রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার কাসালং নদীতে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ সময় বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলা বারুদ, যুদ্ধের সরাঞ্জামাদী ও দলিল দস্তাবেজ উদ্ধোর করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাঁত থেকে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিয়ান অব্যাহত আছে। অভিযান চলাকালীন সময় ৪টি রাইফেল, ৪টি ম্যাগজিন, ১৫২ রাউন্ড গুলি, ৭ জোড়া সেনা পোশাক, ৪টি গুলি রাখার পোজ, গুলি লোডার ৭টি এবং ইউপিডিএফের সাংগঠনিক দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যায়। খাগড়াছড়ির সেনা রিজিয়িনের জিটুআই মেজর মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া অভিযান (এই রিপোর্টে লেখা পর্যন্ত) চলছে, রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার গলাছড়ির গহীন অরণ্যে পার্বত্য চট্রগ্রামের অঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থান করার সংবাদ পাওয়া যায়।
সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান পেয়ে ভোর রাতে ২ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুল আলীম চৌধুরী‘র নেতৃওত্ব অভিযান শুরু করা হয়। লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুল আলীম চৌধুরীর বরাত দিয়ে মেজর মুজাহিদুল ইসলাম জানান, অভিযান শুরু হলে সেনা উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ডজনখানেক সন্ত্রাসী। ধারণা করা হচ্ছে পালিয়ে যাবার সময় তাদের বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র পাশের একটি খালে ফেলে দিয়ে যায় তারা।
তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীর ডুবুরিদল খালের পানিতে অভিযান চালিয়ে ২টি রাইফেল উদ্ধার করে। শুক্রবার সকাল থেকে সেখানে আবারো অভিযান শুরু করেছে ডুবুরি দল। একইসাথে ওই এলাকার আশেপাশেও চলছে সেনা তল্লাশি। পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের অঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্য ছিলো বলে দাবী করেছেন সেনা সূত্র।
তিনি জানান, সাধারণ পাহাড়িরা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিক মাথায় রেখেই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে গহীণ অরণ্যে সেনাবাহিনী চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। তবে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসস্ত্র লুকিয়ে সাধারণ পাহাড়িদের সাথে মিশে যাওয়ায় তাদের চিহ্নিত করা দুষ্কর।