সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

জেএসএস ও ইউপিডিএফ জঙ্গি সংগঠন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি চাকমা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী “পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)”কে ভারত ও মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদক্ষেপ বাংলাদেশকে তার তার পার্বত্য চট্টগামের ‘সহিংস উগ্রপন্থা’ দূর করতে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে, এখন থেকে এই “পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)” সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যেকোনো ধরনের ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণের আওতায় চলে আসবে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ চালুর লক্ষ্যে ও পাহাড় থেকে বাঙালী উচ্ছেদ সহ পূর্ণ শায়িত্বশাসন চেয়ে শন্তু লারমার বড় ভাই মানবেন্দ্র লারায়ন লারমা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করে “পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)”। পার্বত্য চট্টগ্রামে  এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মতোই উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পরে।
বোকো হারামের চেয়েও ভয়ঙ্কর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় চাকমা জঙ্গিরা। নাইজেরিয়ার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বোকো হারামের চেয়েও ভয়ঙ্কর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় চাকমা জঙ্গিরা, এক মার্কিন প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় ইরাক এবং আফগানিস্তানের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় চাকমা জঙ্গিরা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে আইএস এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তালিবান। তবে বোকো হারামের মতো বিপজ্জনক-ভয়ঙ্কর সংগঠনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় চাকমা জঙ্গিরা। তাদেরকেই সন্ত্রাসবাদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রাখা হয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় চাকমা জঙ্গিরা সন্ত্রাসের মাত্রা গত বছর ৯৩শতাংশ বেড়ে গেছে। যদিও, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাস আরও ৫৪.৮১শতাংশ বেড়েছে। এনসিটিআরটি-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত এবং আহতদের সংখ্যা এখন পাকিস্তানের থেকেও বেশি পার্বত্য চট্টগ্রামে।


এই সংস্থার দেওয়া একটি তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, গত বছর বিশ্বে মোটে ১১০৭২টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামেই ৯২৭টি (১৬শতাংশ) হামলা হয়। ২০১৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই হামলার সংখ্যা ৭৯৮টি ছিল। এই হামলায় আহতদের সংখ্যা ছিল ৫০০, অন্যদিকে ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৬৩৬ এ দাঁড়ায়। অন্যদিকে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার সংখ্যা ২০১৫-এর তুলনায় ২০১৬-তে ২৭শতাংশ কমে যায়। ২০১৫তে পাকিস্তানে ১০১০টি জঙ্গি হামলা হয়, ২০১৬তে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৭৩৬-এ।

এ সংক্লান্ত আরো লিংক: বোকো হারামের চেয়েও ভয়ঙ্কর পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় চাকমা জঙ্গিরা।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]