সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতের হস্তক্ষেপ চাইছেন সন্তু লারমা



শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র ব্যোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। শ্রীলংকায় তামিলদের অধিক স্বায়ত্ত্বশাসন অর্জনে মোদী সরকার যে রকম ভূমিকা রেখেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামেও তিনি একই ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন ভারতে। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আগত এই সফরের আড়ালে কঠোর গোপনীয়তার সাথে তিনি এ বিষয়ে ভারতীয় দুইজন সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের চেষ্টা করছেন বলে নর্থইস্ট নাও নামে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।‌‌ ’Bangladesh: Push for Chittagong Hill Tracts Accord’ শিরোনামে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “তামিলদের অধিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে, সেভাবে লারমা নয়া দিল্লিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছেন যে, ভারতেরও উচিত পার্বত্য চট্টগ্রামে একই ভূমিকা পালন করা”

সন্তু লারমার ঘনিষ্ঠ সূত্র ওই গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ভারতের ‌’সুস্পষ্ট নিশ্চিয়তার’ ভিত্তিতেই সন্তু লারমার সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনী ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার সাথে শান্তিচুক্তি করে অস্ত্র সমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

কিন্তু শেখ হাসিনা পরবর্তী সরকার ২০০০-২০০৬ আমলে এই চুক্তিতে তলানিতে ঠেলে দিয়েছিল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ভারত, মিয়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনীর অপারেশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে কার্যকর ক্ষমতা প্রদান করেছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিসিজেএসএসের একজন শীর্ষ নেতা ওই গণমাধ্যমকে আরো জানিয়েছে, ”পরবর্তীকালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরলেও তিনি ওই অঞ্চলকে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। কারণ তিনি সেনাবাহিনীকে নাখোশ করতে চাননি।”

তার মতে, সমতল থেকে বাঙালিদের অবৈধ পুণর্বাসন বন্ধ না হওয়ায় সন্তু লারমা তার সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিদের দ্বারা অভিযুক্ত হচ্ছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে তার নেতৃত্ব ও প্রভাব খর্ব হচ্ছে। কেননা এই মুসলিম বসতিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাব্য যুদ্ধে মানব ঢাল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।

প্রত্যাবাসতি মুসলিমরা এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী এবং তাদের দ্বারা ভূমি ও সম্পদ হারানোয় স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন ধৈর্যচ্যুত হয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

সেকারণেই সন্তু লারমা ভারতে এসেছেন এবং তিনি দু’জন সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন যাতে তারা শ্রীলংকায় তামিল ইস্যুতে যেভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে মোদি সরকার যেন শেখ হাসিনা সরকারে ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের নিয়ে বাংলাদেশে একটি বৃহত্তর সংখ্যালঘু ফ্রন্ট খুলতে বিজেপির সমর্থনও কামনা করছেন সন্তু লারমা।

বিনিময়ে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে একটি জঙ্গী উপজাতীয় ফ্রন্ট খোলার জন্য তিনি গেরুয়া শিবিরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]