বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭

পুলিশের হয়রানি থেকে বাচতে জঙ্গলে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো বাঙালী যুবক

রাঙামাটিতে নুরুল ইসলাম নয়ন এর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে লংগদুতে উত্তেজনার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি  সমিতি (জেএসএসইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে নিজেরা কিছু ঝরাঝির্ণ ঘরবাড়িতে  অগ্নিসংযোগ করার হয়। নুরুল ইসলাম নয়ন নামের মোটর সাকেল চালক এর লাশ ১ জুন বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়কের পাশে পাওয়া যাবার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। লাশ নিয়ে ২ জুন শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাঙালিরা মিছিল বের করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এর জের ধরে লংগদু উপজেলার তিনটিলা এবং পার্শ্ববর্তী মানিকজুর ছড়ায় পাহাড়িদের প্রায় ২৫০টি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। তার পর থেকে স্থানীয় বাঙ্গালীদের গণগ্রেফতার শুরু হলে ভয়ে পাহাড়ে পালিয়ে যায় বাঙ্গালীরা; পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ঘর পুড়ানোর জবাব দিল বাংগালীর মুখ আগুনে পুড়িয়ে। ঘর পুড়ার মিথ্যা মামলায় পুলিশের হয়রানি থেকে বাচতে জঙ্গলে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো বাঙালী যুবক 
পাহাড়ে পালিয়ে থাকা সে রকম একজন বাঙ্গালীর কষ্টের কথা হুবাহু তুলে ধরা হল : “বড় ভাই বিপদের মধ্যে আছি। পুলিশি হয়রানীর ভয়ে বর্তমানে জংগলে দিন/ রাত কাটাচ্ছি। পুরুষ শুন্য লংগদু. পুরুষ/মহিলাদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, অনেকে কলাগাছ খেয়ে কোন রকম জীবন রক্ষা করতেছে সব দোকানপাট বন্ধ এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষধের দোকান পর্যন্ত বন্ধ, গতকাল (মঙ্গলবার ৬জুন) থেকে আমার পরিবার পানি খেয়ে রোজা রাখতেছে। আমার মেয়ে এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলোর খাদ্য সংকটে জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা রহিয়াছে আমার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটা রিপোর্ট করলে সবার উপকার হতো।” 
নয়ন হত্যার রক্ত শুকাতে না শুকাতেই লংগদুতে আরও একটি বাঙালির লাশ,জাকে কিনা হত্যা করে মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে! কতটা বর্বর হতে পাড়লে এমনটা সম্ভব! বর্তমান লংগদুর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পানিতে ভেসে থাকা এই লাসটি কিসের ইঙ্গিত বহন করে? 
মৃত্যু! পাহড়ের অস্ত্রধারীরা সাধারন বাঙ্গালী জনগনের নিয়ে আজ মৃত্যু নামের টুনামেন্ট খেলছে । তাই লংগদুর বাঙ্গালী সন্তানরা প্রান বাচতে পাহাড় ছেড়ে পালাচ্ছে।তবু আজও এক বাঙ্গালীকে পুড়ে নদীতে লাশ করে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চাকমারা তাদের টুর্নামেন্টের ইভেন্ট চালু রেখেছে। মিডীয়া হয়ত এটা প্রকাশ ততটা করবে না।কারন এই নিউজে তাদের চ্যানেল কিংবা পত্রিকার হয়ত ততটা ফায়দা হবে না।তাছাড়া আরো না বলা কত বিষয়তো থেকেই যায়।

ঘড়পোড়ার জবাব দিতে এরা এক বাঙ্গালীর মুখ পুড়িয়ে লাশ করে দিয়ে বুজিয়েছে।এটা শুধু একটা বাঙ্গালীর লাশ নয় এটা বাঙ্গালীর বিবেকের মৃত্যুঘন্টা। বাঙ্গালীদের বলছি! এটা মৃত্যু নয় বরং শত্রুর ভয়ে আপনারা যে ঘড় ছেড়ে পালাচ্ছেন ওইটা মৃত্যু।নিজেদের চাইতে শত্রুকে বড় মনে করাটাই মৃত্যু।নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করুন।সবাই দাড়িয়ে মজা দেখবে আপনাকে বাচাতে ততক্ষন কেউ আসবেনা যতক্ষণ আপনি নিজে এগিয়ে না আসবেন। সাম্প্রদায়িকভাবে না জড়িয়ে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে জড়ান।লংগদু থেকেই শুরু হোক পাহাড়ী অস্ত্রধারীদের ধ্বংশের স্লোগান।


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]