সেনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সেনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০২০

মাটিরাঙ্গার ৫ মার্ডার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট : বিজিবি'র অপেশাদার আচরণ এবং নিরস্ত্র ছিল নিহত গ্রামবাসীরা

গ্রামবাসীকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গত ৩ মার্চের সহিংসতার ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ গঠিত কমিটি গতকাল বুধবার (১১ মার্চ) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে হয়েছে দাবি করেছেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার রিজাউল করিম। এর বেশী প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি তিনি। তবে নাম প্রকাশে অনচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজিবি সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিডিও চিত্র এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার পেছনের ৫ টি তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে মন্তব্যসহ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিজিবি’র পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে জড়িয়ে হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও হত্যার অভিযোগ থাকলেও নিহত গ্রামবাসীরা নিরস্ত্র ছিল বলে জানানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। বিজিবির ওপর গ্রামবাসী ও নিহতদের হামলার অভিযোগটির সত্যতা পায়নি কমিটি।

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯

গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য ঘরে ঘরে শীতবস্ত্র নিয়ে গেলেন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার



কয়েকদিনের তীব্র শীতে অসহায় হয়ে পড়েছে পাহাড়ের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য ঘরে ঘরে শীতবস্ত্র নিয়ে গেলেন, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান। দিনব্যাপী আইন-শৃঙখলা রক্ষাসহ নানা দাফতরিক কাজ শেষে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে শীতার্ত মানুষের দরজায় দাঁড়াচ্ছেন কম্বল নিয়ে। পরম মমতায় উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবি মানুষের মাঝে। কুয়াশা ঢাকা কনকনে সীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সোয়া ৯টা পর্যন্ত গুইমারার দুর্গম পাহাড়ী পল্লী আমতলী পাড়া ও বড়পিলাকসহ আশেপাশের এলাকায় কম্বল বিতরণ করেন।

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গকারী কবিদের সাজার মেয়াদ বাড়ালো মিয়ানমার আর পার্বত্য চট্টগ্রামে?



সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গকারী কবিদের সাজার মেয়াদ বাড়িয়েছে মিয়ানমারের একটি আদালত। এ কবিরা ‘পিকক জেনারেশন’ নামে একটি কাব্যদলের সদস্য। সেনাবাহিনীকে নিয়ে স্যাটায়ার বা ব্যঙ্গাত্মক পরিবেশনার দায়ে গত এপ্রিলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে গত মাসে কাব্যদলটির পাঁচ সদস্যকে এক বছরের কঠোর সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এরমধ্যেই ১৮ নভেম্বর সোমবার একই অভিযোগে তাদের আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত। তবে নতুন রায়ে আরও একজন কবিকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী সান সান মাইয়িন্ত রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই তারা যে সাজা ভোগ করছেন তার সঙ্গে নতুন সাজা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, তাদের বাড়তি ১৮ দিন কারাগারে থাকতে হবে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, মামলা এখানেই শেষ হয়। দেশটির আরও একাধিক শহরে এই কবিদের বিরুদ্ধে বহু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯

সেনাবাহিনীকে ব্যঙ্গ করায় মিয়ানমারে ৫ কবির জেল, আর পার্বত্য চট্টগ্রামে?


মিয়ানমারের সেনাদের ব্যঙ্গবিদ্রূপ করে নাচ-কবিতা-হাস্যরসের আসর বসিয়েছিল পিকক জেনারেশন নামে কবিদের একটি দল। এই অপরাধে কবিদলের সদস্যদের এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত কবিদের এ বছর এপ্রিলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা হলেন, কে কাহিন তুন, জে ইয়ার লুইন, পিয়াং পিয়ো মিন, পিয়াং ইয়ে তু এবং জো লিন হাতু। ফেসবুকে আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করায় ৩ জনকে দেওয়া হয়ে বাড়তি জেল। মিয়ানমারের সংস্কৃতির অংশ ‘থানগিয়াট’ নামের ওই পরিবেশনায় পার্লামেন্টে সেনাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে বিদ্রূপ করা হয়েছে। সেনা পোশাক পরিহিত কুকুরকে তারা জনসমক্ষে প্রদর্শন করেন।

