সংগঠন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সংগঠন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

যে আগুনে পুড়ছে পাহাড়

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র সাথে সরকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল; প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান হানাহানি বন্ধ করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। চুক্তির পরও পাহাড়ে খুনোখুনি, গুম, অপহরণ এবং বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। তার উপর পূর্বে যেখানে একটি সশস্ত্র সংগঠন ছিল চুক্তির পর বিভিন্ন সময় সেটি ভেঙ্গে ৪টি সশস্ত্র সংগঠন তৈরি হওয়ায় এবং তাদের চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে পার্বত্য জনগণের নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম। এই অবস্থার মধ্যেই ২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তির ২০ বছর উদযাপনকে ঘিরে পাহাড়ের অধিবাসীদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা জন্মে, এবার অন্তত শান্তির অন্বেষণে নতুন কোনো পথ খুঁজবে বিবদমান পক্ষগুলো। অথচ, বাস্তবে ঘটে উল্টোটা।চুক্তির দুই দশক পূর্তির আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল প্রকার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়ার পরও ২ ডিসেম্বর রাজধানীতে আয়োজিত এক সম্মেলনে চরম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জেএসএস সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে আগুন জ্বলবে।’এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে বৈঠক করা হবে।’প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস কিংবা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই রাঙামাটিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অ্যাকশান শুরু হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০২০

মাটিরাঙ্গার ৫ মার্ডার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট : বিজিবি'র অপেশাদার আচরণ এবং নিরস্ত্র ছিল নিহত গ্রামবাসীরা

গ্রামবাসীকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গত ৩ মার্চের সহিংসতার ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ গঠিত কমিটি গতকাল বুধবার (১১ মার্চ) রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে হয়েছে দাবি করেছেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার রিজাউল করিম। এর বেশী প্রতিবেদনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি তিনি। তবে নাম প্রকাশে অনচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজিবি সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিডিও চিত্র এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার পেছনের ৫ টি তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে মন্তব্যসহ কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিজিবি’র পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে জড়িয়ে হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও হত্যার অভিযোগ থাকলেও নিহত গ্রামবাসীরা নিরস্ত্র ছিল বলে জানানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। বিজিবির ওপর গ্রামবাসী ও নিহতদের হামলার অভিযোগটির সত্যতা পায়নি কমিটি।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সন্তু লারমা ভারত গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে

স্বয়ং সম্পূর্ণ স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধান থাকার পরও সন্তু লারমার জুম্ম ল্যান্ড প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রশ্নবিদ্ধ। এই ষড়যন্ত্রের জন্য সরকার কেন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করছেনা প্রশ্ন রাখেন নেতৃবৃন্দ। স্বাধীন দেশে জুম্ম ল্যান্ড প্রতিষ্ঠা কখনো সফল হতে দিবে না নাগরিক পরিষদ। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা। শনিবার বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে হতাহতের ঘটনা ও পাহাড়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান বলেন- সন্তু লারমা ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।

দীঘিনালায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকাসহ ইউপিডিএফ নেতা আটক

দীঘিনালায় পৌনে ১২ লক্ষ টাকাসহ ইউপিডিএফ এর এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত নেতার নাম, আকাশ চাকমা ওরফে এ্যাকশন (৪৫)। সে বাবুছড়া ইউনিয়নের মগ্য কার্বারি পাড়া গ্রামের মৃত নলেন্দ্র চাকমার ছেলে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১;০০ টা বাজে নিরাপত্তাবাহিনী আটক করে। সে ইউপিডিএফ (প্রসিত) দলের বাঘাইহাট (গঙ্গারাম) এলাকার চিফ কালেক্টর।জানাযায়, রবিবার রাত ১টায় বাবুছড়া থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল যাওয়ার সময়, আকাশ চাকমা ওরফে এ্যাকশনকে থামতে সিগন্যাল দেয়। এসময় সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে, তাকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থেকে নগদ ১১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮শত ৪৫টাকা, ভারতীয় রুপী ১ হাজার ১শত ৫০টাকা, বিভিন্ন অলঙ্কার (স্বর্ণ ও রুপা), চাঁদার রশিদ বই, ৩টি ব্যাগ, ব্যক্তিগত ব্যবহার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউপিডিএফ`র সন্ত্রাসী আটক, সর্টগান ও গুলি উদ্ধার

