মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭

বিদেশী দাতা সংস্থাদের প্ররোচনায় খ্রিষ্টান ধর্মে দিক্ষিত সহ অধিক হারে সন্তান নিচ্ছে উপজাতিরা

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা ইদানিং অধিক সন্তান নেওয়ার পিছনে রহস্য সুদূর প্রসারী। বিংশ শতাব্দীর আগে দেখা গেছে উপজাতি নারীরা বড়জোর তিনের অধিক সন্তান জন্ম দিতে পারতো না।এখন লোভনীয় অফার ও সুযোগ সুবিধার কারনে উপজাতি স্বামী-স্ত্রী রা অফার টি গ্রহন করছে।উপজাতিদের অধিক সন্তান নেওয়া এবং সাম্রাজ্য বাদীদের ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাথা।পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫২% বাঙালি ৪৮% উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি বসবাস করে। এখন সংখ্যা গরিষ্টতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম কে গনভোটের মাধ্যমে আলাদা উপজাতি রাষ্ট্র বানাতে হলে উপজাতিদের জনসংখ্যা হতে হবে ৮০%, তাহলে জাতি সংঘের চাপে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বেসরকারি এনজিও র মাধ্যমে বৃহৎ পরিবার পরিকল্পনার অফার টি গ্রহন করে থাকে উপজাতিয় দম্পতি, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর নগদ ৩০ হাজার টাকা পাবে।
টাকা পাওয়ার জন্য এনজিওর ফরমে রেজিস্ট্রি থাকতে হবে। বাংলাদেশের বাঙালি জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাসস-ইউনিসেফ ফিচার বাল্যবিবাহ বন্ধ ও দুই সন্তানের বেশি নয় এমন নীতি ঝুলিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে।বাংলাদেশ সরকার বিদেশী সাম্রাজ্য বাদীদের NSSM200 পলিসি গ্রহন করে।NSSM200 মানে National Security Study Memorandum 200 পলিসি।এই পলিসি অনুসারে সাম্রাজ্যবাদীরা পাহাড় ও সমতলের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ করতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে হুমকি হিসেবে মনে করে। উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা যত কম থাকবে, তারা তত প্রাকৃতি সম্পদ কম ব্যবহার করবে।জনসংখ্যা হ্রাসের অন্যতম উপায় হচ্ছে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা।পাহাড়ে বাঙালি জনসংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য বাল্য বিবাহ বন্ধ ও জম্ম বিরতি করনের জন্য এনজিও মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে সাম্রাজ্য বাদীরা।ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত পাড়া কেন্দ্র এলাকার শিশুদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইউনাইটেড কিংডম’স ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’র (DFID) হেলথ্ সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্টের গ্রীন হিল এনজিওর মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন প্রজেক্ট "মিডওয়ে হোমস", বনশ্রী নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন,হিল ফ্লাওয়ার', গ্লোবাল ভিলেজ, হিউম্যানিট্রেইন ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ 
উন্নয়ন সংস্থা (গ্রাউস)আশার আলো, মহামনি শিশু সদন প্রভৃতি এনজিও উপজাতি জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত।কোনো উপজাতি মহিলা গর্ভবতী হয়েছে এমন তথ্য পেলে এইসব এনজিও র উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবার কর্মীরা সে মায়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যা করেন,পুষ্টি, আর্থিক সাহায্য দেন। সন্তান প্রসব কালে হাসপাতালে ভর্তি করে,জন্মের পর শিশুর সামগ্রিক পরিচর্যার দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকে।

[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]