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯

চট্টগ্রামের জিওসিকে উপজাতি জঙ্গি মগনেন্ট জুম্মার হুমকীর প্রতিবাদ

সাহস দেখানো ভালো, তবে অতি সাহস দেখানো মোটেও ভালো নয়। বলছিলাম, উপজাতীয় করুনালংকার ভিক্ষুর কথা। যিনি চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান মহোদয়কে হুমকি দিয়ে বিড়ালের মত মিউমিউ গর্জন দিয়েছেন। ভাবতে অবাক লাগে করুনালংকার ভিক্ষু ভারতে বসে বাংলাদেশ ও দেশের সামরিক বাহিনীকে নিয়ে উস্কানিমূলক মনগড়া মিথ্যাচার করা তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে।ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করছেন। দেশের বাহিরে বসবাস করে অনেক কিছু বলা যায়, লেখা যায়। তবে যোগ্যতার বাহিরে লেখা বা বলা যেমন মূর্খতার কাজ, তেমনি নির্লজ্জতারও শামিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পিসিজেএসএস এর মধ্যকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্তানুযায়ি, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সেনাবাহিনী হলো বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় বৃহত্তম বাহিনী। আধুনিক বিশ্বে এই বাহিনীর রয়েছে অনেক অনেক সুনাম। জাতি সংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় পারদর্শিতার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কাছে আজ প্রশংসিত ও রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। অথচ করুনালংকার ভিক্ষু শুধুমাত্র উপজাতীয় নেতা হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান মহোদয়কে নিয়ে একের পর এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট লেখালেখি শুরু করেছে। তিনি আলোচনায় আসার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন! তিনি নিজেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সহ-সভাপতি দাবির পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙে জুম্মাল্যান্ড গঠন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার জন্য তৎদবির করছেন!

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

পাহাড়ের নিরাপত্তা কৌশলের পুন:বিন্যাস জরুরী


মেহেদী হাসান পলাশ : আপাতদৃষ্টিতে শান্ত ও স্বস্তির পার্বত্য চট্টগ্রাম হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। একের পর এক আলোচিত ও শীর্ষ খবর হওয়ার মতো ঘটনার জন্ম হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য বাসন্তী চাকমার বক্তব্য, বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উপরে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ৮ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে এক উপজাতীয় সন্ত্রাসী নিহত হবার পর ঘটনাস্থল থেকে ৭ টি এসএমজি ও ৪৩৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার, রাজস্থলীতে মগ লিবারেশন পার্টির সাথে স্থানীয় উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনের গুলিবিনিময়ে ৭জন নিহত হওয়ার খবর(যদিও ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে হতাহতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বড় ধরনের হামলার হুমকি, জেএসএস ও ইউপিডিএফ(মূল) শীর্ষ নেতার এক সাথে দেশের বাইরে অবস্থান প্রভৃতি ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন মাঝে মাঝেই জাতীয় গণমাধ্যম এর শীর্ষ সংবাদ’-এ উঠে আসছে। হয়ে উঠছে উত্তপ্ত। এ সবের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস নির্মূলে চিরুণী অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোট ১৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে ৮ টি এসএমজি। এছাড়াও একই সময়ে প্রায় সাড়ে চারশত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে।

বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও বাঙালী এলো কেন?


