আজ ৯ অগাষ্ট কথিত আদিবাসী দিবস। ইদানিং উপজাতি সন্ত্রাসীদের আদিবাসী বলার একটা রেওয়াজ চালু হয়েছে। যারা উপজাতিও নয়, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠি তারা কেন নিজেদের আসিবাসী দাবী করছে? ১.আদিবাসী কারা ? আদিবাসী হতে হলে অভিবাসী হলে হবে না, বরং সত্যিকারভাবে একটি দেশে প্রাচীনকাল থেকে উৎপত্তি হতে হবে। এ ব্যাপারে আমেরিকার নৃতত্ত্ববিদ লুইজ মর্গান বলে, “The Aboriginals are the groups of human race who have been residing in a place from time immemorial – They are the Sons of the soil. আদিবাসী হতে হলে একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য থাকতে হবে যা হলো “ভূমিপুত্র” বা Sons of the soil. ২. বাংলাদেশে বসবাসরত উপজাতিরা আদিবাসী কি না ? কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা এসব সংজ্ঞার অন্তর্ভূত নয়। উপজাতিরা এই এলাকায় পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা, চীন, ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা থেকে সেই দেশের সরকার কর্তৃক তাড়িত হয়ে আমাদের বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ঠাই নিয়েছে। লেখক কর্ণেল ফেইরি “The History of Barma” নামক গ্রন্থের ৩৯ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে “চাকমারা এক সময় ব্রম্ম দেশে ছিল। ব্রম্ম দেশটি বর্তমানে মায়ানমার নামে পরিচিত”।
৩. উপজাতি নামধারীরা ভীনদেশি সন্ত্রাসী- পার্বত্য চট্টগ্রামের এসব উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এসব জনগোষ্ঠীগুলোর প্রায় সবাই যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং হিংস্র দাঙ্গা-হাঙ্গামার ফলে তাদের পুরাতন বসতি স্থান থেকে এখানে পালিয়ে এসেছ। নতুবা, এক জনগোষ্ঠী অন্য জনগোষ্ঠীর পশ্চাদ্ধাবন করে আক্রমণকারী হিসেব এদেশে প্রবেশ করেছে (Hutchinson, 1909, Bernot, 1960 and Risley, 1991)।
৪. ‘সন্তু লারমা ও রাজা দেবাশিষ বলেছিল-বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই’ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছে, সন্তু লারমা ও চাকমা রাজা দেবাশিষ রায় ইতোপূর্বে বলেছিল বাংলাদেশে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন আদিবাসী নাই, এখানে আছে উপজাতী এবং কিছু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। কিন্তু এখন তারা আদিবাসীর দাবিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
৫.আদিবাসী দাবী করার পিছনে রহস্য কি ? বর্তমানে ইহুদিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্রের ধারা নম্বর ৩ কী বলা হয়েছে: ‘“আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার: আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার থাকবে। এই অধিকার বলে তারা স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারবে।এবং স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থা নির্ধারণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করবে”। অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের যদি আদিবাসী স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে তারা কি বাংলাদেশের মধ্যে থাকবে, না বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে পার্বত্য এলাকাকে নিয়ে স্বাধীন জুম্মাল্যান্ড গঠন করবে- তা সেই উপজাতীদের রাজনৈতিক ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ তাদের আদিবাসী স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ হল আলাদা জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্র গঠন করা। ৬. কারা মদদ দিচ্ছে ? প্রথম আলো , সুলতানা চক্রবর্তি ও সিএইচটি কমিশন, ইউএনডিপি , দালাল বুদ্ধুজীবি, বিভিন্ন এনজিও যেমন কারিতাস , মিশনারী চার্চ , দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। সরকারকে এদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জেনে কঠোর হতে হবে এবং জনগনকে সচেতন হতে হবে। যারা সংবিধান ও শান্তিচুক্তি বিরোধী আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে । সকল এনজিও ও মিশনারীদের কর্মকান্ড রিপোর্টের আওতায় আনতে হবে,জবাবদিহি রাখতে হবে । এদের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া কি আমাদের সবার কর্তব্য নয় ?
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]