রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক চিন্তা, চেতনাকে ধারন করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সব পদক্ষেপকে সাধুবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নবগঠিত পার্বত্যসীর অধিকার আদায়ের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির শর্ত মোতাবেক পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (যা ২০১৬ সালে চুড়ান্ত অনুমোদন পায়) আইন-২০১৬ এর কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙ্গালীদের কোন প্রতিনিধি নেই এবং কমিশনের ৯ সদস্যের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর জনগণ। তাই তারা তাদের গোষ্ঠীর স্বার্থের প্রতি বেশিই দৃষ্টিপাত করবেন, যদি তাই হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল বাঙ্গালিরা এ আইন ও কমিশনের মাধ্যমে তাদের ভূমি অধিকার হারাবে এবং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা চরমভাবে ব্যাহত হবে।

নেতৃবৃন্দ উৎকন্ঠা প্রকাশ করে, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের সাংবিধানিক সম-অধিকার নিশ্চিত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধন করে সকল জনগোষ্ঠীর মাঝে গ্রহনযোগ্য ভূমি কমিশন গঠনের উদ্যেগ ও একই সাথে আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মানবতার মা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।

১৯০০ সালের পার্বত্য শাসনবিধি ও শান্তি চুক্তি বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬ সংশোধনের দাবিতে ২রা জানুয়ারি রবিবার দুপুরে বান্দরবান সদরস্থ ইসলামপুর এলাকায় হোটেল রিভারভিউ বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি ও নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপিড়িত বঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করার প্রত্যায়ে নব গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুইয়া ছাড়াও বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মুজিবর রহমান, সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যবৃন্দ ও বান্দরবানে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা গত ২৩ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রদানকৃত স্বারক লিপির দাবি সমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি বান্দরবান পৌরসভাধীন হিলবার্ড সংলগ্ন ধনেশ পাখি চত্বর এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]