মাহের ইসলাম: পার্বত্য চট্রগ্রামের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, কিছু কিছু শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি শুধুমাত্র পাহাড়িদের বঞ্চনা এবং অত্যাচারিত হওয়ার নির্বাচিত অংশ বিশেষের উপর আলোকপাত করেন এবং কোন এক অজানা কারণে পুর্ণাঙ্গ সত্য এড়িয়ে যান। এতে হয়তো, পাহাড়িদের প্রতি সহানুভূতি আদায় করা সহজ হয়; কিন্তু প্রকৃত সত্য আড়ালের দায় এড়ানো যায় না। পাহাড়িদের প্রতি ভালোবাসা থেকে বা অন্য বিশেষ কোন কারণে কেউ কেউ এমন করতে গিয়ে হয়ত ভুলে যান যে, কিছু লোকের জন্যে সহানুভূতি আদায়ের এই পদ্ধতি অন্য অনেক লোকের প্রতিও এক ধরনের বঞ্চনার সৃষ্টি করছে। সর্বোপরি, সত্য গোপনের দায়ভারও কিন্তু তার উপর বর্তায়। কোন সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের অন্য যে কোন অঞ্চলের তুলনায় পার্বত্য চট্রগ্রামে অস্বাভাবিক বেশী সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তেমনি এটাও সত্যি যে, আশির দশকে দেশের অন্যান্য স্থান থেকে বাঙ্গালীদেরকে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮

পাহাড়ে কি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী?


মেধাবি সেনা অফিসার হিসেবে মেজর হতে বেশিদিন লাগলো না আমার। এর মধ্যে “কঙ্গো” আর “সিয়েরা-লিয়ন” ঘুরে এসেছি দুবার UN-মিশনে। ৩০-টা দেশের জাতিসংঘ বাহিনির মধ্যে বাঙালির সুনাম আফ্রিকাতে সবচেয়ে বেশি! কৃষ্ণাঙ্গ নারী-পুরুষেরা খুবই শ্রদ্ধা করে বাঙালি সেনাদের। কারণ এখন পর্যন্ত কোন ধর্ষণ বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বাংলাদেশি সেনাদের দ্বারা। বরং মানবিকতায় বাংলাদেশি সেনারা এখন বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যা আরো খ্যাতি লাভ করেছে, কক্সবাজারে বার্মিজ রোহিঙ্গাদের সেবা পরায়নতায় দৃষ্টান্তে। যখন বন্যার ঢলের মত ঝড়বৃষ্টির মাঝে খালি হাতে ঢুকতে থাকলো লাখো রোহিঙ্গা কক্সবাজার বর্ডার দিয়ে। একরাতের নোটিসে আমার পুরো কোম্পানি নিয়ে হাজির হলাম সেখানে। গাছতলায় যেখানে সেখানে পথে-ঘাটে স্কুলে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ আর শিশুরা। মাস তিনেক সেখানে পোস্টিং ছিল আমার। এতো বিশৃঙ্খলার মাঝেও আমাদের সেনারা চরমতম ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করেছে সব কিছু। লাখো ছিন্নমুল রোহিঙ্গা বিধবা কিংবা যুবতি থাকলেও, কোন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি সেখানে, যা এক বিস্ময়কর ব্যাপার আজকের সভ্য বিশ্বে! অথচ আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের অন্তত ১০/১২ ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হয়েছিল বিশ্ব মিডিয়ায়!

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

পাহাড়ের শান্তি-সম্প্রীতি ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে সেনাবাহিনী'


ফাতেমা জান্নাত মুমু : পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি-সম্প্রীতি ও শিক্ষার উন্নয়নে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমাজ ও আর্তমানবতার সেবায়ও নিয়োজিত তারা। পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিন জেলায় মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বৃত্তি ও সহায়তামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এছাড়া সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শিক্ষা ছাড়াও এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, আর্থ-সামাজিক, সংস্কৃতি ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। তাই তিনি পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি-শৃংখলা শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়নে ধারাকে অব্যাহত রাখতে পাহাড়ি বাঙালিসহ সব জনগোষ্ঠীর মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭

