়ে সার্কেল চিফরাও ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বৈঠক বর্জন শুরু করলে কমিশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। অপরদিকে আইনটি বৈষ্যমমূলক ও সংবিধান বিরোধী এমন দাবী করে বাঙালি সংগঠনগুলোও হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচী দিয়ে আইনটি সংশোধনের দাবী জানিয়ে আসছে।

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন নিয়ে বাঙালিরা শঙ্কিত কেন?



গত ২৭ নভেম্বর রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে এক বৈঠক শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে কমিশনের শুনানি করা হবে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি বাঙালিরা উপজাতীয় প্রাধান্য বিশিষ্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এবং কমিশন আইনের উপর আস্থা রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ভূমি কমিশনে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি নেই। চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি; এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত), সংশ্লিষ্ট সার্কেল চিফ (উপজাতীয় এবং অনির্বাচিত) এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বা তার প্রতিনিধি (সরকারের প্রতিনিধি, যিনি বাঙালি বা উপজাতীয় যে কেউ হতে পারেন)। কমিশনের সচিব এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই উপজাতীয়দের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন।

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

পাহাড়ে সাধারণ পাহাড়ী ও বাঙ্গালীরা অস্তিত্বহীন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ



“পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” পাহাড়ি-বাঙ্গালীসহ সকল সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করে পাহাড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সংগঠনের অপতৎপরতা রোধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪ সংগঠনের চাঁদাবাজি, রাহাজানিতে পাহাড়ের কেউ রেহায় পাচ্ছে না এবং তাদের হানাহানি হত্যাযজ্ঞে তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্ষণে ক্ষণে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে অভিযোগ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এসব অবৈধ চাঁদাবাজি ও হত্যাকান্ডে ঘটনায় সাধারণ বাঙ্গালী ও পাহাড়িরা বলির পাঠা হতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। তাই তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করাসহ সবুজ পাহাড়কে রক্তে রঞ্জিত করতে যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে তার প্রতিরোধ গড়ে তোলাসহ জুম্মল্যান্ডের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী জানান সংগঠটির পক্ষ থেকে

‘পাহাড়ের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই’



খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সকল বাঙালি আঞ্চলিক সংগঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বের) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর কথা জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন করে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান কখনও সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

‘পাহাড়ে বাঙালিরা সন্ত্রাসীদের টার্গেট, পাহাড়িরা বলির পাঁঠা’



পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী হলো সন্ত্রাসীদের টার্গেট আর পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষ বলির পাঁঠা। গোষ্ঠীভেদে নির্যাতনের মাত্রা কমবেশী হলেও একটি বিশেষ গোত্র ছাড়া অন্যান্য সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নবগঠিত সংগঠন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শান্তিবাহিনীরা আত্মসমর্পণ করলেও কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের সশস্ত্র তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এবং চাঁদাবাজির টাকায় তাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার দিন দিন আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। আর এই চাঁদাবাজির টাকার লোভে জনসংহতি সমিতি ভেঙ্গে একের পর এক মোট চারটি উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয়েছে।

পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্যমন্ত্রীকে সহযোগিতার আশ্বাস -পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ



পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের স্বার্থ রক্ষার প্রতিশ্রতি নিয়ে বান্দরবানে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ এর আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে বান্দরবানে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকল নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন- ১৯৯৭সালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ করা হলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে এখনো পাহাড়ে সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। পাশাপাশি চাঁদাবাজির টাকায় অস্ত্রের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে। একটি জনসংহতি সমিতি ভেঙ্গে বর্তমানে চারটি উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয়েছে। পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা দেশপ্রেমিক নিরাপত্তা বাহিনীর নামেও নানা রকম ষড়যন্ত্র ও অপবাদ দিয়ে পাহাড়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে তৎপর রয়েছে।

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন বিতর্কের শেষ নেই, ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে

