সাহস দেখানো ভালো, তবে অতি সাহস দেখানো মোটেও ভালো নয়। বলছিলাম, উপজাতীয় করুনালংকার ভিক্ষুর কথা। যিনি চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান মহোদয়কে হুমকি দিয়ে বিড়ালের মত মিউমিউ গর্জন দিয়েছেন। ভাবতে অবাক লাগে করুনালংকার ভিক্ষু ভারতে বসে বাংলাদেশ ও দেশের সামরিক বাহিনীকে নিয়ে উস্কানিমূলক মনগড়া মিথ্যাচার করা তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে।ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করছেন। দেশের বাহিরে বসবাস করে অনেক কিছু বলা যায়, লেখা যায়। তবে যোগ্যতার বাহিরে লেখা বা বলা যেমন মূর্খতার কাজ, তেমনি নির্লজ্জতারও শামিল। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি পিসিজেএসএস এর মধ্যকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্তানুযায়ি, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সেনাবাহিনী হলো বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় বৃহত্তম বাহিনী। আধুনিক বিশ্বে এই বাহিনীর রয়েছে অনেক অনেক সুনাম। জাতি সংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় পারদর্শিতার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কাছে আজ প্রশংসিত ও রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। অথচ করুনালংকার ভিক্ষু শুধুমাত্র উপজাতীয় নেতা হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান মহোদয়কে নিয়ে একের পর এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট লেখালেখি শুরু করেছে। তিনি আলোচনায় আসার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন! তিনি নিজেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সহ-সভাপতি দাবির পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙে জুম্মাল্যান্ড গঠন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার জন্য তৎদবির করছেন!
আরেকটি কথা সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে লিখলে শুধুমাত্র উগ্রবাদীদের সমর্থন পাওয়া যায়। উপজাতিদের মধ্যে কিছু অশিক্ষিত জংলি জানোয়ার রয়েছেন, এসব বিতর্কিত লেখালেখি তাদের একমাত্র খোরাক। এসব নেতাদের সর্বোচ্চ দৌড় ভারতের ত্রিপুরা থেকে নয়াদিল্লি এবং গুটিকয়েক মানবাধিকার সংগঠন পর্যন্ত। ভারতে বসে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করে কোন লাভ নেই। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়রা অতো বোকা নয় যে করুনালংকার ভিক্ষুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্টের কারনে তারা পাহাড়ে জাতিগত সংঘাতে যাবে। তাছাড়া ভাবনার অবকাশ নেই যে, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সু-শৃংখল সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়বে শান্তিপ্রিয় উপজাতি জনগোষ্ঠী। বর্তমানে শিক্ষিত উপজাতি জনগোষ্ঠীরা অপহরণ, খুন, গুমের সাথে জড়িত থাকা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পক্ষে নয়। করুলঙ্কারের মত একজন অজ্ঞ ব্যক্তিকে সমর্থন দিবে তা চিন্তা করা হাস্যকর মাত্র।
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা উপজাতি জনগোষ্ঠীদের বুঝতে বাকি নেই যে, ইউপিডিএফ – জেএসএসের নেতারা ঢাকা-চট্টগ্রামের মত আধুনিক শহরে এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ উন্নত বিশ্বে তারা তাদের সন্তান সন্ততি নিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। তারা শুধু জাতির অধিকারের দোহাই দিয়ে উক্ত সংগঠনগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালী সহ নিপীড়িত, নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর রক্ত চুষে খাচ্ছে। অথচ কিছু বিকারগ্রস্ত সুস্থমস্তকবিহীন অশিক্ষিত উপজাতি যুবকদের দিয়ে জেএসএস সন্তু গ্রুফ ও ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুফ পাহাড়ে রক্তাক্ত সংঘাতে জড়িয়ে স্বজাতি ভাইদের হত্যা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্ত পরিবেশের কারনে সন্তু লারমা, প্রসিত বিকাশ খীসার কোন আত্মীয়-স্বজন প্রাণ দিচ্ছে না, প্রাণ দিচ্ছে শুধু নিরীহ উপজাতি সমাজের কিছু কতিপয় যুবক। পাহাড়ের মাটি ও মানুষ নিয়ে সন্ত্রাসীরা রক্তের হোলি খেলা শুরু করেছে। আর এসব তথাকথিত সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে করুনালংকার ভিক্ষু পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি যুবসমাজকে বিপথগামী করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
করুনালংকার ভিক্ষুর সৎ সাহস থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে এসব মিথ্যা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলুক, ভিনদেশে থেকে অহেতুক কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাহাড় অশান্ত করা হচ্ছে বোকামি মাত্র। স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনী ও বাঙালি সম্প্রদায় এত ভীতু নয় যে তারা পাহাড় ছেড়ে পালাবে?
ভারতে বসে বিড়ালের মত মিউ মিউ গর্জন না করে বাংলাদেশে এসে সেনাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে দেখুন তখন বোঝা যাবে কার পেশিতে জোর বেশি। রাষ্ট্রের একটি বৃহত্তম বাহিনীর মেজর জেনারেল মহোদয়কে হুমকি দেওয়ার পরিণাম কতটা ভয়াবহ তা বিন্দুমাত্র ও অনুমান করতে পারেনি অশিক্ষিত গণ্ডমূর্খ ভিক্ষু করুনালংকার।
চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান মহোদয়, করুনালংকার ভিক্ষুর মতো একজন নির্লজ্জ বেহায়াপনাকে জুতা পরিষ্কার করার জন্যও রাখবেন না। তাই বলছি সাধু সাবধান হয়ে যাও। যারা ভারতের মাটিতে বসে আবারো সেনাবাহিনীকে হুমকি প্রদর্শন করেন তাহলে তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে ফেলা হবে।
লেখক : সোহেল রিগ্যান
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]