পাহাড়ের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব ও অহংকার

রাত আনুমানিক আড়াইটা। চেলাছড়া, দিঘীনালা, খাগড়াছড়ি। দীর্ঘ চার ঘন্টা হেঁটে অবশেষে লেফটেন্যান্ট মুসফিক তার সতেরজন রেইডার্স আর একজন সোর্স সহ টার্গেট এলাকায় এসে পৌছুলেন। লক্ষীছড়ি ক্যাম্প থেকে বেরুবার পর পথে সাতটা ছড়া আর ছয়টা উঁচু পাহাড় পেড়িয়ে আসতে হয়েছে। অবশ্য সোর্স রাস্তাটা বেশ ভাল করেই চিনত বলে দুরত্বের তুলনায় সময় বরং কমই লেগেছে বলা চলে। গঙ্গারামছড়া পার হয়েই রেইডার্সরা সবাই এক ফাঁকে অস্ত্রের নল আর বাটে লাগা কাদাবালি পরিস্কার করে নিয়েছে। সিদ্দিকছড়ি ক্যাম্প থেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট সাইদের দলটাও ইতোমধ্যে উল্টাছড়ি গ্রামের পাশদিয়ে বয়ে চলা খালের পশ্চিম পাড়ে পজিশন নিয়েছে বলে ওয়্যারলেসে জানা গেছে। পরিস্থিতি কোন কারনে মুসফিকের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সাইদ এগিয়ে আসবে। গা ছমছমে অন্ধকার ভেদ করে মুশফিক সামনের বিশাল পাহাড়ের গায়ে লুকানো জুম ঘরটা সনাক্ত করার ব্যর্থ চেস্টা করলেন। আকাশটা আজ কিছুটা মেঘলা বলেই অপারেশনটা প্ল্যান করা, যেন প্রতিকুল আবহাওয়ার সুযোগে শত্রুর অগোচরে টার্গেটের খুব কাছাকাছি যাওয়া যায়। আঁধার অবশ্য দ্বিমুখী, নিজেদের দৃস্টিসীমাও কমিয়ে দেয়। যাহোক, অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়ে সোর্সকে ইশারায় পাশে ডাকলেন।

সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হুসিয়ারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এক পাহাড়ী বৌদ্ধ তার ফেসবুক মন্তব্যে: এখনি সময় তিন পার্বত্য জেলা থেকে মুসলিম বাঙালিদের উৎখাত করার!

হুসিয়ারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এক পাহাড়ী বৌদ্ধ তার ফেসবুক মন্তব্যে: এখনি সময় তিন পার্বত্য জেলা থেকে মুসলিম বাঙালিদের উৎখাত করার! একটা দেশের সার্বভৌম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কতটা নাজুক পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী নাগরিকের উপর নজর দিলে বুঝা যায়। বাংলাদেশ পুলিশ র‍্যাব সেনাবাহিনী পারে নিজেদের সহপাঠি ও বেসামরিক নাগরিক দের ধরে জঙ্গি বানিয়ে হত্যা করতে কিন্তু যারা দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশের হয়ে কাজ করে তাদের কি করা উচিৎ আপনারা মন্তব্য করুন। হুসিয়ারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এক পাহাড়ী বৌদ্ধ তার ফেসবুক মন্তব্যে: এখনি সময় তিন পার্বত্যজেলা থেকে মুসলিম বাঙালিদের উৎখাত করার! নিম্মে তার ছবি ফেসবুক মন্তব্য? এখনি সময় তিন পার্বত্যজেলা থেকে মুসলিম বাঙালিদের উৎখাত করার, আমাদের বন্ধুদেশ বার্মা যেভাবে আরাকান রাজ্য মুক্ত করছে এখন, আমরাও সেভাবেই কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সহযোদ্ধারা সবাই যন্ত্রপাতি রেদি রাখো যে কোনো সময় নির্দেশনা আসতে পারে ।এখনি সময় তিন পার্বত্যজেলা থেকে মুসলিম বাঙালিদের উৎখাত করার,

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

বন্যার্তদের পাশে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী! আজ সুশীলরা কোথায়?