২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি ছিল। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময়ের সংঘাত তথা রক্তের হোলিখেলা বন্ধে ১৯৯৭ সালের এই দিনে সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি নামে অভিহিত। চুক্তির পর ইনসার্জেন্সি বন্ধ হয়েছে। এরপর কেটে গেছে একুশটি বছর। কিন্তু এ চুক্তি ও এর বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্কের যেমন শেষ হয়নি, তেমনি পাহাড়ী স্থানীয় রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ দিনের পর দিন যেন বেড়েই চলেছে। জেএসএস এবং এর বিরোধী ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) এর মধ্যে দু’গ্রুপ করে এখন চার গ্রুপ হয়ে যে সংঘাত বিশেষ করে চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জটিল যে রূপ বর্তমানে দৃশ্যমান তা শান্তিচুক্তির মূল লক্ষ্যকে ভুলুণ্ঠিত করছে। সবুজের পাহাড় প্রায়শ রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। ঝরে পড়ছে তরতাজা প্রাণ। ঝরে যাওয়া তালিকায় প্রতিনিয়ত স্থান করে নিচ্ছে পাহাড়ী-বাঙালী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা। সর্বশেষ রবিবার রাঙ্গামাটিতে জেএসএসের চাঁদাবাজির চীফ কালেক্টরখ্যাত বিক্রম চাকমা প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে।

শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপদ নন জনপ্রতিনিধিরাও

পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপদ নন জনপ্রতিনিধিরাও কথায় কথায় খুন অপহরণ, পাঁচ বছরে খুনের শিকার ৩২১ জন, প্রাণভয়ে থানায় মামলাও করে না ভুক্তভোগীদের পরিবার। সুনসান নীরব আর শান্ত পাহাড়ে জ্বলছে অশান্তির আগুন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা বা অপহরণের মতো ঘটনা ঘটছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুন আর অপহরণের ঘটনা ঘটছে চাঁদাবাজি আর নিজ দলের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে। মাত্র দুই দিন আগেও পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস-এর চিফ কালেক্টরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, উপজাতি সন্ত্রাসীদের হামলায় ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ বছরে ৩২১ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। আর ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন ৭২ জন। এর পেছনে কাজ করছে উপজাতিদের গড়ে তোলা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী। এসব সশস্ত্র আঞ্চলিক দলের অন্তঃকোন্দল, নিজেদের প্রভাব বিস্তারের ঘটনার বলি হচ্ছেন নিরীহ পাহাড়বাসী। সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের মুখে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

“পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” আত্মপ্রকাশের সংবাদ সম্মেলন

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিপীড়িত ও বঞ্চিত সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নবগঠিত “পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন হয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। তারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। সুজলা সফলা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এই জাতির জন্য স্রষ্টার দেওয়া এক শ্রেষ্ঠ উপহার। পাকৃতিক সম্পদে ভরপুর অপরূপ সৌন্দর্যময় সবুজ পার্বত্য ভূমি নিয়ে ষড়যন্ত্র আজকের নয়। সেই ১৯৪৭ এ দেশ বিভাগের সময় থেকেই এ অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। যে কারণে ৪৭ এ দেশ বিভাগের সময় যেমন পার্বত্য এলাকার কতিপয় উপজাতীয় নেতৃবৃন্দের ইন্ধনে সাধারণ জনগোষ্ঠীকে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছিল, তেমনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ও একই গোষ্ঠী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আর এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ১৯৭৪ সালে এক ঠুনকো অজুহাতে শান্তিবাহিনীর ন্যায় একটি পাহাড়ি জংঙ্গি সংগঠনের জন্ম হয়।

পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ' নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে নিজেদের অধিকার আদায় সহ সকল বৈষম্যে বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করা বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক বাঙালি সংগঠন এবার নিজেদের মধ্যকার অতীতের ভূল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একই মঞ্চে উঠে এসেছেন। নিজেদের সকল সংগঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে “পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” নামে নতুন সংগঠনের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এ সময় এ সংগঠনের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ নামের দুটি সংগঠনের নাম ঘোষণা করা হয়। এই সংগঠনগুলো শুধুমাত্র বাঙালিদের নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকল নিপীড়িত মানুষের অংশগ্রহণের দ্বারও উন্মোচন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সংগঠনটির নেতারা।

