খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামের চার শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে নোংরা আর্বজনা ও গিঞ্জি পরিবেশের মধ্যে বসবাস করে আসছে। এ গুচ্ছগ্রামে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যাবস্থা নেই। ঘরের পাশে নোংরা খোলা নালায় মলমূত্র দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আর মাছি ঊড়ছে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. হানিফ মিয়া সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, ‘যে পরিবেশ দেখছেন এই পরিবেশেই দীর্ঘ ৩১ বছর আমরা এখানে জীবন কাটাচ্ছি। গবাদী পশু আর মানুষ এখানে একসাথে থাকতে হয়। কবে যে আমাদের এ দূর্ভোগ যাবে?’ ১৯৮৬ সালে যেখানে একটি পরিবার গুচ্ছগ্রামে আনা হয়েছিল এখন সেখানে চার পরিবার হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রামের প্রবেশের সড়ক গুলো, নালা ও ঘরবাড়ি গুলোর চারিদিকে গবাদি পশুর মূল মূত্র, ময়লা আবর্জনা। প্রচন্ড দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গুচ্ছগ্রামে স্যানিটেশন ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেই। ঘর গুলোর ভেতরে স্যাঁত স্যাঁতে পরিবেশ। শামছুন্নাহার বেগমের (৪৫) ঘরে গিয়ে দেখা যায়, গবাদি পশু আর পরিবার এক ঘরেই বসবাস করছে। শামছুন্নাহার বলেন, ‘সংসারের উপার্জনের জন্য গবাদি পশু পালতে হয়। আর গুচ্ছগ্রামে যেখানে থাকারই জায়গা নেই সেখানে গবাদি পশু রাখবো কোথায়? তাই বসতবাড়িতেই রাখতে হয়।’
বাবুছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান জানান, ১৯৮৬ সালে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার জন্য সৈয়দ মাঝি পাড়া, সোনা মিয়া টিলা ও নাড়াইছড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঙালীদের এনে গুচ্ছগ্রাম সৃষ্টি করে একত্রে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে গুচ্ছগ্রামে চার শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। ১৯৮৬ সালে যেখানে একটি পরিবার আনা হয়েছিল সেখানে এখন চারটি পরিবার হয়েছে। গুচ্ছগ্রামে সমস্যার কোন শেষ নেই। এখানে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। নোংরা আর দূর্গন্ধে গুচ্ছগ্রামে প্রবেশ করা যায় না।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা নূরুল আলম (৮০) বলেন, ১৯৮৬ সালে গুচ্ছগ্রামে আমরা দুইটি পরিবার এসেছিলাম। আর এখন পরিবার হয়েছে ৯টি। একটি পরিবারের জন্য যে জায়গা ছিল ৯টি পরিবারের জন্যও একই জায়গা। আমরা যেভাবে বসবাস করছি সেভাবে কোন মানুষ বসবাস করতে পারবে না। আনোয়ারা বেগম (৭০), নাছিমা বেগম (৫০), আব্দুল খালেকের (৬০) ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের চারিদিকে আর্বজনা আর মূলমূত্র। স্যাঁতে স্যাঁতে পরিবেশ। তাঁরা জানান, তাঁদের আর কোন জায়গা জমি নেই। বাধ্য হয়ে এমন পরিবেশে বসবাস করতে হচ্ছে। চারশ পরিবারের জন্য দুই নূলকূপ আছে মাত্র। বৃষ্টি হলে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চারিদিকে ময়লা আর্বজনা ও মলমূত্র ছড়িয়ে পড়ে। ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে নোংরা উঠানে দাঁড়িয়েছিল জোবাইদা বেগম (৩০)। তাঁর কাছে শিশুকে নিয়ে এমন পরিবেশে বসবাস করতে সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে। তিনি জানান, তাঁর জন্মও এ গুচ্ছগ্রামে। ছোট কাল থেকে এমন পরিবেশে বড় হয়েছেন। এখন তাঁর সন্তানও এমন পরিবেশে বড় হচ্ছে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা জানান, সরাকরিভাবে তাঁদেরকে অন্যত্র পূর্ণবাসন, গুচ্ছগ্রামের রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা করলে তাঁদের কষ্ট অনেক লাঘব হতো।
এ প্রসঙ্গে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামবাসীদের পূর্ণবাসনের বিষয়টি সরকারের নীতি নির্ধারকদের বিষয়। তবে আমি বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামটি সরেজমিন দেখে গুচ্ছগ্রামবাসীদের সমস্যা গুলো কি কি সেগুলো দেখে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বরাদ্দ থেকে পর্যায়ক্রমে প্রকল্প নিয়ে পানি নিস্কাশন, স্যানিটেশন বিষয়টি অগ্রাধীকার দিয়ে কাজ করবো।’
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
সোহেল রানা, দীঘিনালা
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]