
মধুপুর জঙ্গলের অভ্যন্তরে একটি আমেরিকান মিশনে গিয়েছিলাম ১৯৮৯/৯০ সালে। ওখানে তখন মানুষের বাচ্চা কিনতে পাওয়া যেতো। মূল্য ছিল ৪০০ টাকা। আমাদের কোনো ছেলে সন্তান নাই। তাই আমার স্ত্রী আগ্ৰহী ছিলেন একটি ছেলে বাচ্চা যদি পাওয়া যায়। প্রথমবার ফাদার আমাদের বেশ কিছু গাছের চারা দিয়ে বিদায় করলেন। ওখানে তখন দেখলাম এভোকাডো ফলবতী গাছ। ফাদার বললেন, গাছ দুটোর ফল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল কিনে নিয়েছে ৪০,০০০ টাকায়। দেখলাম ৪০ প্রকারের আমের চারাগাছ। এর মধ্যে আমেরিকান আমও আছে। কোকো ফলের গাছ আমাকে দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটা। আমরা ফিরে এসেছিলাম চারাগাছ নিয়ে। তখন আমার পোস্টিং ছিল ঘাটাইল সেনানিবাসে। পরে আবার আমরা গিয়েছিলাম মধুপুর জঙ্গলের আমেরিকান মিশনে। ফাদারকে মনে করিয়ে দিলাম ছেলে বাচ্চার কথা। এবারে ফাদার আমাদের হতাশ করে বললেন ছেলে বাচ্চা পাওয়া যাবে না। তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলছিল তিনি আর্মির কাছে বাচ্চা বিক্রি করবেন না।
এখন এতো বর্ষ পরে খোঁজ নিয়ে দেখেন, মধুপুরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের কয়জন নিজ ধর্মে আছে? এরা এখন আমেরিকান ফাদার ও চার্চের সেবার ঠেলায় প্রায় সবাই খৃষ্ট ধর্ম গ্ৰহন করেছে।
আমি অধম এই সব সাদা চামড়ার সেবাঅন্ত প্রাণ ফাদার, ডাক্তার আর চার্চের প্রশংসা কি করে করি বলেন? যারা আমাদের দেশের সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে ধর্ম হারা করছে! সমানে খৃষ্টান বানাচ্ছে।
দোষ আমাদেরই। ইহুদী, খৃষ্টানদের বুদ্ধিতে আজ আমাদের তবলীগ জামাত মুসলমানদের ইসলামে কনভার্ট করছে। এরা এখন আর অমুসলিমদের কাছে ইসলাম প্রচারের জন্য যায় না। এরা যাচ্ছে মুসলমানদের কাছে ইসলাম প্রচার করতে। হারাম হালাল, ফরজ, ওয়াজিব আর নফল শিক্ষা দিতে। তবলীগীদের যুক্তি মুসলমানদের সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নাই। কোয়ালিটি মুসলমান বানাতে হবে। আর এই সুযোগে ফাঁকা মাঠে তাই খৃষ্টানরা গোল দিচ্ছে। খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সরল মানুষদের।
লেখক: এএলএম ফজলুর রহমান, প্রাক্তন মহাপরিচালক, বিডিআর।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]