রোহিঙ্গাদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে ওঠেছে বুথিদং থানার চৌপ্রাং ইউনিয়নাধীন বিভিন্ন গ্রাম। দিনব্যাপী ওই এলাকায় হত্যালীলা চালিয়েছে সৈন্যরা । শিশু, নারী, বৃদ্ধ, যুবক কেউ বাদ পড়েনি সেনাদের হাত থেকে । যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানে গুলি করেছে । বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে থেতলে দিয়েছে অনেক রোহিঙ্গার মাথা ও মুখ । এমন করূণ খবর ও চিত্র পাঠিয়েছে আরাকান টিভি’র বুথিদং সংবাদদাতা । সংবাদদাতা আরো জানিয়েছে, আজ রবিবার নির্লিপ্ত তান্ডব চালিয়েছে বর্মী হানাদার বাহিনী। সেনাদের বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা গেছে অন্তত অর্ধশত রোহিঙ্গা । রক্ষা পায়নি মায়ের কোলে থাকা নিষ্পাপ শিশুরাও । একটি শিশুকে মায়ের কোল থেকে টেনে নিয়ে মায়ের সামনে পদদলিত করে নাড়িভূড়ি বের করে ফেলে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা ।
এর আগে চৌপ্রাং এলাকায় সেনাগমণ হচ্ছে জেনে রোহিঙ্গারা প্রাণপণে দিকবিদিক ছুটে পালাতে থাকে । এসময় খোলা বিলে ছুটতে থাকা রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করে সেনারা । এতে বহু রোহিঙ্গা বিলের মাঝে ঢলে পড়ে । সৈন্যদল রোহিঙ্গাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাসী চালায় । নারীদের ধর্ষন করেছে বলেও জানাগেছে ।
এদিকে চৌপ্রাং এর অদূরের রোহিঙ্গা পল্লী থেকে খবর পাওয়া গেছে, বিকেলের কিছু সময় সেনা ট্রাকে করে লাশগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এর আগে আক্রমণকারী সেনা সদস্যরা চলে গেলে দুঃসাহসী কিছু রোহিঙ্গা তরুন বেশ কিছু লাশের ছবি তোলে নেয় । ছবিগুলোতে দেখা গেছে, অনেক লাশের অবস্থা খুবই বিভৎস । ফলে সব প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা ।
উল্লেখ্য, ২৪ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে রোহিঙ্গাদেরকে আবারো গণহত্যা শুরু করেছে বর্মী বাহিনী । গত তিন দিনে মংডু, বুথিদং ও রাথিদং-এ প্রায় ১ হাজার রোহিঙ্গা হত্যার শিকার হয়েছে । আহত হয়ে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা । এছাড়া উদ্বাস্তু হয়ে পাহাড়ে ও বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান করছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ।