বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭

রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি চাইনা, চাই নয়ন হত্যার বিচার

আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের আপনাকে বলছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে কথা বলতে একটু হিসাব করে বলবেন। লংগদুর ঘটনাকে জামায়াত ও বিএনপির কাজ বলে আপনি প্রকারন্তরে বাঙালিদের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। আপনার ভুলে গেলে চলবে না যে, আপনার দাদা ২৯৯ নং রাঙামাটি আসনের দিপংকর তালুকদার নৌকার ভোট পায় তার সিংহভাগ আসে এই লংগদু থেকে! বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচনে দিপংকর তালুকদার ৭৮হাজার ভাট পেয়েছে! যার মধ্যে ৭৮টি ভোটও উপজাতিরা দেয়নি! সব ভোট বাঙালির! পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা তাদের আঞ্চলিক দল নিয়ে ব্যস্ত। তার পরেও আপনারা উপজাতিদের নমিনেশন দিয়ে থাকেন। বাঙালীরা মুল ধারার রাজনীতি করার কারনেও নৌকায় প্রার্থী হতে পারেনা। এক কথায় বলতে হয় পাহাড় দিপংকর তালুকদার রাজনীতি করছে বাঙালিদের দিয়ে! তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাঙালিরাই তাকে ক্ষমতার স্বাদ দিয়েছে!
পাহাড়ে দিপংকর তালুকদারের স্বজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিনিয়ত হত্যা, ধর্ষণ, চাদাবাজির স্বীকার হচ্ছে বাঙালিরা! দিপংকর তালুকদার কখনো উপজাতীয় সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রান্ত অসহায় বাঙালি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন কোন রেকর্ড নেই!
আজকের এই দুর্দিনে এই নিঃস্ব লোকজনের পাশে আপনাদের এগিয়ে আসা দরকার। আপনার দলের লোক নিহত হয়েছে। যখন প্রতিবাদ হয়েছে তখন আওয়ামীলীগের লোক বলে কেউ চুপ করে ঘরে বসে থাকেনি। লংগদুর ঘটনায় আপনি গতকাল ভারতীয় দালাল ৭১ টিভিতে বলেছেন অগ্নিসংযোগ জামায়াত - বিএনপির কাজ। এই কথা বলে পার পেয়ে যাবেন সেটা ভাবার সুযোগ নেই! সামনের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করেন! পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে দেশের দুইটা রাজনৈতিক দলের এমন রাজনৈতিক ইস্যু ভিত্তিক কাদাঁ ছোড়া ছুড়িই প্রমান করে আমরা পার্বত্য বাসীরা তাদের রাজনীতির বলি। আমরা রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি চাইনা। আমরা চাই নয়ন হত্যার বিচার।

আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের আপনার সদয় অবগতির জন্য তুলে ধরছি: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ সালে রাঙামাটির ঘটনা। রাঙামাটি জেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন। ভয়ে ১৯টি ইউনিয়নে কেউ প্রার্থী হতে চাইছে না চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী পাচ্ছে না আ.লীগ! দৈনিক প্রথম আলো, ২১ মার্চ ২০১৬। (রাঙামাটি জেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন। ভয়ে ১৯টি ইউনিয়নে কেউ প্রার্থী হতে চাইছে না চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী পাচ্ছে না আ.লীগ! http://www.prothom-alo.com/…/চেয়ারম্যান-পদে-প্রার্থী-পাচ্ছে…) । অবশেষে নির্বাচন কমিশন রাঙামাটির ৪৯টি ইউপিতে নির্বাচনের সময়সূচী পরিবর্তন করেন।(অনেক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারায় রাঙামাটির ইউপি নির্বাচনের তফসিল বাতিল-ভোট যাচ্ছে জুনে
রাঙামাটির ১০ উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টিতেই চেয়ারম্যান পদে দলের কেউ প্রার্থী হতে রাজি হচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের হুমকির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা। গতকাল রোববার দুপুরে রাঙামাটি শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৩ এপ্রিল রাঙামাটি জেলার সব কটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হুমকিতে ভীত হয়ে অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদে দলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। দলের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা পর্যন্ত ভয়ে নির্বচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাঙামাটিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। নির্বাচনের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। জাতীয় ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তাদের (স্থানীয় রাজনৈতিক দল) দুঃসাহস ও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যে অস্ত্রের জোরে জয়লাভ করা যায়। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনি অভিযান পরিচালনার দাবি জানান। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় ভোটারদের সঙ্গে আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) রাখা বাধ্যতামূলক করা, ভোটকেন্দ্রে মুঠোফোন নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবি জানান। এসব দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে সমাবেশ করা হবে বলে জানানো হয়।

"লংগদুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়া ছুড়ি। মূল ঘটনা না জেনেই বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম সাহেব বক্তব্য দিলেন- পাহাড়িদের বাড়িঘর পুরানোর ঘটনায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত অথচ নয়ন হত্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি তিনি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি একজন সাধারণ পার্বত্য বাঙালি হিসেবে এমন বাজে গল্পের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। মীর্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবের এমন অদূরদর্শী বক্তব্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাংগামাটি ও খাগড়াছড়ির বিএনপির নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে দেশের দুইটা রাজনৈতিক দলের এমন রাজনৈতিক ইস্যু ভিত্তিক কাদাঁ ছোড়া ছুড়িই প্রমান করে আমরা পার্বত্য বাসীরা তাদের রাজনীতির বলি। আমরা রাজনৈতিক কাঁদা ছুড়াছুড়ি চাইনা। আমরা চাই নয়ন হত্যার বিচার।


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]