পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ৮ দফা দাবি:
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে তৎকালিন চীপ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ`র সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের গেরিলা নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা সন্তু লারমা। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রতি দেয় কিন্তু শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হলেও পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। নতুন করে সৃষ্টি হয় উপজাতিদের তিনটি সশস্ত্র গ্রুপ-জেএসএস, ইউপিডিএফ ও এমএন লারমা। এসব বাহিনীর খুন, অপহরণ, চাদাবাজী, সম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বলি হয় তিন পার্বত্য জেলার বসবাসরত সাধারণ বাঙালীরা। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ৮ দফা দাবি গুলো হলো :
১. পার্বত্য চট্টগ্রমের সকল জনগণের মাঝে শাসনতান্ত্রিকভাবে গ্রহনযোগ্য সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২. পার্বত্য চট্টগ্রমে পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের মত আলাদা খ্রীষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সকল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করার পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনাণুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১ অসংবিধানিক হওয়ায় সেটিকে অবৈধ ঘোষণা পূর্বক পরবর্তীতে প্রস্তাবিত সকল সংশোধনীসহ আইনসহ আটটি আইন বাতিল করতে হবে।
৪. শুধুমাত্র উপজাতিদের জন্যে করমুক্ত ব্যবসা সুবিধার পরিবর্তে সকল সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদেরকে একই সুবিধা দিতে হবে।
৫. বর্তমান জেলা পরিষদ, পার্বত্য শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্স, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও আঞ্চলিক পরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।
৬. নিরাপত্তা ঝুকিপূর্ণ অঞ্চলসমুহে সেনাক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।
৭. উপজাতীয় চাদাবাজী, অপহরণ বাণিজ্য, হত্যা, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮. ২৮ হাজার ২২০ পরিবার গুচ্ছগ্রামবাসী বাঙালিদের ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীদেরন্যায় সুবিধাদি দিয়ে ভূমিসহ পুনর্বাসন করতে হবে।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]