পাবর্ত্য চট্টগ্রামে হাজার হাজার উপজাতীয় লোক খ্রিষ্ট্রধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছে। গহিন অরণ্যের দরিদ্র লোকদের আর্থিক সহযোগীতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খৃষ্টান মিশনারী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । অনেকের আশংকা পার্বত্য চট্রগ্রামকে পুর্ব-তিমুর/দক্ষিণ সুদান বা ইসরাইল মতো বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রপ্রতিষ্টার সুদূর পরিকল্পনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব কৌশলে তৎপরতা চালচ্ছেন। এই ব্যাপারে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের তেমন হুশ নাই। তবে খৃষ্টান মিশনারী না হয়ে কোন মুসলীম দাওয়া সংস্থা ইসলাম ধর্ম প্রচার করলে বাম-রাম, মুরগী কবির, সুলতানা কামাল, সুশীল প্রজাতি ঘেউঘেউ করে ঘুম হারাম করে দিত।
বিষয়টি নিয়ে আজকে লেখার কারণ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো ও সরকারবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার কথিত অভিযোগে আব্দুল আজিজ নামে এক নও মুসলীমকে আটক করেছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। তিনি হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং তার ফেইসবুকে ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, তাই হিন্দুদের ষড়যন্ত্র এবং রোষাণলে পড়ে গ্রেফতার হন বলে সুত্রমতে জানা যায়। পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে সবাই নিরব কিন্তু শুধু একজন ধর্মান্তরিত মুসলীমকে সহ্য করতে না পারা বেশ দুঃখজনক ।
অস্তিত্বের সঙ্কটে থাকা বামদের নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকার পুরো মেয়াদজুড়েই ইসলাম ফোবিয়ায় ভুগছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইসলামী মূল্যবোধ নির্মূল করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও ধর্মহীন অপসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে কাজ করছে। আদালত ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সরকার ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে আসে। এ সময় সরকারি মহলের চরম বিদ্বেষের শিকার হয় ইসলাম,ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানগুলো। একদিকে সৃষ্টি করা হয় শাহবাগ নামের নাস্তিক প্রজনন কেন্দ্র অন্যদিকে ৫ই'মের শোকাবহ ঘটনা, ইসলামী ধারার টিভি চ্যানেল বন্ধ, ইসলামী ব্যাংক দখল ইত্যাদি সম্পর্কে নতুন করে বলার দরকার নাই।
নিরহ নও মুসলীম আবদুল আজিজের মুক্তির দাবীতে সবার সোচ্চার হওয়া দরকার। এর সাথে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে খৃষ্টান মিশনারীর অপ-তৎপরতা বন্ধে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির এখনই সময়।
দেশের পরিস্থিতি এত নাজুক "সর্বাংগে ব্যাথা ঔষধ দেব কোথা অবস্থা" কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা লিখবো বুঝতে পারিনা🤔🤔😪😢
লেখক : Kutub Shah