বুধবার, ৫ জুলাই, ২০১৭

পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের খবর না নিয়ে সন্তু লারমা- ঊষাতনরা নিজেদের আখের গোছাঁতে ব্যস্ত : দীপংকর

রাঙ্গামাটিতে ভূমি ধ্বসে নিহত ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের কাউকে একটি বারের জন্য দেখতে যায়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ও উষাতন তালুকদার এমপি। পার্বত্য অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী করে তারা নিজেদের আখের গোচাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।তিনি বলেন পাহাড়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অস্ত্রের মুখে চাঁদা আদায় করলেও এসব লোক এখানকার জনগনের কল্যাণে কোন কাজ করে না। দূর্যোগে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা পুরন করতে সময়ের প্রয়োজন তবে এ সময়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকাটাই আসল মনুষ্যত্বের পরিচয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার একটি আঞ্চলিক মহল নিজেরা দূযোর্গের পর ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে না থেকে বর্তমান সরকারকে সমন্বয়হীনতার দোষারোপ করছে।

তারা নিজেরাই আজ পর্যন্ত সঠিকভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রিতদের দেখতে বা কোন সহায়তা প্রদান করেনি। তিনি বলেন, দূর্যোগের পরপরই জেলা পরিষদ সকল দূর্যোগপূর্ন এলাকা পরিদর্শন ও নিহত পরিবারদের নগদ অর্থ এবং ক্ষতিগ্রস্থদের খাবার প্রদান করেছেন। এছাড়া আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভুমি ধ্বসে মাটিচাপা পড়া লোকজনদের উদ্ধারে প্রশাসনকে সবসময় সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছেন। প্রতিদিনই নেতাকর্মীরা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারদের খোঁজ খবর নিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যূতের উন্নয়ন ঘটেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারদের মাঝে নতুন কাপড় প্রদানের পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মেডিকেল টিম প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিদিনই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা পরিবারদের তিনবেলা খাবার প্রদান করা হচ্ছে। শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পুর্নবাসনে বর্তমান সরকার পদক্ষেপ গ্রহন করছে। এতেই বুঝা যায় পার্বত্যবাসীর প্রতি কোন সরকার আন্তরিক। শনিবার রাঙ্গামাটির দুর্গম বরকল উপজেলায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ ভূমি ধ্বস ও বণ্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৫ হাজার পাহাড়ী ও বাঙ্গালী পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বরকল হরিনা জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ আতিফ, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মুছা মাতব্বর, জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে চাউল, লুঙ্গি, শাড়ি, সেলাই মেশিন ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ করেন। পরে তিনি বরকল উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।