গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপজাতি জনগণকে ‘ ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা সম্প্রদায়’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান, আলোচনা ও টকশোতে ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার পরিহার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আলোচনা ও টকশোতে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ সুশীল সমাজের প্রতি ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার পরিহারের জন্য পূর্বেই সচেতন থাকতে অনুরোধ পর্যন্ত জানানো হয়েছে। অতিসম্প্রতি সরকারী এ প্রজ্ঞাপনে দেশের ছয়টি এনজিওকে তাদের নামের পাশে থাকা বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ শব্দ পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার। ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যহারে সরকারের এতসব নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও একটি বিশেষ মহল যেন সরকারী নির্দেশনা মানছেই না। এখনো অহরহ ব্যবহার করা হচ্ছে বিতর্কিত ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ‘আদিবাসী’ শব্দটি।
জানা গেছে, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে যান্ত্রিক পরিবহণ শ্রমিকদের এমন একটি সংগঠন রয়েছে, যা সরকারী তালিকাভুক্ত সমবায় সংগঠন কিন্তু সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করেই নামের পাশে ব্যবহার করছে বহুল বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ শব্দটি। ব্যাপক তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংগঠনটির নাম ‘রাঙ্গামাটি আদিবাসী যান্ত্রিক পরিবহণ সমবায় সমিতি’। এটি সরকারের সমবায় মন্ত্রনালয়ের অধীনে নিবন্ধন করা, যার রেজিষ্ট্রেশন নং-৯৮২।
সংগঠনটির পরিচালনা পরিষদে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন এক সময়ের শান্তিবাহিনীর গেরিলা নেতা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমার শ্যালক বিভাষ দেওয়ান। অন্যদিকে সহ-সভাপতি পদে অনন্ত বসু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক রুপধন চাকমা, কার্যনির্বাহী সদস্য সুভাষ চাকমা, রিটেন চাকমা, অনিল তঞ্চঙ্গা ও গুণকর চাকমাসহ অন্যান্যরা.
স্থানীয়রা বলছেন, শান্তিবাহিনীর সাবেক গেরিলা নেতা ও জেএসএস নেতা সন্তু লারমার প্রভাব খাটিয়েই একসময় এ সংগঠন গড়ে তোলেন বিভাষ দেওয়ান। আর আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রভাবেই অদ্যাবদি বিভাষ দেওয়ান রাঙ্গামাটিতে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করে সংগঠন পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া বিভাষ দেওয়ানের উক্ত সমবায় সংগঠনে মূলত জেএসএস সমর্থিত পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, “সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই উল্লেখ করে উপজাতিদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ শব্দ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। তারপরেও বিতর্কিত এই শব্দ ব্যবহার করে একটি মহল পাহাড় নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সেই সাথে সরকারের নিকট, এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।”
‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করে সমবায় অধিদপ্তরের কাছ থেকে রেজেষ্ট্রেশন নম্বর নিয়ে সংগঠন পরিচালনার বিষয় নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ, কিছুই জানেন না বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৯ই মার্চ রাঙ্গামাটিতে উপজাতি মোটর যান মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় আদিবাসী যান্ত্রিক পরিবহণ সমবায় সমিতি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]