খাগড়াছড়ি'র বাঙালী যুব সমাজের অহংকার এ্যাড: জসীম উদ্দিন মজুমদার

বাঙালী যুব সমাজ তথা খাগড়াছড়িবাসীর অহংকার এ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন মজুমদার। ১৯৭৮ সালের ২২শে নভেম্বর জন্ম গ্রহন করেন। ২০০০ সালে খাগড়াছড়ি এপি ব্যাটালিয় হাই স্কুলে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজী) হিসেবে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশায় অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করিয়েছেন। ২০০৫ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে ডেইলী স্টার পত্রিকায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। শিক্ষায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স জসীম উদ্দিন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবি হিসেবে অন্তভুর্ক্ত হন। ২০১১ সাল থেকে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খাগড়াছড়ি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি ডেইলী সান, ট্রিবিউন, গাজী টিভি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিসহ একাধিক মিডিয়ায় কাজ করেছেন। এ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন মজুমদার নিজ যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা দিয়ে নিজের চরিত্রকে এক অসাধারণ অনন্য উচ্চ আসনে আসীন করে নিয়েছেন। কোন প্রকার দুর্নীতি, অন্যায় ও মানবতা বিবর্জিত এমন কোন কাজ আছে বলে মনে হয় না। মানুষ মানুষই, কখনো ফেরেশতা নয়, ভুলের ঊর্ধ্বে কেউই নয়। তথাপিও তার চরিত্রের এ সমস্ত অসাধারণ গুনাবলীকে ম্লান করতে পারে কিংবা ন্যুনতম কলংকিত করতে পারে এমন কোন উল্লেখযোগ্য দোষ, ত্রুটি এখনো পর্যন্ত খুজেঁ পাওয়া যাবে কি না জানা নেই। সমাজের সকল শ্রেণি, পেশা, বর্ণ, সকল গোত্রের মানুষ, যাদেরকে তিনি একবার দেখেছেন বা চিনেছেন, পরের দেখায় তাদের সাথে নিজের আপন রক্ত সম্পর্কের মানুষদের মতোই হাসিমুখে কথা বলেন, জড়িয়ে ধরেন, তাদের সুখ দু:খ শেয়ার করেন, তাদের যে কোন সমস্যাকে সাধ্যমতো সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা করেন। তাই যুব সমাজ তথা খাগড়াছড়িবাসীর কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয় একটি নাম এ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন মজুমদার।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না


পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হলে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, পার্বত্য চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ভূমির মালিকানা। এই একটিমাত্র বিষয় বাস্তবায়ন করলে আর কিছুই করতে হবে না। এমনিতেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এএলআরডি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন বনাম পার্বত্য চট্ট্রগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এ সব কথা বলেন। সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি শান্তিচুক্তি পূর্ণবাস্তবায়নের জন্য আশা জিইয়ে রাখছি। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের এখনকার যে পরিস্থিতি এবং কিছুদিনের পত্রিকা দেখে আমার মনে হয়েছে আমরা যেন জিয়া-এরশাদের আমলে ফিরে গেছি। সেদিন যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামরিক সমাধানের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিলো তেমনি মনে হচ্ছে এখনও সেই সামরিক সমাধানের পক্ষেই আমরা এগুচ্ছি। শুধু এগুচ্ছি না, আমরা এ ব্যপারে অগ্রসর হচ্ছি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সব বাঙ্গালী সংগঠন বিলুপ্ত হচ্ছে, আসছে নতুন সংগঠন

তিন পার্বত্য জেলায় বাঙালিদের সক্রিয় সব সংগঠন বিলুপ্ত করে একটি সংগঠনের ব্যানারে কাজ করার কথা ভাবছেন সিনিয়র নেতারা। এরইমধ্যে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সাড়াও মিলেছে। ঐক্যবদ্ধ করার কাজও এগিয়েছে অনেকদূর। এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামে আত্মপ্রকাশ করার অপেক্ষায় সংগঠনটি। এতে অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলে মত, ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারীদের। দীর্ঘদিন পর এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সুশীল সমাজ। দেশের ভূ-খন্ডের এক দশমাংশ এলাকা জুড়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিসহ মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয় বাঙালিদের দশটি আঞ্চলিক সংগঠন। পাহাড়ের নানা সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের কথা বললেও প্রায়ই বিভক্তি আর নেতৃত্ব নিয়ে ভাঙ্গা গড়া চলে এসব সংগঠনে। ফলে বিক্ষিপ্ত আন্দোলনে গতি আসেনি কখনোই। তবে সবাইকে এবার এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে যায় সিনিয়র নেতারা। সক্রিয় সব সংগঠন বিলুপ্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নামে নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে চান তারা।

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য চুক্তি হয়েছিল লিখিত-অলিখিতভাবে: সন্তু লারমা



পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেছেন, চুক্তি হয়েছিল দু’ভাবে। একটি লিখিতভাবে অন্যটি অলিখিত ভাবে। এই অলিখিত চুক্তির মধ্যে অন্যতম হল পাহাড়ের বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন করে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যে নিরীহ বাঙালিদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদেরকে সম্মানজনকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসন করা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘‘জাতীয় নাগরিক” উদ্যোগে রাজধানীর উইমেন্স ভলান্টারি এসোসিয়েশন্স মিলায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।