ফাতেমা জান্নাত মুমু : পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি-সম্প্রীতি ও শিক্ষার উন্নয়নে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমাজ ও আর্তমানবতার সেবায়ও নিয়োজিত তারা। পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিন জেলায় মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ বৃত্তি ও সহায়তামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এছাড়া সেনাবাহিনীর উদ্যোগে শিক্ষা ছাড়াও এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, আর্থ-সামাজিক, সংস্কৃতি ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। তাই তিনি পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি-শৃংখলা শিক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়নে ধারাকে অব্যাহত রাখতে পাহাড়ি বাঙালিসহ সব জনগোষ্ঠীর মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বুধবার দুপুর ১২টায় রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে রজত জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার এসব কথা বলেন। এসময় রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এতে গেস্ট আব আনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এসময় রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. রেদুওয়ান হক, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাজ পরিবারের সদস্য কুমার নন্দিত রায়, রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাসনিন নাহার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক লিটন দেব।
সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ২৪পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার জিওসি আরও বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়ন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজন এখানকার সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ। আর সবার শান্তির জন্য দরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়ন। পার্বত্যাঞ্চলে সেই লক্ষে কাজ করছে সেনাবাহিনী। তিনি বলেন, উন্নত জাতি গঠনে প্রয়োজন সুশিক্ষিত ও দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা। তাই রাঙামাটি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী পরিচালিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পার্বত্যবাসীর। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
পরে জিওসি লেকার্স স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম মেজর জেনারেল আহসান নাজুমল আমিনের স্বরণে শিক্ষা বৃত্তির উদ্বোধন করেন এবং স্কুলের মেধাবী ১৫জন শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা বৃত্তি বিতরণ করেন। দুই দিন ব্যাপী রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে রয়েছে স্কুলের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা সম্মাননা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে রজত জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ করা হয় রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে রজত জয়ন্তী উৎসব।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]