নিজস্ব প্রতিবেদক, পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী
রাঙামাটি শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে এখন পর্যন্ত চারজন সেনা সদস্যসহ অন্তত ১০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পরে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত পৌনে এগারোটায় রাঙামাটি জেলাপ্রশাসনের দেয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, রাঙামাটি সদর উপজেলায় ৫৩জন, কাউখালীতে ২৩জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৯জন, জুরাছড়ি উপজেলায় ২জন ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ২জন নিহত হয়েছে। এরপ্রায় আধঘন্টা পরই শহরের শিমুলতলি এলাকা থেকে আরো তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই হিসেবে মঙ্গলবার রাত অবধি নিহতের সংখ্যা ১০১ জন।
রাঙামাটি শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে এখন পর্যন্ত চারজন সেনা সদস্যসহ অন্তত ১০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পরে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত পৌনে এগারোটায় রাঙামাটি জেলাপ্রশাসনের দেয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, রাঙামাটি সদর উপজেলায় ৫৩জন, কাউখালীতে ২৩জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৯জন, জুরাছড়ি উপজেলায় ২জন ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ২জন নিহত হয়েছে। এরপ্রায় আধঘন্টা পরই শহরের শিমুলতলি এলাকা থেকে আরো তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই হিসেবে মঙ্গলবার রাত অবধি নিহতের সংখ্যা ১০১ জন।
এদিকে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালি ইউনিয়নের কারিগরপাড়া এলাকায় মাটিচাপা পড়ে উনু চিং মারমা এবং নিকি মারমা মারমা নামের দুইজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাইখালি ইউপি চেয়ারম্যান ছায়ামং মারমা। কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় গাছ চাপা পড়ে আবুল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং ইকবাল নামের এক ব্যক্তি কর্ণফুলি নদীতে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন।
এদিকে ধ্বসে পড়াদের আশ্রয়ের জন্য রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার, বনরূপা ও ভেদভেদিতে দশটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও জেলাপ্রশাসন কার্যালয়ে তথ্য সেন্টার খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ১০ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসময় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় আট শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষও কমবেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে শহরের যুব উন্নয়ন,ভেদভেদী,শিমুলতলি,রাঙাপানিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড় ধসের খবর আসতে থাকে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ৫৩ জনের মৃতদেহ এসেছে।
রাঙামাটি মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পের সামনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক যান চলাচল স্বাভাবিক করতে গিয়ে ক্যাম্পের পাহাড় ধসে এবং উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। নিহত সেনা সদস্যরা হলেন, মেজর মাহফুজ, ক্যাপ্টেন তানভির, কর্পোরাল আজিজ ও সৈনিক শাহিন। এছাড়াও আহত অপর ৫ সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৫সেনা সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হচ্ছে। এরা হচ্ছে সৈনিক আজমল, মামুন, ফিরোজ, মোজাম্মেল ও সেলিম।
রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন, এটা একটা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। অনেক স্থানেই এখনো মানুষ মাটি চাপা পড়ে আছে।
মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম দিনেই পনের লক্ষ টাকা এবং ১০০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।