মাল্য গণহত্যার ছবি |
ঘটনার ইতিহাস : মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম, আসাম, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল, ত্রিপুরা থেকে বিতাড়িত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আসা উপজাতি Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা সেটেলার বা উদ্বাস্তু বা নতুন উন্নয়নশীল দেশে বাস করতে আসা বিদেশী বসতকার বা অনুপ্রবেশকারী বা বসতিস্থাপনকারী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের মধ্যেকার বিরোধের ১৭তম বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৯২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মাল্য গণহত্যার মাধ্যমে। যা মাল্যে গনহত্যা, ১৯৯২ নামে পরিচিত। গণহত্যা হলো একটি জাতি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে নির্মূলকরণ প্রক্রিয়া ৷ সেহেতু উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতি জঙ্গি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে একচেটিয়া তাদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালী নির্মূলকরণের লক্ষ্যে পাহাড়ের বাঙালীদের হত্যা করেছে ৷ কথিত আছে যে, উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতিরা ভারতের মিজোরাম প্রদেশ থেকে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালীদের উপর হামলা চালায় দেখে তাদেরকে মিজো বলা হতো। আসলে তারা মিজো নয়, তারা হলো উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতি জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সংগঠক ৩৮ হাজার বাঙালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী বাহিনী বা শান্তি বাহিনী বা গেরিলা বাহিনী।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিরা চরমভাবে অবহেলিত, সরকারি সুযোগ- সুবিধা বঞ্চিত, নিপিড়িত, নির্যাতিত, অধিকার বঞ্চিত, বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়ের শিকার। নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালীদের খুন করা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, তাদের সম্পত্তি লুঠপাটের জন্য উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতি জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সংগঠক ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী বাহিনী বা শান্তি বাহিনী বা গেরিলা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত নিরীহ বাঙালীদের আক্রমণ করা, তাদের হত্যা করা, অপহরণ ও গুম করা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, তাদের সম্পত্তি লুঠপাট বা ঘর-বাড়ি লুটতরাজ করে সম্পূর্ন ভাবে পুড়িয়ে দেওয়া, তাদের গৃহহীন করার অসংখ্য নজির বাংলাদেশ আমলের বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি। এসবই এখানকার নিয়মিত ঘটনা। আবার কোনো কোনো সময় উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতিরাই বিভিন্ন অজুহাত তৈরি করে। তারপর শুরু হয় এসব তাণ্ডবলীলা।
ঘটনার সূত্রপাত :
১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। লংগদু বাজারের দিন চারদিকে চলছে জম জমাট বাজার। কয়েকজন পাহাড়ি কাঁচা তরকারির খুপড়ি ভিতর করে বোমা নিয়ে বাজারের দিকে হেঁটে আসছে। বাজারে প্রবেশ করার পর একটি জুত সই জায়গার খোঁজ করে যেখানে বাঙালী লোকজনের আনা গোনা বেশী এমন স্থানে সে খুপরি রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে বোমা ফুটে ৭ জন বাঙালী মারা যায় এবং আহত হয় আরা ১৫-২০ জন বাঙালী। ঘটনার অন্তরালে সে দিন কি হয়েছিল বা কি ঘটেছিল তা আজও আড়ালেই থেকে গেল। ঘটনাটি কোন মিডিয়াতেই আসেনি কারণ এটি মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম, আসাম, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল, ত্রিপুরা থেকে বিতাড়িত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আসা উপজাতি Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা সেটেলার বা উদ্বাস্তু বা নতুন উন্নয়নশীল দেশে বাস করতে আসা বিদেশী বসতকার বা অনুপ্রবেশকারী বা বসতিস্থাপনকারী কর্তৃক বাঙালী হত্যা কিন্তু এই ঘটনাটি বাঙালীরা করলে হয়ে যেত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অনন্য উদাহরণ।
মূল ঘটনা :