সারাদেশে বন্যার্তদের পাশে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিন্তু আজ সুশীল নামধারীরিা কোথায়? সুশীল নামের একশ্রেণীর দুপাও জানোয়ার আছে আমাদের দেশে, তারা নাকি বাংলাদেশি নাগরিক? তারা নাকি মানবতাবাদী? দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীদের জন্য তাদের মানবীয় গুনের অন্তঃ নেই, প্রতিবাদে মুখরিত বাংলার রাজপথ, সেনাবাহিনীর সমালোচনার সুযোগ পেলেই প্রতিবাদের আগুন জ্বলিয়ে রাজপথ দখলে রাখে বাংলার ডাষ্টবিনে পরিত্যক্ত পিতৃত্বহীন প্রগতিশীল সচেতন ছাত্র সমাজ। শাহবাগে বসে যায় সেই প্রতিবাদী গাজার আসরে। কিন্তু এখন তাদের মুখদিয়ে টু শব্দও বের হচ্ছেনা। বন্যায় অসহায় মানুষ হাবুডুবু খেলেও তাদের মানবতার জোয়ারে ভাটা পড়ছেনা, লক্ষলক্ষ মানুষ পানিবন্ধী মানবেতর জীবনযাপন করছে কই তারা তো সাহায্য করছেনা,সাহায্য করছে আমার দেশ রক্ষক সেনাবাহিনী।

বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ৫০ জন পাহাড়ি যুবক-যুবতীর কর্মস্থান

সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালে রাঙামাটির ৫০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীন বেকার যুবক-যুবতীকে কর্মস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে চাকরী প্রার্থীদের যাচাই-বাচাই পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়।চলে দিনব্যাপী। সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালের প্রায় ৬টি পদে রাঙামাটির নানিয়ারচর, কাউখালী, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, কাপ্তাই ও সদর উপজেলা থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মোট ২৫০জন চাকরী সম্ভাব্য প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেজর জেনারেল জন গমেজ, পরিচালক ড. নাহিয়ান চৌধূরী ও ড. এহাসিয়ানুর রহমান চাকরী প্রার্থীদের মুখিক পরীক্ষা ও যোগ্যতা যাচাই-বাচাই করেন। এসময় রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক ও জেনারেল স্টাফ অফিসার মেজর রাকিক উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

যারা বলেন, পাহাড়ের মানুষ সেনাবাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট; তাদেরকে বলছি?

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী না থাকলে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ভিসা নিয়ে আপনাকে যেতে হতো। তাহলে কি পাহাড়ের মানুষগুলো খারাপ? না, তারা খারাপ না, তারা খুব সহজ সরল। কিন্তু সেই পার্বত্য অঞ্চলগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে আসছে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছবি আপলোড দেয় যা দেখে অনেকমানুষ দ্বিধার ভিতরে পরে যায়। আসলে ছবিগুলো ভুয়া। একজনের বাপ মরে যাওয়ায় কাঁদতেছে, আর সন্ত্রাসীরা সেটা আপলোড দিয়ে বলল যে সেনাবাহিনী তার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তাই লোকটা কাঁদতেছে। বাংলাদেশের কিছু কিছু বোকাদেরকে নতুনভাবে বোকা বানানোর কি অদ্ভুত কৌশল! তারাই সবসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে অপপ্রচার চালায় কারণ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রধান বাধা এবং শত্রু আমাদের সেনাবাহিনী। আচ্ছা ভাই, আপনি নির্দ্বিধায় সেনাবাহিনীকে অপবাদ দেন কিভাবে? আপনি এসির ভিতরে বসে থেকে পাহাড়ের খবর জানেন কিভাবে? পাহাড়ে কি আপনার এজেন্ট আছে নাকি?

বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭

পাহাড়ে কেন দোষী সেনাবাহিনী

পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমান উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে শুরু করে ক্ষুদ্র পানের দোকানীকেও নির্দিষ্ট হারে উপজাতীয় সসস্ত্র গ্রুপদের চাঁদা দিয়ে চলতে হয়। এদিকে সরকারি চাকরিজীবিদের মাসিক কিস্তি তো আছেই। সরকারি ভ্যাট যেমন কোন পন্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের জন্য অপরিহার্য তেমনি উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে পাহাড়ে বসবাস করাও অপরিহার্য। চাঁদা না দিলেই পরিনতি ছাদিকুল। আমাদের পার্বত্য সাধারন নাগরিকদের জন্য সরকারের বাইরেও আরেকটি সরকার রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল ব্যতিত সারা দেশের মানুষ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সরকার অধীন। আর পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও রয়েছে উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রনীত শাষন ব্যবস্থা। বাংলাদেশ সরকারের আইন ভংঙ্গ করলে জেল, জরিমানা, আর উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের আইন ভংঙ্গ করলে মৃত্যু। এভাবেই যখন পার্বত্য বাঙ্গালী অর্থনৈতিক ভাবে নিরুপায় হয় তখন পরিনতি হয় ছাদিকুল। এহেন পার্বত্য উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের শাষন ব্যবস্থায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। কেননা, সেনাবাহিনী পাহাড়ে আছে বলে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে অন্তত নিরাপদে বাড়িতে ঘুমাতে পারি। নচেৎ সেটাও সম্ভব ছিলো না।

বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ধস, অযাচিতভাবে প্রশ্নের তীর বাঙালিদের দিকে।


গত ১১-১৩ জুন ভারি বর্ষণের সময় বৃহত্তর চট্টগ্রাম, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজারে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের করণে প্রাণহানির ঘটনা একবারে নতুন না হলেও এ বছরের পাহাড়ধসজনিত বিপর্যয় ইতিপূর্বের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের মধ্যে নিঃসন্দেহে রাঙ্গামাটিতে এ বছর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। মর্মান্তিক মানবিক বিপর্যয়ের এই বিষয়টি সামনে রেখে বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশনে টক-শোসমূহে বক্তাদের বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের অযাচিত মন্তব্য এবং বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার রিপোর্টগুলোতে আপাত দৃষ্টিতে সাম্প্রতিক পাহাড়ধসের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী করা হচ্ছে।

পাহাড় ধসের ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে।


‘সমরে আমরা- শান্তিতে আমরা, সর্বত্রই আমরা দেশের তরে’- এই স্লোগান বুকে ধারণ করে দেশের সেবায় সদা প্রস্তুত থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এই বাহিনীর সদস্যরা। এবারও এমনই এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করল সেনা বাহিনী সদস্যরা। রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে রাস্তায় নেমে আসা মাটি সরিয়ে বন্ধ সড়ক যোগাযোগ চালু করতে গিয়ে নতুন পাহাড় ধসে শহীদ হন সেনাবাহিনী ২ কর্মকর্তাসহ ৫ জন। একই ঘটনায় আরো ৯ সেনাসদস্য আহত হয়। যাদের মধ্যে ৫ জনের গুরুত্বর। এদিকে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ধংস স্তুপ সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ পুন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিশেষ করে সামাজিক গণ মাধ্যমগুলোতে সেনাবাহিনীর এই কর্তব্যনিষ্ঠা ও আত্মত্যাগের ভূয়সী প্রসংশা করে হাজার হাজার পোস্ট করা হয়।

পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের খবর না নিয়ে সন্তু লারমা- ঊষাতনরা নিজেদের আখের গোছাঁতে ব্যস্ত : দীপংকর

