রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

‌টাকা ও উপহার ভাগের লড়াইয়ে মারামারি দুই বৌদ্ধ ভান্তের

তামাম দুনিয়াকে তিনি অহিংসার বাণী শুনিয়েছিলেন। শুধু মানুষ নয়, মানবেতর প্রাণী হত্যাও মহাপাপ মনে করতেন তিনি। সেই গৌতম বুদ্ধ যেখানে ধ্যানে বসে বোধি অর্জন করেছিলেন, সেই মহাবোধি মন্দিরে হাতাহাতি, মারপিট করলেন তাঁরই অনুগামী দুই বৌদ্ধ ভান্তের বা সন্ন্যাসী। কারণ?‌ ভিক্ষায় পাওয়া টাকা, উপহারের ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে। গয়ার মহাবোধি মন্দির। এই মন্দিরেই রয়েছে সেই অশ্বত্থগাছ, যার নীচে ধ্যানে বসে বোধি অর্জন করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। সারা দুনিয়ার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে তাই এই মন্দির খুব পবিত্র। সেখানে ‘‌বর্ষাবাস’‌–এর সমাপ্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেছিল ভিয়েতনামের বৌদ্ধ ভান্তে বা সন্ন্যাসীরা। বৌদ্ধ ভান্তে বা সন্ন্যাসীরা বর্ষাকালে তিন মাস একই জায়গায় থাকে। ঘোরাঘুরি করে না। সেখানেই ধ্যান, প্রার্থনা করে থাকে। একেই বলে ‘‌বর্ষাবাস’‌। এর সমাপ্তি উপলক্ষ্যে দান–ধ্যানেরও আয়োজন করা হয়। দাম সামগ্রি হিসেবে টাকা, বিভিন্ন উপহার সামগ্রি সন্ন্যাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়। সেই নিয়েই তুমুল মারপিঠ হয়ে দুই বৌদ্ধ ভান্তের বা সন্ন্যাসীরা।

ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন গয়ার জেলাশাসক অভিষেক সিং। তিনি আগে মহাবোধি মন্দির কমিটির চেয়াম্যানও ছিলেন। জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কাউন্সিল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রকৃত সন্ন্যাসী কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হলে তাঁদের পদমর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে, জানিয়েছেন জেলাশাসক সিং।
এই মহাবোধি মন্দিরে হিংসা, মারপিট, দুর্নীতির ঘটনা আগেও ঘটেছে। বারবার। কয়েক বছর আগে একদিন বেমালুম মন্দির থেকে গায়েব হয়ে যান জ্ঞান জগৎ। মহাবোধি মন্দিরের তৎকালীন প্রধান যাজক। পরে জানা যায়, তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ছিলেন না। এমনকী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীও নন। এর পর থেকে যদিও তাঁর খোঁজ মেলেনি। মন্দিরের আরও এক প্রাক্তন যাজক ভদন্ত বোধিপালের বিরুদ্ধেও মামলা হয়। তিনি বোধি বৃক্ষের ডাল কেটে বেআইনিভাবে চোরাচালান করছিলেন। সিসিটিভ ফুটেজে একবার দেখা যায়, এক যাজক প্রণামীর টাকা চুরি করছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]