সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭

সুশিলদের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী

পার্বত্য পরিস্থিতি অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেতো, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতো। যদি না সমতল হতে কতিপয় সুশিল সাম্প্রদায়িক উসকানি না দিতো। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি-বাঙ্গালী পরস্পর পরস্পরের সম্পুরক হিসেবে বর্তমানে অধিষ্টিত। আমাদের রাষ্ট্রের সুশিল সমাজ চায় পাহাড়ে একমাত্র উপজাতি সম্প্রদায় থাকুন এবং বাঙ্গালী উচ্ছেদ হয়ে যাক। তারা ভালো করেই জানে যে, পাহাড়ে বাঙ্গালী যদি না থাকে তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিশ্চিত বাংলাদেশ হতে আলাদা হবে। সেই উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন আলাদা রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক পার্বত্য উপজাতিদের ব্যবহার করে সুকৌশলে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রের কতিপয় সুশিলরা। যাদের সমস্ত আর্থিক সহায়তা করছে বৈদেশিক দাতা সংস্থাগুলো। পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যু নিয়ে বরাবরই আমরা শন্তু লারমাকে
দোসারোপ করে আসছি। বাস্তবে শন্তু লারমার কি দোস? একজন শন্তু লারমার পক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে কখনোই এতো বড় সসস্ত্র গ্রুপ পরিচালনা এবং রাষ্ট্র বিরোধী আন্দোলন, কর্মসূচি অব্যাহত রাখা সম্ভব হতো না, যদি না দেশের সুশিলরা তাকে আগলে রাখতো। বৈদেশিক অপশক্তির সহায়তায় তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শন্তু লারমাকে ব্যবহার করছে দেশের কতিপয় সুশিলরা।
আমাদের রাষ্ট্রও যেন আজব! কে প্রতৃত দেশপ্রেমিক, কে রাষ্ট্রদ্রোহী তা চিনতে ব্যর্থ। মুখে মানবাধিকার, অন্তরে যাদের রাষ্ট্রদ্রোহীতা এদের প্রতি রাষ্ট্র কেমন যেন নীরব। পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুফল রাষ্ট্র কেন পাচ্ছে না — তারজন্য আমরা দায়ী করি শন্তু লারমাকে। কিন্তু, আমিতো মনে করি শন্তু লারমা নয়, দায়ী সুলতানা কামাল গংরা। একটু চোখ মেলে দেখুন .... চেয়ারে বসে আছে শন্তু লারমা! কিন্তু, ক্ষমতার কলকব্জা লারছে সুলতানা কামাল গংরা।
পার্বত্য উপজাতিদের শোষন করছে রাষ্ট্র নয়, দেশের কতিপয় সুশিল। এটা এখন দিনের আলোয় পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র চোখ মেলে দেখছে না রাষ্ট্রের সরকার এবং শিক্ষিত উপজাতি সম্প্রদায়। সরকার এদেশের কতিপয় সুশিলদের পার্বত্য ইস্যু নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিক, সাধারন উপজাতির সমস্যা নিজে এসে অনুধাবন করুক — এক মাসেই পার্বত্য সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
কার্টেসিঃ- আবু উবাইদা