বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

যারা বলেন, পাহাড়ের মানুষ সেনাবাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট; তাদেরকে বলছি?

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী না থাকলে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ভিসা নিয়ে আপনাকে যেতে হতো। তাহলে কি পাহাড়ের মানুষগুলো খারাপ? না, তারা খারাপ না, তারা খুব সহজ সরল। কিন্তু সেই পার্বত্য অঞ্চলগুলোকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করে আসছে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছবি আপলোড দেয় যা দেখে অনেকমানুষ দ্বিধার ভিতরে পরে যায়। আসলে ছবিগুলো ভুয়া। একজনের বাপ মরে যাওয়ায় কাঁদতেছে, আর সন্ত্রাসীরা সেটা আপলোড দিয়ে বলল যে সেনাবাহিনী তার ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তাই লোকটা কাঁদতেছে। বাংলাদেশের কিছু কিছু বোকাদেরকে নতুনভাবে বোকা বানানোর কি অদ্ভুত কৌশল! তারাই সবসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে অপপ্রচার চালায় কারণ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রধান বাধা এবং শত্রু আমাদের সেনাবাহিনী। আচ্ছা ভাই, আপনি নির্দ্বিধায় সেনাবাহিনীকে অপবাদ দেন কিভাবে? আপনি এসির ভিতরে বসে থেকে পাহাড়ের খবর জানেন কিভাবে? পাহাড়ে কি আপনার এজেন্ট আছে নাকি?

শুধু শুধু কিছু সন্ত্রাসীদের কথা শুনে আপনার ভাই কিংবা বোন সেনাবাহিনী সদস্যদের মুখে কাদা মারার আগে একটি বার হলেও আমার উপরের কথাগুলো ভেবে দেখবেন আশা করি।
ধন্যবাদ
তাই একটা কথা বলি, শুনুন। আপনি পাহাড়ে আসুন, পাহাড়ের সাধারণ মানুষগুলোর সাথে বন্ধুত্ব করুন। তারপর সুযোগ বুঝে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, "আচ্ছা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেমন? তোমরা কি তাদেরকে ভালবাস? তারা কি কখনও তোমাদের ক্ষতি করেছে?" তারা কি উত্তর দিবে সেটা আমি বলতে চাইনা। পাহাড়ে আসুন, তাদের মুখেই শুনুন।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]