সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

পার্বত্য চুক্তির মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা জাতিগত পরিচয় খুঁজে পেয়েছে- বৃষ কেতু চাকমা


পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা নিজ নিজ পরিচয় খুঁজে পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে একদিকে যেমন পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষদের নিজ নিজ মাতৃ ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু করেছে। এতে প্রতিটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের নিজেদের জাতিগত পরিচয় ফিরে পেয়েছে।রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে হিলর ভালেদী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত চাকমা বর্ণমালা সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বৃষকেতু চাকমা এসব কথা বলেন। রাঙামাটি সেচ্ছাসেবক সংগঠন হিলর ভালেদীর সভাপতি সুপ্রিয় চাকমার শুভ সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙামাটি জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জান্নাত মুমু ও অতিরিক্ত জেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম।

এসময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা আরো বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় বই প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা। এছাড়া, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় বই প্রকাশের কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি, প্রকাশিত বইগুলো পড়ানোর জন্য প্রায় ৪০ জন শিক্ষকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আরো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ বই প্রকাশ করলে হবে না, এসব ভাষা বুঝা ও পড়ানোর মত পর্যাপ্ত শিক্ষক প্রয়োজন। শিক্ষক না থাকলে বই প্রকাশ করে কোনো সুফল আসবে না। পরে প্রধান অতিথি বৃষ কেতু চাকমা ৪৩ জন প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণ করেন।