নব্বইয়ের দশকে রাঙামাটি থেকে আশেপাশের উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। দূর্গম মারিশ্যাও এর ব্যতিক্রম ছিলনা। মারিশ্যা থেকে রাঙামাটি যেতে বিরতিহীন লঞ্চে সময় লাগে ৬ ঘন্টা, আর লোকাল লঞ্চে আরো ২-৩ ঘন্টা সময় বেশী লাগে। বিস্ফোরণটি ঘটেছিল লোকাল একটি লঞ্চে। তৎকালীন সময়ে সড়ক ও নদীপথে উভয় ক্ষেত্রেই তিন পার্বত্য জেলায় বাঙালীদের যাতায়াতে কোন নিরাপত্তা ছিলনা বললেই চলে। লঞ্চঘাটের যাত্রী ছাউনিসহ লঞ্চগুলো ছিল উপজাতি Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা সেটেলার বা উদ্বাস্তু বা নতুন উন্নয়নশীল দেশে বাস করতে আসা বিদেশী বসতকার বা অনুপ্রবেশকারী বা বসতিস্থাপনকারী উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতি জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সংগঠক ৩৮ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী খুনি সন্তু লারমার উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী বাহিনী বা শান্তি বাহিনী বা গেরিলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে। অন্যান্য লঞ্চ ঘাটের মত মারিশ্যা লঞ্চঘাটের যাত্রী ছাউনিসহ লঞ্চগুলোও উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে ছিল। যাত্রীদের যাত্রী ছাউনিতে থাকা অবস্থায় উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনী শুধু মাত্র বাঙালীদের তল্লাসী করতো। যে লঞ্চে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। এছাড়া, প্রতিটি স্টপেজের যাত্রী ছাউনি গুলোতে বাঙালীদের তল্লাসী করে লঞ্চে যাত্রী তোলা হত। এখানে উল্লেখ্য যে, লঞ্চঘাটগুলো ছিল উপজাতি অধ্যুসিত এলাকায়।
দুরছড়ি ঘাট থেকে আমতলী। লঞ্চটি মারিশ্যা থেকে দুরছড়ি ঘাটে এসে পৌঁছলো। দুইজন উপজাতি সেটেলার বা Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা উদ্বাস্তু নতুন যাত্রী উঠেন। লঞ্চটিতে উপজাতি সেটেলার বা শরণার্থীদের কিছু তামাকের গুঁড়ার টিন ছিল এবং পাশেই বসা ছিল অধিকাংশ বাঙালী যাত্রী। নতুন উপজাতি Refugee বা সেটেলার বা শরণার্থী দুই যাত্রী সেখানে বসে পড়েন। দুরছড়ি ঘাটের পর আসে আমতলী ঘাট। সে ঘাটে নতুন উপজাতি Refugee বা সেটেলার বা শরণার্থী দুই যাত্রী লঞ্চ থেকে নেমে যান। এরপর লঞ্চটি আবার রওনা দেয়। রওনা দেয়ার কিছুক্ষণ পর একটি বাঁক পেরোনোর সময় লঞ্চে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী বাঘাইছড়ি উপজেলার ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থার শ্রমিক রাজমোহন চাকমা ঘটনার বর্ণনা দেন এবং তার ধারণা বিস্ফোরণটি তামাকের গুঁড়ার টিনের পাশেই ঘটেছে। বিস্ফোরণে দুই যাত্রী মারা যায়, দুই যাত্রীই বাঙালী। বিস্ফোরণের পর লঞ্চটি অকেজো হয়ে ডুবে যায় এবং বাকি যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠে আসে। এরপরপরই ঘটে যায় পার্বত্য ইতিহাসে আরেকটি গণহত্যার কাহিনী যার নাম “মাল্যে গণহত্যা”।
ঘটনাস্থল, তারিখ ও সময় :
দুরছড়ি ঘাট থেকে আমতলী ঘাট, ১৯৯২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি।
উপজাতি সেটেলার বা Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা উদ্বাস্তুদের হামলা :
লঞ্চটি যেস্থানে বিস্ফোরিত হয়েছিল তার পাশেই ছিল মাল্যে উপজাতি Refugee বা সেটেলার বা শরণার্থীদের গ্রাম। সেই গ্রাম থেকে উপজাতি সেটেলার বা শরণার্থীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাঙালীদের আক্রমণ করে। এখানে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ১৭ জন বাঙালী। এ ঘটনায় মোট ২৩ জন বাঙালী নিহত হয় যার মধ্যে মাত্র ১৩ টি লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কয়েকটি শিশুকে কাদায় নাক ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়। মারিশ্যা এলাকার দুইটি বাঙালী পরিবারের সবাই এই হামলায় মারা যায় এবং পরবর্তীতে অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার বর্ণনা দেন লংগদুর মানিক্যছড়ার কিশোর রাজমোহন। তার ভাষ্য- “বিস্ফোরণের পর সাঁতরিয়ে কূলে উঠতে গিয়ে যখন আমান নিজ জাতি কর্তৃক বাঙালীদের আক্রান্ত হতে দেখলাম তখণ আমি কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে ছিলাম। এভাবে কচুরিপানার ভিতর দুই ঘন্টা ছিলাম। আমাকে বাঙালী ভেবে আমার স্বজাতিরা ওখানেও আমার দিকে লাঠি ও পাথর ছুড়ে মারা হয়”।
ঘটনার পর :
ঘটনার পরপরই প্রশাসন উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীকে দায়ী করে। ঘটনাস্থলে নিহত ১৩ জন বাঙালীসহ মোট ১৭ জনকে উগ্রবাদি/মৌলবাদি জঙ্গি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর হামলায় নিহত বলেও প্রচার করে। পরবর্তীতে শান্তিবাহিনী এই ঘটনার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছিল।
ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা:
১৯৯২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মাল্যে গণহত্যাটি ঘটনার মাধ্যমে কয়েক ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে ২৩ জনের অধিক নারী, শিশু, আবাল বৃদ্ধ বনিতা নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করে, অধিকাংশ লাশগুলোকে গুম করা হয়েছে এবং আহত করা হয়েছে আরও ৩৫ জনের অধিক, অপহরণ করা হয়েছে আরো শত শত বাঙ্গালীকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষাতকার :
১৯৯২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি মাল্যেতে যে গণহত্যা হয়েছিল প্রাণে বেঁচে যাওয়া কযেকজনের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনলে গা শিউরে উঠে। যাকে যখন যেভাবে পেয়েছে সেখানে হত্যা করেছিল। মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয় নিস্পাপ শিশু আর শিশুটির মাকে করেছিল ধর্ষণ। এভাবে কত নিরপরাধ বাঙালী হত্যা করেছিল তার প্রকৃত হিসাব এখনো পায়নি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী কিছু মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম, আসাম, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল, ত্রিপুরা থেকে বিতাড়িত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আসা উপজাতি Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা সেটেলার বা উদ্বাস্তু বা নতুন উন্নয়নশীল দেশে বাস করতে আসা বিদেশী বসতকার বা অনুপ্রবেশকারী বা বসতিস্থাপনকারী উগ্রবাদি/মৌলবাদি উপজাতি জঙ্গি সন্ত্রাসী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) জঙ্গিদের সনাক্ত করেছিল। এই ঘটনার বর্ণনা দেন লংগদুর মানিক্যছড়ার কিশোর রাজমোহন। তার ভাষ্য- “বিস্ফোরণের পর সাঁতরিয়ে কূলে উঠতে গিয়ে যখন আমার নিজ জাতি কর্তৃক বাঙালীদের আক্রান্ত হতে দেখলাম তখণ আমি কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে ছিলাম। এভাবে কচুরিপানার ভিতর দুই ঘন্টা ছিলাম। আমাকে বাঙালী ভেবে আমার স্বজাতিরা ওখানেও আমার দিকে লাঠি ও পাথর ছুড়ে মারা হয়”।
গণহত্যায় সুপারিশসমূহ বা কার্যকরি পদক্ষেপ :
সংবাদ সম্মেলনে তারা যে সকল সুপারিশ করেছিলেন : সে সকল সুপারিশ আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে:
- মাল্যে’র ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ঘাতকদের শাস্তির দাবী।
- ক্ষতিগ্রস্থদের পর্যাপ্ত জননিরাপত্তাসহ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
- পাহাড়ে পর্যাপ্ত সেনাক্যাম্প স্থাপন করা।
- বসবাসরত বাঙালীদের ভুমিতে উপজাতি Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা সেটেলার বা উদ্বাস্তু বা অনুপ্রবেশকারী বা বসতিস্থাপনকারীদের আগমন বন্ধ করতে হবে।
- বসবাসরত বাঙালীদের ভুমিতে যেসব উপজাতি Refugee বা শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী বা সেটেলার বা উদ্বাস্তু বা অনুপ্রবেশকারী বা বসতিস্থাপনকারী ইতোমধ্যে বসতি গড়েছে তাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীদের আহবান :
- গণহত্যাকারীদের উৎখাতে এগিয়ে আসুন!
- গণহত্যাকারীদে উৎখাতের জন্য সকল পাহাড়ী বাঙালী জনতা সোচ্চার হোন।
- জাতি বিদ্বেষী পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ - নিপাত যাক! পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফ - ধ্বংস হোক!
- পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালী জনতার পুনর্বাসন বৃদ্ধি কর! আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার সমর্থন করুন!
- উপজাতি নিরীহ পাহাড়ী জনতা আমাদের শত্রু নয়, শত্রু তাদের নিপীড়ক জাতি বিদ্বেষী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।
শেষ কথা :
তাহলে কি হামলাকারীদের সাথে শান্তি বাহিনীর যোগসাজস ছিল? এ যেন শেষ নেই! এ ইতিহাসও ধীরে ধীরে আজ বিস্মৃতির পথে চলে যাচ্ছে। হয়ে পড়ছে অন্যগুলোর মত বিস্মৃতির আরেক গণহত্যারূপে। যারা মাল্যে গণহত্যা করেছে। তারা আজো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার তাদের কেউ কেউ সরকারি, আধা-সরকারি চাকুরিতে বর্তমানে নিযুক্ত রয়েছে। যারা সংগঠনে জড়িয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়ে জবর দখল করে নিয়ে যাচ্ছে বাঙালীদের পূর্ব পুরুষের ভিটে মাটি। তিন পার্বত্য জেলায় চলছে ঐসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। আর গণহত্যার পৃষ্টপোষকতায় যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া বর্তমান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
(বিশেষ: দ্রষ্টব্য: এই লেখায় প্রকাশিত দৃষ্টিভঙ্গি হিল ব্লগারস অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের নিজস্ব, আর লেখা বিষয়ক সমস্ত দায়ভারও তাদের।)
তথ্যসুত্র :
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]