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সুভাষ চাকমা নামক এক সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার শুকনাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুকনাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি দল অবস্থান নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে গোপন সূত্রে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি সদর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা টহল দলের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।

সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা! ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করে রাঙ্গামাটিতে সন্তু লারমার শ্যালকের সমবায় সমিতি পরিচালনা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপজাতি জনগণকে ‘ ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা সম্প্রদায়’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান, আলোচনা ও টকশোতে ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার পরিহার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আলোচনা ও টকশোতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ সুশীল সমাজের প্রতি ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার পরিহারের জন্য পূর্বেই সচেতন থাকতে অনুরোধ পর্যন্ত জানানো হয়েছে। অতিসম্প্রতি সরকারী এ প্রজ্ঞাপনে দেশের ছয়টি এনজিওকে তাদের নামের পাশে থাকা বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ শব্দ পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার। ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যহারে সরকারের এতসব নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও একটি বিশেষ মহল যেন সরকারী নির্দেশনা মানছেই না। এখনো অহরহ ব্যবহার করা হচ্ছে বিতর্কিত ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ‘আদিবাসী’ শব্দটি।

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্যঞ্চল রক্ষা করতে জীবন দিবো :পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

পার্বত্যঞ্চল স্বাধীন বাংলার অখন্ড। এ অঞ্চলের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা এবং রক্ষার্থে প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, তারপরও বিছিন্ন হতে দেওয়া হবে না। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টিজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আলোচনা সভায় নব নির্বাচিত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পার্বত্যঞ্চলের সমস্যা নিয়ে আমরা সরকারের সাথে কথা বলবো। সন্তু লারমা এদেশের নাগরিক না। যিনি এদেশের নাগরিক নয় তার সাথে কোন সংলাপ করার কোন প্রয়োজন মনে করছি না আমরা। পাহাড়ে বসবাসরত সকল শান্তিকামী মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বক্তব্য শেষে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।

সন্তু লারমার বিরুদ্ধে দেশাদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত

স্বাধীন বাংলার অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে জুম্মল্যান্ড করার নীল নকশা প্রণয়নের দায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার বিরুদ্ধে দেশাদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত বলে মনে করেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান। কাজী মজিব বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন চলবে না। আর সন্তু লারমা এ এলাকার ভোটার নন। তাই তিনি এ দেশের নাগরিকও নন। তৎকালীন সরকার পার্বত্য চুক্তি করেছিলো পাহাড়ে শান্তির জন্য। কিন্তু চুক্তির অনুসারে পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অধিকার সমান ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বাঙ্গালীদের আন্দোলনে ভূমি কমিশনের নির্ধারিত সভা স্থগিত

বান্দরবানে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের আগমনকে কেন্দ্র করে বান্দরবান জেলা পরিষদ ফটকে বিক্ষোভ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ। এসময় তারা কমিশনের চেয়ারম্যানের গাড়ি অবরোধ করেন। ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারউল হক বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে আসার আগে থেকে জেলা পরিষদের গেইটের পাশের রাস্তায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ব্যানারে শতশত বাঙ্গালী নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে পরিষদের নেতারা বাঙ্গালীদের অধিকারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। পার্বত্য বাঙ্গালীদের মধ্য থেকে ল্যান্ড কমিশনে সদস্য রাখা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কয়েকটি আইন সংশোধনের দাবি জানান। পরে ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান জেলা পরিষদের গেইটের কাছে পৌঁছালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যানের গাড়ী অবরোধ করে। গাড়ীর ভেতরে অবস্থান নেয়া ল্যান্ড কমিশনের চেয়ারম্যানে হাতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন তুলে দেন।

