রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯

চট্টগ্রামের জিওসিকে উপজাতি জঙ্গি মগনেন্ট জুম্মার হুমকী

রাঙ্গামাটিতে তিন পার্বত্য জেলায় বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম, মতিউর রহমানের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে মগনেন্ট জুম্মা কর্তৃক হুমকী দেয়া হয়েছে। মগনেন্ট জুম্মা ফেইসবুক আইডি থেকে দেয়া হুমকীতে বলা হয়েছে সন্তু লারমার পরবর্তী, হয় তো, প্রজাতন্ত্রী জুম্মল্যান্ড খুবই অনিরাপদ হতে পারে এবং প্রতিটি মুহুর্তে একজন সেনা সদস্যের জীবন যেতে পারে। এমন হুমকীতে বলা হয়েছে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করুন না হয়, প্রতিটি জম্মুদের মনে মনে যে তুষের আগুন জ্বলছে সেই আগুন দিয়ে বেশী খেলার চেষ্টা করবে না। একেবারে পুড়ে ছায় হয়ে যেতে পারে। আর আপনাদের পাখির চেয়ে উড়তে অক্ষম বিমান আমরা ভয় করি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের মগনেন্ট জুম্মার কর্তৃক এমন হুমকীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই হুমকী শুধু দেশের সেনা বাহিনীর প্রতি নয় পুরো বাংলাদেশের প্রতি হুমকী বলে মনে করেন অনেকেই। রাঙ্গামাটি পার্বত্য অধিকার ফোরাম সহ বেশ কিছু সংগঠন এই হুমকী দাতাকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন।


২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি-এর ধৈর্য্যরে সীমাহীনতা নিয়ে কিছু কথা
সম্প্রতি বাঙলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে পরিচয় প্রদানকার চাঁদাবাজ, ইসলামিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীবাহিনীল পরিচালক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর অসৎ উদ্দেশ্য ও স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে প্রজাতন্ত্রী জুম্মাল্যান্ড (পার্বত্য চট্টগ্রাম, CHT: Republic of Jummaland ) সফরকারলে বাঙলাদেশের ২৪ তম প্রদাতিক ডিবিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস,এম মতিউর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এর দেহরক্ষী হিসেবে এসেছিলেন। কথা বলে মালিকের চেয়ে চালকের গলা বেশী বড় দেখতেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এর দেহরক্ষী হিসেবে ভ্রমনকারী ২৪ তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস,এম মতিউর রহমান এর গলাও কম নয়।

মিঃ জিওসি আপনাকে কে বলছে ধৈর্য্য ধরে রাখতে??? আর আপনি বলেছেন কেবল ১০ শতাংশ জনগন পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক দল গুলোকে সমর্থন করেন!!! আপনি গনভোট নিয়ে দেখেছেন কি??? নানিক ফাঁকা আওয়াজ মারতেছেন??? সাহস থাকলে গণরায় দিয়ে দেখুন না, জনগনের রায় কোন পক্ষে যায়।

জাতিসংঘের রেজিষ্টার ভূক্ত বিশ্বের ২০৪ টি দেশের মধ্যে কেবল মাত্র রাশিয়ার সহযোগিতায় ও বলিভিয়ার সমর্থনে অর্থাৎ ১ শতাংশেরও বেশী কম দেশের সমর্থনে যদি দক্ষিণ ওচেসিয়া, আবখাজিয়া বেং ক্রিমিয়া স্বাধীন হতে পারে তাহলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর এর জন্য ১০ শতাংশের সমর্থনও যথেষ্ট নয় কি??? পার্বত্য চট্মটগ্রাম অধিকৃত বা দখল করে নিয়োর মাধ্যমে সামরিক শামন জিয়ে রাখার জন্য আপনাদের কত শতাংশ সমর্থন রয়েছে তা তো আপনি বলেন নাই!!!

মুলত মিঃ জিওসি যদি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে ইচ্ছে হয় তাহলে সেনাবাহিনীর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় নামুন তখনই বুঝবেন এবং সে সময় হয়তো আপনার দিকে কুত্তাও ভুগবে না। অথবা জেলে যেতে হবে। আর শেখ হাসিনার কথাতে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চলে না তা আপনার অগণতান্ত্রিক অসৎ ও সামরিক স্বৈরাচারীর বক্তব্য থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমানীত হয়।

পরিশেষে এটাও জানিয়ে দিতে চায়, আপনাদের কপাল খুবই ভাল যে, মাননীয় সন্তু লারমর মতন একজন অতীব ধৈর্য্যশীল মহাপুরুষ পেয়েছেন। উনার পরবর্তী, হয় তো, আপনাদের জন্য প্রজাতন্ত্রী জুম্মল্যান্ড খুবই অনিরাপদ হতে পারে এবং প্রতিটি মুহুর্তে একজন সেনা সদস্যের জীবন যেতে পারে।

সুতরাং পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করুন না হয়, প্রতিটি জম্মুদের মনে মনে যে তুষের আগুন জ্বলছে সেই আগুন দিয়ে বেশী খেলার চেষ্টা করবে না। একেবারে পুড়ে ছায় হয়ে যেতে পারে। আর আপনাদের পাখির চেয়ে উড়তে অক্ষম বিমান আমরা ভয় করি না।

এদিকে পার্বত্য অধিকার ফোরাম থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জেএসএস সন্তু গ্রুপের স্বঘোষিত সহ-সভাপতি মগনেন্ট জুম্মা (করুণালংকার ভিক্ষু) পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙে জুম্মাল্যান্ড গঠন করার জন্য জনমত গঠন করার ব্যক্তি জুম্মাল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবিকারি আমাদের গর্ব মাননীয় জিওসি এসএম, মতিউর রহমান (জুয়েল) স্যার কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে হুমকি মূলক পোস্ট করেছে। এতে সেনাবাহিনী কে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর উপর হামলার আভাস মিলেছে উক্ত উস্কানিমূলক স্ট্যাটাসে।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক এই ভয়ংকর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে "পার্বত্য অধিকার ফোরাম" তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। অতিবিলম্বে মগনেন্ট জুম্মা (করুণালংকার ভিক্ষু) কে গ্রেফতার এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তার সাপোর্টদাতাদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম। এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইনী প্রক্রিয়া ব্যবস্থা নেওয়া দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৭ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলার আইন শৃঙ্খলার মিটিং যোগদান করে এতে মাননীয় জিওসি মতিউর রহমান স্যার ও উপস্থিত ছিলেন, তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কে ধৈর্যের সীমা পেরিয়ে না যেতে অনুরোধ করেন। চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজের জেনেরেল মতিউর রহমান স্যারের এই বক্তব্য কে কেন্দ্র করে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার চেষ্টা করেছেন মগনেন্ট জুম্মা।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]