স্বাধীন রাষ্ট্র ‘জুম্মল্যান্ড’ বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র তৈরী করছে আলাদা মানচিত্র ও নিজস্ব মুদ্রা অবিলম্বে সবকিছু নস্যাৎ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকেই। সে সাথে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে গোটা দেশবাসীকে। ১৯৭১ সালে বাংলার বীর সন্তানরা পাকিস্তানী শাসকদের কাছ থেকে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশের সুত্রপাত হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিদেশী অপশক্তি সবসময় বাংলাদেশকে পরাধীন ও দেশের ভেতর অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। যার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র। বহুদিন থেকে বিদেশী অপশক্তি চেষ্টা করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করে নতুন একটি দেশ গঠন করা। যার নাম দেয়া হবে ‘জুম্মল্যান্ড’। দেশের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করে দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কখনো মেনে নেয়া যায় না। আর পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা এরই এক একটি নজীর উপস্থাপন করছে। এই উপজাতি সন্ত্রাসীরা যেমন তিন পার্বত্য জেলা মিলে তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে এবং আলাদা সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করেছে তেমনি প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনীকে হুমকি দিয়ে আসছে। যা দেশের সংবিধান বিরোধী ও রাজাকারদের অন্যতম বৈশিষ্ঠ্য। উপজাতি সন্ত্রাসীদের কিছু হুমকির নমুনা নীচে দেয়া হলো - এম এন লারমার হুমকি: “কথায় আছে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠেনা বাঁকা আঙ্গুলই প্রয়োগ করতে হয়, তদ্রুপ কাউকে ভালবেসে কেউ অধিকার দেয়না, অধিকার আদায় করে নিতে হয়।”
সশস্ত্র গ্রুপগুলোর হুমকি: “সাইজে কম হতে পারি, সংখ্যায় কম হতে পারি কিন্তু বুলেট ছোট নয় আর ট্রেনিং নিতান্তই কম নয়! এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী বা সরকারী বাহিনীকে কুপোকাত করতে বুলেট দরকার হয়না, এক একটা পাথরই যথেষ্ট! শাসকগোষ্ঠি মনে রেখো, অস্ত্র যখন হাতে নিয়েছি, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে অস্ত্র ত্যাগ করবো না।” বলার অপেক্ষা রাখেনা, স্বাধীন বাংলাদেশে অবস্থান করে এরুপ হুমকী প্রদান, চরম ঔদ্যত্বপূর্ণ এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরুপ। উল্লেখ্য বাংলাদেশের মোট ভূখ-ের ১০ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাঙালি নয়, বাংলাদেশী নয়, তারা সেটেলার উপজাতি। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কথিত স্বাধীন জুম্মল্যান্ড হিসেবে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্রে কাজ করে যাচ্ছে। তারা যতটুকু সাম্প্রদায়িক ও উগ্র; তারচেয়েও ভয়াবহ হচ্ছে তাদের বাঙালিবিদ্বেষী চেতনা। তারা চায় না পাহাড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো শাসন কর্তৃত্ব থাকুক। তারা চায় না এ ভূখন্ডে- কোনো বাঙালির অস্তিত্ব থাকুক। রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণার পর থেকে তাদের এই বিদ্বেষ আরো ভয়াবহ আকারে প্রকাশ পেয়েছে। ১৪৪ ধারাসহ কারফিউ জারি করার পরও তারা সন্ত্রাসী তান্ডব থেকে ও বাঙালিদের উপর হামলা করা থেকে বিরত হয়নি। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এখানে মেডিকেল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা হলেই প্রচুর বাঙালি আসবে, পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালিরা আরো শিক্ষিত হবে। এসব কিছুতেই মেনে নিবে না বাংলাবিদ্বেষী উগ্রবাদী উপজাতিরা।
বাঙালিদের প্রতি তাদের বিদ্বেষ এতোটাই প্রকট যে, এখানে মেডিকেল কলেজ হলে তাদের নিজেদের উচ্চশিক্ষা লাভ করার যে সুবিধাটা হতো সেটাও তারা বিসর্জন দিয়েছে। এটা সবাই জানে, সন্তু লারমার বাহিনী বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা তিন পার্বত্য জেলাকে নিয়ে ভিন্নরাষ্ট্র ‘জুম্মল্যান্ড’ গড়তে চায়, এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকাসহ তাবত ষড়যন্ত্রকারীরা। আর তাদের এদেশীয় এজেন্ট সিএইচটি কমিশনের দালাল হিসেবে কাজ করছে ১) সুলতানা কামাল চক্রবর্তী (সুফিয়া কামালের মেয়ে) ২) ব্যারিস্টার সারা হোসেন (ড. কামালের মেয়ে) ৩) ড. জাফর ইকবাল (শিক্ষক) ৪) ইয়াসমিন হক (জাফর ইকবালের স্ত্রী) ৫) ইফতেখারুজ্জামান (টিআইবি) ৬) ঢাবি’র অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ৬) খুশি কবির (চাকমা রাজাকার ত্রিদিব রায়ের আত্মীয়) এবং এদের সবার মিডিয়া সাপোর্ট-এর দায়িত্ব হচ্ছে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের।
ইতিহাস পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু উপজাতি সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে কাজ করেছেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে রাঙ্গামাটি সফরে গেলে ১৫ ফেব্রুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রাম গণপরিষদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা পাহাড়ে স্বায়ত্বশাসনের দাবী পেশ করে। যা শুনে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘লারমা তুমি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করো তাহলে এক লাখ, দুই লাখ, তিন লাখ, দশ লাখ বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রামে ঢুকিয়ে দেব। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমি তোমাদের সংখ্যালঘু করে ছাড়ব।’ (সূত্রঃ পার্বত্য শান্তিচুক্তিঃ বর্তমান প্রেক্ষিত, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।) ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিব পাহাড়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোরা সব বাঙালী হয়ে যা”। সন্তু লারমা ও উপজাতি সন্ত্রাসীদের বলতে হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন, আবার কোনো জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করে এতদঞ্চলের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বরং যেকোনো সময়ের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আরো বেশি বিস্ফোরণেœামুখ হয়ে উঠবে। উপজাতি সন্ত্রাসীরা যদি মনে করে, উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সকলের নজর ঘুরিয়ে ফায়দা হাসিল করবে, তাহলে তা হবে নিদারুন ভুল। তাদের মনে থাকা উচিত- ১৯০ বৎসর ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে মধ্য আগস্টে ব্রিটেন এদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। অতএব, সরকারের উচিত হবে- এসব রাজাকার, দেশ ও জাতির শত্রু, নৃ-তাত্ত্বিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী, খ্র্রিষ্টান মিশনারী এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে তিন পার্বত্য অঞ্চলকে রক্ষার নিমিত্তে অনতিবিলম্বে উপজাতিদের (কথিত আদিবাসীদের) বিভিন্ন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া। অর্থাৎ তাদেরকে কোনো অবস্থাতেই পার্বত্য অঞ্চলে সংঘবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র করার সুযোগ না দেয়া। পাশাপাশি ঐ অঞ্চলের স্থানীয় ও সারাদেশের ভূমিহীন বাঙালিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপকভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিন পার্বত্যাঞ্চলে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]