বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

‘পাহাড়ের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই’



খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের সকল বাঙালি আঞ্চলিক সংগঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বের) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর কথা জানানো হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন করে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান কখনও সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন সংগঠন বিলুপ্ত করে দিয়ে একক সংগঠন থাকবে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’। তার অঙ্গ সংগঠন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলাপরিষদ’।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নবগঠিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’-এর আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আবু তাহের, এস এম মাসুম রানা, মো: আনিসুজ্জামান ডালিম, এডভোকেট আলম খান, মো: লোকমান হোসেন ও খাগড়াছড়ি পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবিধানিক ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারীকে সবাইকে এই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হবে। পাহাড়ের সকল নাগরিকের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। উপজাতী ও নৃ-গোষ্ঠীদের এই সংগঠনে যুক্ত করতে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় থেকে এই অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালেও দেশের স্বাধীণতার বিরুদ্ধে কতিপয় পাহাড়ি নেতার ইন্ধনে তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে।

তারা বলেন, ১৯৭৪ সালে ঠুনকো অজুহাতে শান্তিবাহিনী নামে একটি সংগঠনের জন্ম দিয়ে পাহাড়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বজায় রাখতে ১৯৯৭ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’ সম্পাদিত করা হয়। চুক্তি অনুয়ায়ী সব অস্ত্র দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে দেন। তাদের হাতে থাকা অবশিষ্ট অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। নিজেদের মধ্যেও আধিপত্য বিস্তার করতে একের একের পর সন্ত্রাসী সংগঠন গঠন করতে থাকে। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর পাহাড়ে বিনা কারণে একের হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর পাহাড়ের সকল বাঙালি আঞ্চলিক সংগঠন বিলুপ্ত করে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]