সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭

বাঙালীদের ভূমির খাজনা গ্রহণ করছে না হেডম্যান

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ২৪৬নং মৌজার খাজনা নিচ্ছে না স্থানীয় হেডম্যান। জেলা সদরে বসবাস করায় ভূমির খাজনা দিতে গিয়ে অপদস্ত হচ্ছে ভূমি মালিকরা। এ ব্যাপারে সুরাহ পেতে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে ভূক্ত ভোগী ভুমি মালিকরা। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২৪৬নং ছোট পানছড়ি মৌজার হেডম্যান ধনচন্দ্র রৌয়াজা জিবিত অবস্থায় বাঙ্গালী ভূমি মালিকগন তাদের নামে বন্দোবস্তিকৃত ভূমির খাজনা ধনচন্দ্র রৌয়াজা গ্রহণ করতেন। ২০০০ সাল থেকে ধনচন্দ্র রৌয়াজা ভূমি গ্রহণ বন্ধ করে দেন। ধনচন্দ্র রৌয়াজা মৃতে্যুর পর তারই ছেলে জগদীশ চন্দ্র রৌয়াজা হেডম্যান হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই জগদীশ চন্দ্র রৌয়াজা খাজনা তো নিচ্ছেই না বরং খাজনা দিতে গেলে বাঙ্গালী ভূমির মালিকদের নানা ভাবে হয়রানী সহ অপমান অপদস্ত করছেন।
যার কারণে প্রায় দেড় দশক ধরে এই অবস্থার কারণে জমি কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে।বাঙালী ভূমির মালিকরা খাজনা দিতে চান, কিন্তু খাজনা নিচ্ছে না হেডম্যান। খাজনা না নেওয়ায় জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা, জোত পারমিট, জমি বেচাকেনাসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাঙ্গালীরা।

জানাযায়, রেকর্ডীয় ভূমির খাজনা নেওয়ার দাবিতে ভূমি মালিকরা আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন। সম্প্রতি আবার প্রকৃত ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ফুঁসে উঠছে ভূমি মালিকরা। সরেজমিন ও স্থানীয় ভূমি মালিকদের সূত্রে জানাযায়, ১৯৮০/৮১ সালে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুযায়ী মধ্যস্বত্বভোগীদের রেজিস্টিশন জবাবন্ধি ও কবুলিয়াত মূলে প্রাপ্ত ভূমি প্রজাদের নামে ২৪৬নং ছোট পানছড়ি মৌজায় ৫ একর ভূমি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। জরিপে স্বত্ব জরিপ অনুযায়ী সরকার ভূমি মালিকদের নামে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সরেজমিন পরিমাপ করে জবাবন্ধি ও কবুলিয়াত এর বিপরীতে নির্ধরিত জমির কলামে জমির পরিমাণ উল্লেখ করে ভূমি বন্দবস্তি দেওয়া হয়। জরিপ চলাকালে ভূমি মালিকরা তাদের ভূমির কাগজপত্র হাতে পায়। বিধি অনুযায়ী রেকর্ডে প্রথম সম্পন্ন হওয়া মৌজারটির তৎসময়ে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এই মৌজার খাজনা নেওয়ার জন্য ১৭ই নভেম্বর ২০১৫ সালে জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি থেকে ০৫.৪২.৪৬০০.০১৪.০৪.১০৭-১৪১৮ মূলে ৮৬৯ ডকেটে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ সবুর আলী স্বাক্ষরিক একটি পত্র প্রেরণ করেন। এরই সূত্র ধরে ০৫.৪২.০.৪৬৭৭.০০৩.০০.০২০.২০১৫-১৭৩৬ মূলে ২২.১১.২০১৫ তারিখে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২৪৬নং মৌজার হেডম্যান জগদীশ চন্দ্র রৌয়াজাকে একটি পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু হেডম্যান এই পত্র পাওয়ার পরও খাজনা নিতে অপরাগত প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সুরাহ পেতে উপজেলার জিয়ানগর এলাকার বাসিন্দা মোঃ রমজান আলীসহ ১৬জন গন্যমাণ্য ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ভূমি প্রতিমন্ত্রীর বরাবরে ০২ই জুন ২০১৭ তারিখে পোষ্ট অফিস মারফত প্রেরণ করেন। ভোক্তভুগী জমির মালিকদের সাথে কথা বললে তারা হেডম্যানের খারাপ আচরণ ও খাজনা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, বিপদে সম্পদ কাজে না এলে জমি পাহারা দিয়ে লাভ কি? তাহলে স্বাধীন দেশের নিজ ভূমিতেও কি আমরা পরবাসী।

এ ব্যপারে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে হেডম্যান জগদীশ চন্দ্র রৌয়াজার সাথে কথা হলে তিনি করো সাথে মনোমলিন্ন হলে সে অভিযোগ করতেই পারে বলে জানিয়ে বলেন, খাজনা নিতে আইনত বাধাঁ আছে। কি বাঁধা আছে জানতে চাইলে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি, হেডম্যানকে লিখিত ভাবে ডাকা হয়েছে। ভূমি মালিকসহ সব পক্ষকে নিয়ে বসে আসল ঘটনা কি তা জানা যাবে। এরপর শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা যাবে।

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছ, খাগড়াছড়ি


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]