রাঙামাটির বরকলের ভূষনছড়ায় এক চাকমা মেয়ে চার বছর আগে এক বাঙালি ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে, সেই মেয়েটি বিয়ের আগেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে নাম রেখেছে সুমাইয়া ইসলাম। দীর্ঘ দিন পর তারা আবার এলাকায় এলে সেই মেয়েটিকে জেএসএসের সন্ত্রাসীরা জোর করে তুলে নিয়ে যেতে চায়, এতে ছেলেটির পরিবার ও এলাকাবাসী তাদের হাত হতে মেয়েটিকে কোন রকম রক্ষা করে,। এতে ব্যার্থ হয়ে জেএসএস মেয়েটির বাবাকে দিয়ে এত বছর পরে এসে অপহরন মামলা দায়ের করিয়েছে। জেএসএসের সন্ত্রাসীরা চাচ্ছে যে কোন ভাবে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলতে। এতে মেয়েটি রয়েছে চরম অাতংকে। এছাড়া ছেলেটি ও তার পরিবারকেও হুমকি ধামকি দিচ্ছে জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এখন কথা হলো জেএসএস সন্ত্রাসীরা কেন এমন করছে? জেএসএস সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প কেন এমন ভাবে ছড়াচ্ছে?
তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে এতে তো কোন অপরাধ করেনি। তারা দীর্ঘ দুই বৎসর ধরে সুখে শান্তিতে সুন্দর ভাবে জীবন জাপন করে আসছিলো। সবার তো স্বাধীনতা আছে, ভালোবাসার ভালোলাগার মানুষটির সাথে সংসার করার, হোক সে যে ধর্মের যে বর্ণের। তাহলে জেএসএসের সন্ত্রাসীরা জোর করে এই স্বাধীনতা হরণ করতে চাচ্ছে কেন? আজ এত বৎসর পরে এসে মামলাও দায়ের করালো এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বিষয়টি নিয়ে ফুসে উঠছে জেএসএস সন্ত্রাসীদের বাড়াবাড়িতে সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে জেএসএস সন্ত্রাসীরা এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করুক, মেয়েটিকে ও ছেলেটিকে, ছেলের পরিবারকে হয়রানী বন্ধ করা হোক না হয় এলাকায় কোন ধরেনের বিশৃংখলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে জেএসএসই দায়ি থাকবে। তাই অবিলম্বে জেএসএসের সন্ত্রাসীদের বাড়াবাড়ি বন্ধ করা হোক।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]