যৌথবাহিনীর অভিযানে সেনাসদস্য ও হেডম্যান হত্যায় জড়িত উপজাতি সন্ত্রাসী আটক

রাঙ্গামাটির রাজস্থলিতে সেনা টহলে হামলা চালিয়ে সেনা সদস্য নাসির হত্যা ও এর কিছুদির পর হেডম্যান দ্বীপময় তালুকদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক উপজাতি সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। ২রা জানুয়ারি রবিবার বিকেলে উপজেলার মিতিঙ্গাছড়ি থেকে ভাগ্যরাম ত্রিপুরা(৩২) নামের ঐ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহমেদ খান সে বিলাইছড়ি উপজেলাধীন ফারুয়ার বাসিন্দা। ওসি জানান, ভাগ্যরাম ত্রিপুরা রাজস্থলী-কাপ্তাই ও বাঙ্গালহালিয়ার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মুঠোফোনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে। গ্রেফতারকৃত ভাগ্যরাম ত্রিপুরার বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রাজস্থলী থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেছিলো ভূক্তভোগী রমিজ মিয়া। সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে ফোন করে রাজস্থলীর হেডম্যান দীপময় তালুকদারকে হত্যায় একটি গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তাকেও সেই উপায়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করে ভাগ্যরাম ত্রিপুরা। এছাড়া যৌথবাহিনীর ধারনা ভাগ্যরাম ত্রিপুরা রাজস্থলীর সেনা সদস্য নাসির ও হেডম্যান দ্বীপময় তালুকদার হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে।ওসি মফজল আহমেদ খান জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে রাঙামাটির আদালতে তাকে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ন তথ্য বের হবে বলে তিনি মনে করছেন।

একের পর এক মটর সাইকেল চালক কেন টার্গেট হচ্ছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের



খাগড়াছড়ি সাড়ে ৬ বছরে ১৬ মোটরসাইকেল চালক খুন ও গুম, খাগড়াছড়িতে যাত্রীবেশি সন্ত্রাসীদের হাতে ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল চালক খুন, অপহরণ, গুম ও হামলা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই এখন নিত্যনৈতিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত প্রায় সাড়ে ৬ বছরে খাগড়াছড়িতে অন্তত ৮জন মোটর সাইকেল চালক যাত্রীবেশীদের হাতে খুন হয়েছে। গুম হয়েছেন ৮জন। এদের মধ্যে একজন ছাড়া সকলেই খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। অপহরণ হয়েছে অন্তত এক ডজন। এছাড়া অস্ত্রের মুখে মোটরসাইকেল ছিনতাই ও চুরি হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যেমন বিচার পায়নি, তেমনি নিখোঁজ ব্যক্তিরা হয়তো ফিরে আসবে সে প্রতিক্ষায় আছে তাদের পরিবার- স্বজনরা। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে যাওয়ায় তাদের পরিবার-পরিজন অভাব-অনটনে দিন পার করছে। সে সাথে একের পর এক মোটর সাইকেল চালক খন-গুমের ঘটনায় প্রায় অস্থির হয়ে আছে খাগড়াছড়ি।

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বাঙালি যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, আর কত লাশ পড়লে টনক নড়বে?

পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মো. ফারুক (২০) নামে এক মাহিন্দ্র চালকের লাশ উদ্ধার করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মাটিরাঙ্গার অদুরে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১০ নম্বর এলাকায় ধলিয়া খালের গভীর ঢালু থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মো. ফারুক খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ি এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্র চালক। নিহত ফারুক এক সন্তানের জনক। জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে মহালছড়ির চোংড়াছড়ির বাড়ি থেকে ভাড়ায় চালিত মাহিন্দ্র নিয়ে জীবিকার সন্ধানে বের হয় মো. ফারুক। দিন শেষে সন্ধ্যা সাতটার দিকে কিছুক্ষনের মধ্যে বাড়ি ফিরবে বলে স্ত্রীকে জানালেও রাত হয়ে গেলেও সে আর বাড়ি ফিরেনি। সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারা বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীসহ খাগড়াছড়ি ও মহালছড়ি থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে অবগত করে। রোববার বিকালের দিকে জনৈক ব্যক্তি ধলিয়া খালে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে ধলিয়া খালের গভীর ঢালুতে ঝোঁপের ভিতর একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে সেখানে নিজের ছোট ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে নিহত ফারুকের বড় ভাই মো. আমজাদ আলীসহ স্বজনরা।

পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক চিন্তা, চেতনাকে ধারন করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সব পদক্ষেপকে সাধুবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নবগঠিত পার্বত্যসীর অধিকার আদায়ের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (যা ২০১৬ সালে চুড়ান্ত অনুমোদন পায়) আইন-২০১৬ এর কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙ্গালীদের কোন প্রতিনিধি নেই এবং কমিশনের ৯ সদস্যের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর জনগণ। তাই তারা তাদের গোষ্ঠীর স্বার্থের প্রতি বেশিই দৃষ্টিপাত করবেন, যদি তাই হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল বাঙ্গালিরা এ আইন ও কমিশনের মাধ্যমে তাদের ভূমি অধিকার হারাবে এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা চরমভাবে ব্যাহত হবে।

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বান্দরবানে আট দিনের ব্যাবধানে তৃতীয় বার পপি ক্ষেত ধ্বংস

আট দিনের ব্যাবধানে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ফের সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে মরণ নেশা হেরোইন ও আফিমের উৎস পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। রুমা জোন (২৭ ইবি) এর ক্যাপ্টেন মো. আশিকুর রহমান জানান সেনাবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৫টায় রুমা জোন (২৭ ইবি) সদর হতে লেফটেন্যান্ট মোঃ তানজিমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ১টি স্পেশাল টহল দল সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে , রুমা বাজার থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিন- পশ্চিমে তংগ্রী পাড়া ও শৈরাতাং পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১ একর জমির ৩ টি চাষকৃত পপি (আফিম) ক্ষেতের গাছ ধ্বংস এবং পুড়ে ফেলা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্হিতি টের পেয়ে আফিম চাষিরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০

বান্দরবানে আবারো ৫ একর পপিক্ষেত ধ্বংস করলো সেনাবাহিনী

বান্দরবানের পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় ফের পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে। জেলার রুমা উপজেলার ম্রোক্ষিয়াং ঝিড়ি এলাকায় ৫ একর পপি ক্ষেত ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় পেইন খুমি (৩৫) নামের এক পপি চাষিকে আটক করেছে সেনা সদস্যরা। সে রুমা উপজেলার ক্যাঁতই খুমি পাড়ার সাংহই খুমির সন্তান। রুমা জোন (২৭ ইবি) এর ক্যাপ্টেন মো. আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে তিনটার দিকে জেলার রুমা জোন (২৭ ইবি) এর ক্যাপ্টেন মো. আশিকুর রহমান এর নেতৃত্বে স্পেশাল একটি টহল দল রুমা বাজার পাড়া আর্মি ক্যাম্প থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দুরে ক্যাঁতই খুমি পাড়ার ম্রোক্ষিয়াং ঝিড়ির পাশের এলাকার ৪-৫টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ একর জমির পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০

পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা ‍চিঠি

বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

বিষয় : “পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬”সংশোধনের দাবি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপিড়ীত বঞ্চিত মানুষের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা জানি পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে আপনি অত্যন্ত আন্তরিক। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা, চেতনাকে ধারণ করে এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে আপনি যেসব যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছেন তার জন্য পার্বত্যবাসী আপনার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। আপনার ঐকান্তিক চেষ্টা ও আন্তরকিতার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দিনের অশান্ত পরিবেশ ও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সম্পাদিত হয়েছিলো ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি। যার মূল লক্ষ্য ছিলো পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের পাঁচ সীমান্তে হত্যাকান্ড শূন্য

ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। সীমান্ত হত্যার সংখ্যা শূন্যতে আনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সম্মত হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশ সীমান্তে বেপরোয়া গুলি করে মানুষ খুন করছে বিএসএফ। ভারতের সাথে ৬টি দেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। এ দেশগুলো হল পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। আর ভারতের সমুদ্র সীমান্ত রয়েছে শ্রীলঙ্কার সাথে। এই সবগুলো দেশের সীমান্তেই ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশের সীমান্তে হত্যাকান্ড শূণ্য। অথচ ২০১৭ সালের ৯ মার্চ ভারত- নেপাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী এসএসবির গুলিতে গোবিন্দ গৌতম নামে (৩২) এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নেপালের জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়া ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তখন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডর কাছে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। পরে গোবিন্দ গৌতমকে রাস্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।

অনলাইনের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দার সনদ পাবে পার্বত্যবাসী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসনের ডিজিটাল সেবাই এখন বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে রাঙামাটি জেলাবাসী প্রথম অনলাইনের মাধ্যমে অতি সহজেই স্থানীয় বাসিন্দার সনদ গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের এই অনলাইন সনদ বিতরণে আমরা জনগনকে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা জনগনের মাঝে এই অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী এক মাস জেলা উপজেলার ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবো এবং আমাদের লক্ষ্য আছে এই স্থানীয় বাসিন্দার সনদটি আমরা সম্পূর্ণ রুপে অনলাইনেই নিয়ে আসবো। জনগনের যে ডিজিটাল বাংলাদেশের আমাদের যে প্রধান উদ্দেশ্য সরকারী সেবাকে সহজ করা এবং জনগনের দৌড় গড়ায় সরকারি সেবা পৌছে দেওয়া। আমরা একজন মানুষ তার বাড়িতে বসেই এই এখন অনলাইনের তার স্থানীয় বাসিন্দার সনদ গ্রহণ করতে পারবে বলে জানান জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যক্রম প্রতিহতের ঘোষণা বান্দরবানে



বান্দরবানে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যক্রম প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) পার্বত্য নাগরিক পরিষদের প্রতিনিধি সভায় এই ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ের সন্ত্রাসী কৃর্তক হত্যা, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলছে। এই অবস্থায় সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল, সরকার, সংবিধান এর বিরুদ্ধে না। সরকার শান্তি চুক্তি মোতাবেক পাহাড় থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করলেও সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্রের ঝনঝনানি কমাইনি। তাই পাহাড়ে সেনা ও পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে জনসাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ার পাশাপাশি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বান্দরবান জেলার কার্যক্রম প্রতিহত করার ঘোষণা দেন বক্তারা।

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০

খাগড়াছড়িতে ১ মাসে উপজাতিদের ৬৫ টন গাঁজা ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে খাগড়াছড়ির দুর্গম এলাকায় উপজাতিদের বেড়েছে গাঁজা চাষ। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। জেলার সকল দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ড্রোন, নিরাপত্তা বাহিনীর পেট্টোলিং এবং গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য মতে জানা যায়, গত এক মাসে ৫৩টি ক্ষেতে আনুমানিক ৬০ থেকে ৬৫ টনের মতো গাঁজা ধ্বংস করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর প্রথম মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম কলাবুনিয়া এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমিতে গাঁজার সন্ধান পায় সেনা সদস্যরা। এখানে প্রায় ৪ কোটি টাকার গাঁজা ধ্বংস করা হয়। প্রথম ঘটনার ১২ দিন পর এ বছরের ২ জানুয়ারি আবারও ৩৫টি গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী।