ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বাংলাদেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিস্টান জনপদে পরিণত করতে ইহুদী-খ্রিস্টানদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কিছু এনজিও খ্রিস্টান ধর্মান্তরকরণের কাজ করছে। এনজিওদের এসব অপকর্ম সম্পর্কে সরকার অবহিত থাকলেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে দেখেও না দেখার ভান করছে। তিনি বলেন, এভাবে যদি ধর্মান্তরকরণের প্রক্রিয়া চলমান থাকে তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একদশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই যে সকল এনজিও, দাতা সংস্থা ও মিশনারীরা খ্রিস্টান করনের কাজে জড়িত তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে খাগড়াছড়ির অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আয়িম্মা পরিষদ ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
মুফতী ইমামুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গবেষক ও ইসলামী চিন্তাবিদ ডঃ বেলাল নূর আজিজী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল শহিদুল ইসলাম কবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ডাঃ মিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন মৃধা, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মহিউদ্দিন বিন সুরুজ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি আলী হোসেন রাজু প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সন্ত্রাসীদের অভায়ারন্যে পরিনত হয়েছে। তাই জনসাধারণের সুবিধার্থে এ এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন, গুম সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্যমূলক জনপদে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ি বাঙালি ভেদাভেদ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। বৈষম দূরীভূত করতে অবিলম্বে শান্তিচুক্তির মধ্যে বৈষম্যমূলক সংবিধান ও রাষ্ট্র বিরোধী ধারাগুলো বাতিল ও সংশোধন করতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মুসলমানরা আজ দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরীকে পরিনত হয়েছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, চাকুরী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাহাড়ীরা যে কোটা সুবিধা ভোগ করে পার্বত্য বাঙ্গালীদেরকে সে কোটা সুবিধা দিতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নওমুসলিমদের অত্যাচার ও নির্যাতন বন্ধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]
