মঙ্গলবার মংডুর আন্ডাং, বচ্ছরা, সাহাব বাজার, নয়া পাড়া, চরপাড়া এবং সীমান্তবর্তী গ্রাম চাকমাকাটা, ঢেঁকিবনিয়া সহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা, লুট ও ধর্ষণ চালিয়েছে বর্মী বাহিনী। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি। গত পাঁচদিনের ম্যালিটেরীর কিলিং অপারেশনে নারী-পুরুষ, শিশু শহ প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান। কফি আনানের রিপোর্টে রোহিঙ্গা মুসলামনদের উপর বর্বর নির্যাতন বন্ধ এবং নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হলে, বার্মার সামরিক জান্তা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পরিকল্পনা করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার। ২৫ আগস্ট পরিকল্পনা মোতাবেক নারকীয় হত্যাকান্ডে লিপ্ত হয়। তাদের ষড়যন্ত্রকে বহির্বিশ্বে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে, মিলিটারির উপর জঙ্গি হামলা, জঙ্গি দমনে তাদের দৃঢ় অবস্থান বলে দাবি করে। গণহত্যাকে জঙ্গি দমন বলে প্রচার করছে বার্মা।
রোহিঙ্গারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য,পাড়া গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘরপোড়া উৎসবে মেতে উঠে বর্মী বাহিনী। নির্যাতনের স্বীকার হয়ে, অসহায় হয়ে পড়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান। তারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য গন্তব্যহীন পথে যাত্রা করে। বর্তমানে চল্লিশ হাজারের উর্ধে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে। এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা জিরোপয়েন্টে অবস্থান করছে। জিরো পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা কি বাংলাদেশে আশ্রয় পাবে? না, মিলিটারির হাতে মারা পড়বে তা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বিশিষ্ট জনদের ধারণা, বার্মা মিলিটারির বিদ্রোহ দমন নামে গণহত্যায় নেমেছে। শুধু গণহত্যা নয়, রোহিঙ্গা শূন্য করার পরিকল্পনা।
এইভাবে আরো কিছুদিন গেলে আরকান রাজ্য রোহিঙ্গা মুসলিম শূন্য হয়ে পড়তে পারে। আরকানে রোহিঙ্গা মুসলিম শূন্য হয়ে পড়লে, বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে মনে করেন তারা। এমনকি জুম্মল্যান্ড গড়ার জন্য বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে রাখাইনরা, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। রোহিঙ্গাদের সাথে একাগ্রতা ঘোষণা করে তাদের চাহিদা পূরণে বিশ্ব মহলে তদবীর করা বাংলাদেশের জন্য আবশ্যক হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইউছুফ জালাল, আরাকান টিভি
