বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অপহরণ ও চাঁদাবাজীর ব্যপারে প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের ভুমিকা নিরব কেন?

আবু উবাইদা : কখনো কি শুনেছেন দেশের কথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের অপহরণ ও চাঁদাবাজীর ব্যপারে কোন মন্তব্য করতে? আমি কখনো শুনিনি এই প্রগতিশীল নেতাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের অপহরণ ও চাঁদাবাজী সম্পর্কে প্রতিবাদ করতে। আসলে ওরা করবেই বা কেন? এটাতো স্থানীয় বাঙালীরা করছে না, করছে তাদের দৃষ্টিতে সহজ সরল উপজাতিরা। তাই উপজাতিদের অপহরণ ও চাঁদাবাজী করা তাদের চোখে অপরাধ নয়, এটা তাদের জন্য বৈধ! সত্য বলতে এই প্রগতিশীলরা হলেন সমাজের কিছু লোভী নারীদের মতো। স্বামী কিভাবে আয় করছে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো তার দামী দামী কাপড় ও গহনা চাই চাই। এমন উদাহরণ দিলাম কেন ভাবছেন? আরে ভাই পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা যে টাকা অপহরণ ও চাঁদাবাজী করছে তার বিশাল একটি অংশ চলে যাচ্ছে এই প্রগতিশীল মানবদরদীদের পকেটে। এবার ভাবছেন কিভাবে যায় ? উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা প্রায় প্রতি মাসেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করতে কর্মসূচি পালন করে থাকে। যেখানে অত্যন্ত দুকেজন প্রগতিশীল থাকেন যারা টাকার বিনিময়ে বক্তব্য দিয়ে থাকেন।
প্রগতিশীল ভাড়াটে বক্তা, লেখকের অভাব নাই। বরাবরই তারা সমগ্র জাতীকে বিভ্রান্তি করতে টাকার বিনিময়ে বই লিখে পার্বত্য বিষয়ে সমগ্র দেশ নয়, বিশ্বজুড়ে বাঙালি জাতিকে অপমানিত করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে চুন থেকে পান খসলেই সাম্প্রদায়িক যে সংঘাত সৃষ্টি হয় তার মদদ দাতা হলেন এই প্রগতিশীলরা। বাংলাদেশের প্রগতিশীল মিডিয়ায় বরাবরই উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের এমন ভাবে হাইলাইট করা হয়, যেন তারা পাহাড়ে বাঙালি দ্বারা ক্রমাগত নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হচ্ছে। লক্ষ্য করবেন এই মিডিয়ায় কখনোই সত্য সংবাদ তথা উপজাতীয় সন্ত্রাসী বিরোধী সংবাদ প্রচারিত হয় না। কারণ, উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা এই সকল পত্রিকাগুলোকে বড় অংকের টাকা দিয়ে মেয়াদের ভিত্তিতে কিনে নিয়েছে।

সুতরাং সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিপক্ষে কথা বলা আর নিজের পেটে লাথি মারা কথিত প্রগতিশীলদের কাছে সমান। তাদের দৃষ্টিতে চাদাবাজী কোন অপরাধ নয়। তাই তারা বরাবরই পার্বত্য উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্মকে এক চেটিয়াভাবে সমর্থন করে থাকেন। যেখানে চাঁদাবাজি পাহাড়ে মূল সমস্যা সেখানে তারা নীরব।

[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]