মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭

নয়ন হত্যা এবং লংগদু ইস্যু কেন তৈরী করা হলো কেউ চিন্তা করছেন কি?

আপনারা ধরে নিয়েছেন সেদিন যেহতু মিছিল করেছে বাঙ্গালী, অগ্নী সংযোগও করেছে বাঙ্গালী। ভিডিও ফুটেজে অগ্নী সংযোগের সময়ে বাঙ্গালীর চিহ্ন না থাকলেও মিছিলে বাঙ্গালীর ছবি রয়েছে, রয়েছে রাস্তায় ছুটে চলা বাঙ্গালীর অস্তিত্ব্য। এতেই আপনি প্রমান করতে চাইছেন বাঙ্গালীরাই অগ্নী সংযোগ করেছে। এবার আসুন বাস্তব কথায়। নয়ন, ছাদিকুল, শান্ত, বিশাখা চাকমার হত্যাকারীরা হলেন উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসী। ওরা প্রতিনিয়ত পাহাড়ের সাধারন মানুষদের হত্যা করছে। এখন এই হত্যার দায় কি সমস্ত উপজাতির? নাকি উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসীদের? অবশ্যই এই হত্যার দায় কোন সাধারন উপজাতির নয়, এটা আমি এবং আপনি সবাই স্বীকার করি।   লংগদুতে উপজাতীয় বাড়িতে অগ্নী সংযোগের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত তা আমি ইতোপূর্বেও বলেছি। অগ্নী সংযোগের ঘটনায় কোন বাঙ্গালী যদি সম্পৃক্ত থাকে তবে নিশ্চিত সে সাধারন বাঙ্গালী নন। সে হচ্ছেন উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সহায়ক কোন বাঙ্গালী দুষ্ট চক্র, কিংবা উপজাতীয় সসস্ত্র গ্রুপের সদস্য। যে কিনা উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে এই কাজ করেছে। সুতরাং উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হত্যাকান্ডের দায় যেমন সমস্ত উপজাতির নয়, তেমনি কোন উপজাতীয় বাড়িতে অগ্নী সংযোগের দায় সমস্ত পার্বত্য বাঙ্গালীর নয়। এই সমস্ত ঘৃন্য কাজের দায় পার্বত্য সাম্প্রদায়িক উপজাতীয় গোষ্ঠীর।

এবার বলছি কেন এই অগ্নী সংযোগ, কেন নয়ন হত্যা হলো! রাঙ্গামাটির বিশাল মহাসমাবেশ এবং রুপ কুমার চাকমার বক্তব্যে সমস্ত পার্বত্য সাধারন জনগন এবং রাষ্ট্রের বিবেক উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হীন কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত হয়েছিলো। শুরু হয়েছিলো পাহাড়ে উপজাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী গণ আন্দোলন। সেই আন্দোলনে শন্তু লারমার মুখোশ উন্মোচনের পাশাপাশি তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিল। নিজেদের আত্মরক্ষায় রোমেল নাটকেও তারা ব্যর্থ হয়েছিলো।

উপায় না পেয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হলো নয়নকে। নয়ন হত্যার মাধ্যমে উত্তেজিত করা হলো বাঙ্গালী অধ্যুসিত লংগদু উপজেলাকে। উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় লালিত কতিপয় বাঙ্গালী ঘাতকদের দ্বারা অগ্নী সংযোগ করা হলো জেএসএস নেতাদের সহ সাধারন উপজাতিদের বাড়িতে। জেএসএস নেতাদের বাড়িতে এই জন্যই অগ্নী সংযোগ করা হয়েছে যে, তাদের প্রতি ঘটনার সন্দেহের তীর যেন না পড়ে। 

দেখুন! সুপরিকল্পিত একটি ঘটনা কিভাবে ধ্বংস করে দিল উপজাতীয় সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন। আসলে সেদিন ঘরে অগ্নী সংযোগ করা হয়নি, অগ্নী সংযোগ করা হয়েছে সন্ত্রাসী বিরোধী আন্দোলনে। সেদিনের অগ্নী সংযোগে পুড়ে ছারখার হয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী গন জোয়ার। যে জোয়ারে ফিরে যেতে পার্বত্য সাধারন জনগনের হয়তো আরও তিন যুগ অপেক্ষা করতে হবে। এভাবেই ইস্যু বদলাতে জেএসএস ঝুকি নিয়ে সফল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।