৮। পানছড়ি গণহত্যা:
১৯৮৬ সালে ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং, চেঙ্গী, পানছড়ি, লতিবান, উল্টাছড়ি ৫টি ইউনিয়নের ২৪৫টি গ্রামের প্রত্যেকটি বাঙ্গালি গ্রামে অগ্নি সংযোগ সহ লুটতরাজ, সামনে বাঙ্গালী যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, নরকীয়তা সৃষ্টি করেছিলো ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা। মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়ে ৮৫৩ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা
করা হয়েছে, বাঙ্গালী নারীদের গণধর্ষণ ও পরে হত্যা, আহত করা হয়েছে আরও ৫০০ জনের অধিক, অপহরণ ও গুম করা হয়েছে আরো কয়েক হাজার বাঙ্গালীকে। ৬২৪০টি বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়। গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার পরিবার। খুনি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নারা সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে জবাই করে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখা এবং বেচে যাওয়া কিছু কিছু সাক্ষী আজো আছে কিন্তু ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও তাদের গায়ের পশম খাড়া হয়ে যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা ও উপজাতি সন্ত্রাসী হায়নার এ প্রক্রিয়া রোধ করতেই তৎকালীন সরকার বাধ্য হয় বাঙ্গালীদেকে স্ব-স্ব বসতভিটা, বাগান বাগিচা থেকে তুলে এনে গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দী শিবিরে আটক করতে। এ প্রক্রিয়ায় তৎকালীন ১০৯ টি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রামে ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারের ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৭ জন বাঙ্গালীকে (বর্তমানে ৬,৫০,০০০ এরও বেশি)। সেই খানেও হামলা থামেনি। চুতর্দিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করে ছোট্ট গুচ্ছগ্রামে সরকার পরিবার প্রতি একটি ২০ ফুট বাই ২০ ফুট বন্দী কুটিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুরু হয় গুচ্ছগ্রাম বাসীদের জীবন-জীবিকা। এতে বাঙ্গালীরা নিরাপত্তা পেলেও তাদের বসত ভিটা ও চাষের জমি হারাতে হয়। সেই আশির দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙ্গালীরা আর তাদের সেই বসত ভিটা, বাগান বাগিচা ও আবাদী জমি ফেরত পায়নি।
শান্তি বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে সেসব গ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ শরণার্থী হয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। যারা ভারতে যেতে রাজি হয়নি তাদের পার্শবর্তী বাঙ্গালী গ্রামগুলোতে শান্তি বাহিনী এমনভাবে হামলা করে যাতে বাঙ্গালীরা পাল্টা আঘাত দিয়ে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে হামলা চালাতে বাধ্য হয়। এভাবেই শান্তি বাহিনী নিরীহ পাহাড়িদের ভারতে শরণার্থী হতে বাধ্য করে।
(বিশেষ: দ্রষ্টব্য: এই লেখায় প্রকাশিত দৃষ্টিভঙ্গি হিল ব্লগারস অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের নিজস্ব, আর লেখা বিষয়ক সমস্ত দায়ভারও তাদের।)
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
- যেসকল সুপারিশ আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে:
- গণহত্যাকারীদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ঘাতকদের শাস্তির দাবী এবং তাদের উৎখাতে এগিয়ে আসুন!
- এদের উৎখাতের জন্য সকল পাহাড়ী বাঙালী জনতা সোচ্চার হোন।
- ক্ষতিগ্রস্থদের পর্যাপ্ত জননিরাপত্তাসহ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
- বাঙালীদের ভুমিতে উপজাতি বসতিস্থাপনকারী বা সেটেলারদের আগমন বন্ধ করতে হবে।
- বাঙালীদের ভুমিতে যেসব উপজাতি বসতিস্থাপনকারী বা সেটেলার ইতোমধ্যে বসতি গড়েছে তাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে হবে।
- জাতি বিদ্বেষী পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ - নিপাত যাক! পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ - ধ্বংস হোক!
- পাহাড়ে বাঙালী জনতার পুনর্বাসন বৃদ্ধি কর! আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার সমর্থন করুন!
(বিশেষ: দ্রষ্টব্য: এই লেখায় প্রকাশিত দৃষ্টিভঙ্গি হিল ব্লগারস অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের নিজস্ব, আর লেখা বিষয়ক সমস্ত দায়ভারও তাদের।)
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]