বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭

তথাকথিত আদিবাসী দিবসকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনকে কেন্দ্র পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে অত্রাঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজন। বাঙালীরাই বাংলাদেশে আদিবাসী। বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬(২) এ স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন এবং অনুচ্ছেদ ২৩(ক): রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। অন্যদিকে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের উপজাতিরা কখনো আাদিবাসী হতে পারে না। উপজাতীয়রা আদিবাসী ইস্যুটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাতকারী এবং দেশ ভাগের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকার পরিপত্র জারি করার পরেও পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি সত্তার লোকজন আন্তর্জাতিক আদিবাসী পালন করার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঙালি সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন সমাবেশ করেছে। অপরদিকে দিসবটি সাড়ম্বরে পালন করেছে এখানে বসবাসরত সংগঠনগুলো।
রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপায় বুধবার দুপুরে বাঙালি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার আহ্বায়ক বেগম নূরজাহান, আরো বক্তব্য রাখেন পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সি. সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মোমিন, কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

রাঙ্গামাটির স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার এর নেতৃত্বে আদিবাসী দিবসে বুধবার রাঙ্গামাটি শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা। এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা। অপরদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশে কোনো আদিবাসী নাই মর্মে ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারির পরও সরকারি নির্দেশনার নামে আদিবাসী দিবস পালনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]