রাঙ্গামাটিতে ভূমি ধ্বসে নিহত ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের কাউকে একটি বারের জন্য দেখতে যায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ও উষাতন তালুকদার এমপি। পার্বত্য অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী করে তারা নিজেদের আখের গোচাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।তিনি বলেন পাহাড়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অস্ত্রের মুখে চাঁদা আদায় করলেও এসব লোক এখানকার জনগনের কল্যাণে কোন কাজ করে না। দূর্যোগে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা পুরন করতে সময়ের প্রয়োজন তবে এ সময়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকাটাই আসল মনুষ্যত্বের পরিচয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার একটি আঞ্চলিক মহল নিজেরা দূযোর্গের পর ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে না থেকে বর্তমান সরকারকে সমন্বয়হীনতার দোষারোপ করছে।

সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের দায় কি বাঙালি বসতিদের?


প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বাংলাদেশ। এদেশে অতিবর্ষণে প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। তবে গত ১১-১৩ জুন ২০১৭-তে ভারি বর্ষণের সময় বৃহত্তর চট্টগ্রাম, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজারে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। ওই ঘটনায় ৫ জন সেনা কর্মকর্তাও মারা গেছেন। যারা সাহসের সঙ্গে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অকালে ঝরে যান মাটিচাপা পড়ে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের করণে প্রাণহানির ঘটনা একবারে নতুন না হলেও এ বছরের পাহাড় ধসজনিত বিপর্যয় ইতোপূর্বেও সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের মধ্যে নিঃসন্দেহে রাঙামাটিতে এ বছর প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। মর্মান্তিক মানবিক বিপর্যয়ের এই বিষয়টি সামনে রেখে বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশনে টক-শো সমূহে বক্তাদের বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের অযাচিত মন্তব্য এবং বিভিন্ন প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকাগুলোর রিপোর্টগুলোতে আপাতদৃষ্টিতে সাম্প্রতিক পাহাড় ধসের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী করা হচ্ছে। গত ১৬ জুন ২০১৭ তারিখে প্রথম আলো পত্রিকায় ‘ছয় বছরে নিহতদের ৬৪ ভাগ বাঙালি’ শিরোনামের একটি কলামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, বন ও পাহাড় কেটে যত্রতত্র বাঙালি পুনর্বাসন করা হয়েছে। অধ্যাপক আখতার পার্বত্য অঞ্চলের এই বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে যথেষ্ট গবেষণা করে উপরোল্লেখিত মন্তব্য করেছেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগলিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি একেবারে সরলীকরণ করে পক্ষপাতমূলকভাবে কোনো একটি জনগোষ্ঠীর উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ অবিবেচনা প্রসূত।

বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭

পাহাড়ে অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পুণরায় চালু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে


বেশ অনেকটা দিন তুলনামূলক শান্ত থাকার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ফের আলোচনায় এসেছে। এই অঞ্চলে নতুন করে অরাজকতা ছড়িয়ে না পড়লেও বিভিন্ন সন্দেহজনক ঘটনাকে পুঁজি করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে পাহাড়ে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির পথ সুগম করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। আমি মনে করি, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শান্তিচুক্তির ২০ বছর পরও পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার একটি বড় অংশ যে এখনো সামরিক রয়ে গেছে, তার জাজ্বল্যমান প্রমাণ এগুলো। আমার বিশ্বাস, পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার পেছনে কোন না কোন মিলিটারি ব্রেন কাজ করছে। এটা নেহায়েত স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাজ নয়। প্রশ্ন হতে পারে, কেন এখন পার্বত্য চট্টগ্রামে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে একটা বিস্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে? যেহেতু, এখনো সামরিক প্রচেষ্টা সংবরণ হয়নি, সেহেতু বিচ্ছিন্নতা বাদীদের ছত্রধররা সাধারণ একটি সামরিক সূত্রে কাজ করেছে বলে আমার ধারণা। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক সম্প্রসারণ চলছে। দুটি আনকোরা পদাতিক ডিভিশন ও কতিপয় সহায়ক ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।