রাংগামাটির লংগদুতে আরো একজন বাংগালীর লাশ উদ্ধার। পানিতে ভাসছে বাংগালীর লাশ। বাংগালীদের লাশের গন্ধে ছেয়ে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। নয়ন হত্যার দুইদিন পার না হতেই আরো একজন বাংগালী ভাইয়ের লাশ উপহার পেলাম। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিল জংগলে, কিন্তু সেখানে ও পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের থেকে রক্ষা হলোনা এই ভাইয়ের। পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা এই ভাইকে নির্মমভাবে খুন করে কাচালং নদীতে ফেলে রেখে যায়। এরপরেও দেশের সুশিলরা বলবে উপজাতিরা নির্যাতিত। হায়রে মানবতা? আজকের লাশটি কার? পরিচিত কেউ হলে জানাবেন।লাশের মুখটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উপজাতি পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। এমন বর্বরতা আর কতদিন চলবে। আমরা আজ কোন মানবতার কথা বলি? কারা বারবার এখেলায় মেতে উঠছে? নিরীহ মানুষকে মেরে কি আনন্দ করছে?
মুসলিম হওয়াই কি পার্বত্য বাঙালীদের অপরাধ? পবিত্র রমযান মাসে পার্বত্য মুসলিমদের ওপর নেমে এল এক নির্মমতা। অনাহারে, অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছে বনে জংগলে, তাড়া করে বেড়াচ্ছে পুলিশ, পাহাড়ী সন্ত্রাসী, পোকা মাকড়, সাপ, বিচ্ছু, বন্য হাতি। ভাগ্য বরন করে নিয়েছে আরাকান মুসলিম রোহিংগাদের মতন জীবন। ঠিক যেইভাবে মায়ানমারে মুসলিম রোহিংগাদের ওপর বার্মিজরা নির্যাতন চালিয়েছে, ঠিক সেইভাবে পার্বত্য মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে মায়ানমার,আরাকান থেকে পালিয়ে আসা বার্মিজ সেটেলাররা।
আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা হাজার বছর ধরে বসবাস করেও নাগরিকতা পায়নি, পায়নি সামান্য মানবাধিকার কিন্তু পেয়েছে জেনোসাইড, ধর্ষণ ও নির্যাতন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি বার্মিজ সেটেলাররা বার্মা, আরাকান থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রিতা হিসেবে এসে বসবাস করে সকল সুযোগ সুবিধা পেয়েও আজ আমাদের ঘাড়ে চড়ছে।আমি মনে করি এই পরিস্থিতির জন্য আমাদের সরকারই দায়ী। সরকার আমাদের সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দুর্বল করে রেখেছে, আর পার্বত্য চট্টগ্রামে বার্মিজ পাহাড়ী সেটেলাররা পশ্চিমাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছে। তাদের উদ্যেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামকে খৃস্টান রাষ্ট্র করার। কিন্তু সরকার বিভিন্ন তথ্য প্রমান পাওয়ার পরেও এদের অপকর্মের ব্যাপারে একেবারেই বেখেয়াল। এমতাবস্থায় আমি মনে করি বার্মায় রোহিংগা মুসলিমরা যা ফেস করতেছে, অন্তত তার ২০% ও যদি আমরা দেশের স্বার্থে বার্মিজ পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের উপর প্রয়োগ করি, তাহলেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।
দু:খের বিষয় হলেও সরকার তাদের দমনে আন্তরিক নয়, কারন তাদের গায়ে ফুলের টোকা পরলে মিডিয়া সহ আন্তর্জাতিক সংস্থা লাফালাফি করতে থাকে। আমরা নিরীহ উপজাতিদের উপর নির্যাতন সমর্থন করিনা,কিন্তু উপজাতি সন্ত্রাসীরা নিরীহ উপজাতিদের ওপরেও অত্যাচার চালায়। আমাদের সবাইকে সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহীদের অবশ্যই সমুলে ধ্বংস করার পক্ষে পাহাড়ে খৃস্টান মিশনারি কুচক্রীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিতারিত করতে অগ্রসর হতে হবে। এতে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে,তা না হলেই অচিরেই আমরা হারাবো পার্বত্য চট্টগ্রামকে। তখন আর সরকারের কিছুই করার থাকবেনা।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]