ঘটনার সত্য প্রমাণ বেড়িয়ে আসুক, আর সত্য সবাই জেনে যাক, ভন্ডের মুখোশ খুলে দিন? বন ভান্তে মৃত্যুর পর বনবিহারে এই ভিক্ষুটি মারা পড়ে। প্রকাশ করা হয় নিজে নিজে সোসাইট করেছে, তাহলে রহস্যটা কতটুকু সত্য?সেইদিন ছিলো শুক্রবার আমার যাওয়ার কথা ছিলো বাঙাল হালিয়া কম্পিটার ভান্তের কাছে। কিন্তু কংজং গুরুর সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ হলো, বলে দেবরাজ ইন্দ্রের নির্দেশে ক্যামলং জাদীতে গুরু ভান্তের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আছে। চল যাই, পূণ্যকর্ম করার সুযোগ সবসময় হয়না। তাই আমিও মনে মনে ভাবলাম সত্যিই তো! পূন্যকর্ম করার সুযোগ সবসময় হয়না। রওনা দিলাম ভোরে দুজনে মোটর সাইকেলে, পৌছঁলাম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান ও বেশ সুন্দর হয়। গুরু ভান্তে ও দেশনা করেন দুটঠাগামিনী রাজা, আর্যমিত্র বুদ্ধের ডান হস্ত সারিপুত্র মহাসত্ত্ব সম্পর্কে, দেশনা শেষ হওয়ার পর সর্বতও পান করলাম। তারপর বিহারে।
হঠ্যাৎ করে দেবী দিদির শরীরে ক্যামলং দেবী বর করে বলে, আজকের অনুষ্ঠান ভীষণ সুন্দর হয়েছে। ছাইরে চ্যায়াদ অরহত ও দেবরাজ ইন্দ্রসহ অনেক দেবতা, ব্রম্মাগন অনুষ্ঠানে এসেছে। এই দেবী কিন্তু ১৮ টা গ্রাম রক্ষাকারী দেবী। গুরু ভান্তের অতীত জম্মের নানী। তার মানে নানী-নাতনী। এরপর গুরু বললেন, কিছু কিছু গোপনীয় জিনিস আমার খুব জানতে ইচছে করে, পরম পূজ্য গুরু অরহত ছাইরে ছ্যায়াদ ও দেবরাজ ইন্দ্রের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করলাম বনবিহারে বড়ুয়া ভিক্ষুটি কিভাবে মারা গেছে? সত্যি কি সোসাইট করে মারা গেছে, নাকি হত্যা করা হয়েছে? বলেনি! আপনার কাছে ও জানতে চেয়েছি তুমিও বলোনা, নানী-নাতনীকে যদি গোপন কথা না বলে? কে আমাকে বলবে? আমি তো মনে করি, হত্যা করা হয়েছে। কোন ভিক্ষু নিজে আতথ হত্যা করার জন্য প্রবজ্জ্যা গ্রহণ করে, নাকি সে জানেনা আতথ হত্যা মহাপাপ? সেই লেখা চিরকুট এর সাথে তার হাতের লেখা অক্ষরের সাথে যদি মিলে মনে করবো, সে নিজে আতথ হত্যা করেছে, আর না মিললে পরিকল্পিত ভাবে তাহাকে হত্যা করা হয়েছে?
এই কথা বলাতে ক্যামলং দেবী বললো ভান্তে আপনার ধারণা ঠিক, তাহাকে হত্যা করা হয়েছে। কেন? উত্তরে বললো, বনভান্তে মৃত্যুর পর সেখানে দায় দায়িত্ব কাউকে দিয়ে যেতে পারেনি, ঢাকা, সিটেগাং থেকে যারা আছে ঐ বড়ুয়া ভিক্ষুর কাছে যায়, সে বেশি লাভ সৎকার পায়। একদিকে ভান্তে উচ্চ শিক্ষিত ও ভালো দেশনা করতে জানে "অন্যদিকে চাকমা ভিক্ষুরা, বড়ুয়া ভিক্ষুদেরকে বনবিহারে ভালো চোখে দেখেনা" এই নিয়ে সামান্য লাভ সৎকারের জন্য ৩ জন চাকমা ভিক্ষুর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে তিনজন ভিক্ষু রাত্রিতে ১২ টা ১ টার ভিতর তার রুমে গিয়ে গলা টিপে হত্যা করে। আর যে জানলা নড়েবড়ে ছিলো, সেই জানলা দিয়ে এরা পালিয়ে আছে, সেজন্যই মৃত্যুর পর গলা মোটা হয়, আগুনে পোড়ানো সময় নাগ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আছে।
দেখেন কত নিষ্ঠুর? আর এও ক্যামলং দেবী বলে, যারা হত্যা করেছে মৃত্যুর সাথে সাথে অবিচীতে চলে যাবে। আর ও নাকি বনবিহারে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে "তারপর হুড়োমোনে একজনকে হত্যা করা হয়। তার আগেও বন ভান্তে জীবিত থাকা অবস্থায় সুবলং বেতছড়ি থেকে বনবিহারে ভবা নন্দ ভান্তেকে পিছন থেকে ছুড়ি মেড়ে হত্যা করা হয়। সে জন্যই বলি, এটা বন বিহার না, সন্ত্রাসী বিহার, ধর্মের নামে চলে সন্ত্রাস, ঠকবাজ।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]