যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ বিচার, বাঙালিদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, গণগ্রেফতার বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। আজ মঙগলবার দুপুরে এ স্মারকলিপি দেযা হয়। স্বারকলিপিতে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে বলা হয় নয়নকে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা থেকে দুইজন উপজাতী যুবক পরিকল্পিতভাবে ভাড়ায় নিয়ে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার চার মাইল নামক স্থানে এনে হত্যা করে এবং হত্যার পরে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের আড়াল করার জন্য ২ জুন পরিকল্পিতভাবে লংগদু উপজেলায় উপজাতীয় সন্ত্রসীরা নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরা পুড়িয়ে নিরীহ অসহায় বাঙালিদের উপর দোষ চাপায় এবং এ ঘটনার সাথে বাঙালিরা জড়িত বলে মিথ্যা অভিযোগের দায়ভার এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি ও গণগ্রেফতারের মাধ্যমে এলাকায় পুরুষ শুন্যতার সৃষ্টি করেছে। ফলে এলাকায় নিরীহ নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে।
ইতিপূর্বে মাটিরাঙ্গা উপজেলার ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক আজিজুল হক শান্তকে ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে অপহরণ করার পর ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে খাগড়াছড়ি আলুটিলার রিসাং ঝর্ণায় তার লাশ পাওয়া যায়। এরপর, মহালছড়ি উপজেলার ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক মো. সাদিকুল ইসলামকে ১০ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে অপহরণের পর ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এদেরকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল গুলো ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। এঘটনা গুলোর সাথে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। কিন্তু সংগঠিত হত্যাকাণ্ড গুলোর সুষ্ঠ বিচার না হওয়ায় ইউপিডিএফ, জেএসএস, জেএসএস (সংস্কার) নামীয় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পার্বত্য জনপদ অশান্ত করার লক্ষ্যে নুরুল ইসলাম নয়নকে হত্যা করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি লোকমান হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদ উল্লাহ ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন কায়েসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্বারকলিপিতে যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির পাশাপাশি লংগদুতে সাধারণ নিরীহ ও নির্দোষ বাঙালিদের উদ্দেশ্যমূলক ভাবে গণগ্রেফতার বন্ধসহ-অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নির্দোষ বাঙালির নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবি জানানো হয়।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]