বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ৫০ জন পাহাড়ি যুবক-যুবতীর কর্মস্থান

সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালে রাঙামাটির ৫০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীন বেকার যুবক-যুবতীকে কর্মস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে চাকরী প্রার্থীদের যাচাই-বাচাই পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়।চলে দিনব্যাপী। সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালের প্রায় ৬টি পদে রাঙামাটির নানিয়ারচর, কাউখালী, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, কাপ্তাই ও সদর উপজেলা থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মোট ২৫০জন চাকরী সম্ভাব্য প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেজর জেনারেল জন গমেজ, পরিচালক ড. নাহিয়ান চৌধূরী ও ড. এহাসিয়ানুর রহমান চাকরী প্রার্থীদের মুখিক পরীক্ষা ও যোগ্যতা যাচাই-বাচাই করেন। এসময় রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুক ও জেনারেল স্টাফ অফিসার মেজর রাকিক উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালের মারকেটিং পরিচালক ড. এহাসিয়ানুর রহমান জানান, সিলেটবাসীদের উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থার জন্য আল-হারামাইন কোম্পানী একটি হাসপাতাল করেছেন। যার নাম- আল আল-হারামাইন হাসপাতাল। হাসপাতালের বিভিন্ন পদের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০জনবল নিয়োগ দিয়েছি আমরা। আমাদের পরিকল্পনা ছিল সিলেটের বাইরেও কিছু সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেওয়ার। তার জন্য রাঙামাটি আসা। এ হাসপাতাল উন্নত যন্ত্রপাতিসহ দক্ষ চিকিৎসক ধার পরিচালিত। এ হাসপাতালে যারা চাকরী করবেন তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

এব্যাপারে সিলেটের আল- হারামাইন হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল জন গমেজ বলেন, সিলেটের আল-হারামাইন হাসপাতালটির জন্য পাহাড়ে বসবাসরত শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্য থেকে জনবল নেওয়া হচ্ছে। বিশ্বখ্যাত পারফিউম ব্র্যান্ড আল হারামাইন পারফিউমস গ্রুপের কর্ণধার এবং এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান সিলেটে আল-হারামাইন হাসপাতালটি নির্মাণ করেন। পাঁচ তারকা এই হাসপাতালে আন্তর্জাতিক মানের সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।

ফিলিপাইন থেকে আনা হয়েছে অত্যাধুনিক এমআরআই ও সিটিস্ক্যান মেশিন। হাসপাতালে রয়েছে ছয়টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার। যা বাংলাদেশে প্রথম। আমি এ হাসপাতালের প্রধান হিসেবে যোগদান করেছি। আমরা চেয়েছি এ হাসপাতালে কর্মস্থানে স্থানীয় বাঙালীসহ পাহাড়ের বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরাও যাতে সুযোগ পায়। তাই আমরা রাঙামাটিকে নির্বাচিত করেছি। রাঙামাটি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পাহাড়ের বিভিন্নস্থান থেকে প্রায় ২৫০জন ছেলে-মেয়ে এ চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন। আমরা যোগ্যতা যাচাই-বাচাই করে তাদের চাকরীর সুযোগ করেদিচ্ছি।
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]