শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭

উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিচার কে করবে?

‘জীব হত্যা মহাপাপ, অহিংসা পরম ধর্ম’- গৌতম বুদ্ধের এই মহামূল্যবান বাণীটি আমরা সবাই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সবাই আমরা অহিংসার আদর্শে বিশ্বাসী হলেও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হয়েও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতি নেতা এবং তাদের দল জেএসএস ও ইউপিডিএফ এই আদর্শ অমান্য করে চলেছে। তাদের কাছে দলীয় ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, তাকে হত্যা করতে পারাই যেন বিরাট কৃতিত্বের ব্যাপার। সেখানে মহামতি বুদ্ধ কী বাণী দিলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। অবশ্য বৌদ্ধধর্মীয় বড় বড় অনুষ্ঠানে আবার তারাই থাকে সর্বেসর্বা। কি বুদ্ধ পূর্ণিমা, কি কঠিন চীবরদান অথবা বনভান্তের কোনো অনুষ্ঠান, অথবা বৈসুক, বিজু, সাংগ্রাই- যা-ই হোক না কেন, সেখানে দেখা যায় ওই আঞ্চলিক দলীয় নেতারাই থাকেন শীর্ষে। অথচ বাস্তবে তারা কতটুকু বৌদ্ধধর্মীয় আদর্শে বিশ্বাসী, তার হিসাব ক’জনে রাখে?

‘রাঙ্গামাটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা জেলহাজতে। সাবেক সেনাসার্জেন্ট মুকুল চাকমা অপহরণ মামলায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন রাঙ্গামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকন উদ্দিন কবিরের আদালত এ নির্দেশ দেন।’

উপজাতিদের মধ্যেও পিছিয়ে পড়া অনেক নর-নারী ধুঁকে ধুঁকে মরছেন, যারা মানবাধিকার বঞ্চিত এবং সমাজপতিদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন, তাদের খোঁজখবর কেউ রাখে না। বড়ঋষি চাকমা প্রভাবশালী জেএসএস নেতা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান। তার সাথীরা সবাই জেএসএস নেতা এবং অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ক্যাডার লালন করে থাকেন। ফলে সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মুকুলকে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, যা কিছুই করা হোক না কেন, আসামিদের বিচার কে করবে? ‘কল্পনা চাকমা ড্রামা’র শিকার হয়ে লে. ফেরদৌস যে কঠিন পরিস্থিতির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন, সে কথা অবশ্যই জাতির জানা আছে। সার্জেন্ট মুকুল অবসরজীবন নিয়েও সুখে থাকতে পারলেন না। তাকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বা সোর্স আখ্যা দিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা হলো। অথচ বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে। কেন? বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করতে গেলে শুনতে হয় বিভিন্ন সতর্কবাণী- ‘ওরা হলো এলাকার সম্রাট! ওদের নামে মামলা করা চলবে না। যাও- চুপচাপ থাকো। সময় হলে থানায় ডাকা হবে, তখন বলব কী করতে হবে।’ নিহত সার্জেন্ট মুকুলের স্ত্রী ও দুই কন্যা থানায় মামলা করতে গেলে এভাবেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য এর আগেও পাহাড়ে বহু বাঙালি ও উপজাতিকে হত্যা করা হয়েছে। কিছু দিন আগেও বাঘাইছড়িতে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লালথাংগা পাংখুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বড় অপরাধ ছিল, তিনি জুম্মল্যান্ড আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন না। পাংখুদের বাংলাদেশ-প্রেমিক করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতেন। সাজেকের পাংখু অধ্যুষিত এলাকায় চাকমা ও ত্রিপুরাদের ভূমি দখলের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন সোচ্চার। 

এ ছাড়া বাঘাইছড়ি থানার পাকুয়াখালীর গহিন অরণ্যে ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শতাধিক বাঙালি কাঠুরিয়া বা শ্রমিককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এই বাঘাইছড়িতেই নব্বইয়ের দশকে শেল ওয়েল কোম্পানির ছয় বিদেশী প্রকৌশলীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ ২২ কেজি স্বর্ণ এবং এক কোটি রুপি আদায় করেছিল জেএসএস ক্যাডাররা। উপেন্দ্রলাল চাকমার মাধ্যমে সন্তু লারমার কাছে ওই মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দিয়েই বিদেশী প্রকৌশলীদের মুক্ত করতে হয়েছিল (এরশাদের আমলে)। বড়ঋষি চাকমাদের প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে স্থানীয় বাঙালি বা উপজাতি কেউই ধারে-কাছে ভিড়তে পারেন না। যারা জুম্মল্যান্ড চাইবে না, যারা জেএসএস কিংবা ইউপিডিএফ করবে না, যারা চাঁদাবাজি, মুক্তিপণ, গুম-হত্যায় বিশ্বাসী নয় এবং যারা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, তারাই মূলত এসব অপহরণ, গুম, হত্যা, মুক্তিপণ, চাঁদাবাজি, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

অথচ সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের প্রটেকশনের জন্য কিছুই করছে না। উপজাতীয় সামাজিক বিচার, নিজস্ব ব্যাপার, প্রথাগত ভূমি অধিকার, শান্তিচুক্তি ইত্যাদির কথা বলে বরাবরই পার পেয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। রাষ্ট্র যাদের রক্ষাকবচ, তাদের রক্ষায় রাষ্ট্রের মুখ্য ভূমিকা নেই কেন?পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মল্যান্ড আন্দোলনে অনেকের সমর্থন নেই। যারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশপ্রমিক হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, তাদের পাশে জাতিকে সমর্থনের ডালা নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। সম্প্রতি বাঘাইছড়িতেই এক সমাবেশে সন্তু লারমা রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে বলেছেন- ‘জুম্ম জাতির কুলাঙ্গার’। অবশ্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। শান্তিচুক্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে গণহত্যার লাইসেন্স দেননি। হত্যা, খুন, চাঁদাবাজি, গুম, মুক্তিপণ, অপহরণ ও নির্যাতন করলেও তার বিচার করা যাবে না- শান্তিচুক্তির কোনো শর্তে এ ধরনের গ্যারান্টি দেয়া হয়নি।

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জুম্মজাতির দুশমন, দুলা গোষ্ঠী নিপাত যাক, দালাল, সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে বহু বড় বড় উপজাতি নেতাকেও তথাকথিত জুম্ম লিবারেশন আর্মি (শান্তিবাহিনী) হত্যা করেছে। উপজাতি নেতা চাবাই মগ, উরিমোহন ত্রিপুরা, শান্তিময় দেওয়ান, চুনিলাল চাকমা, হেডম্যান বংকিম দেওয়ান, কিনামোহন চাকমা, অনজনা চাকমা, রেমন্ড লুসাই, মেজর পিওরসহ অসংখ্য উপজাতি নেতাকে তারা হত্যা করেছে। অন্য দিকে জুম্মল্যান্ড আন্দোলনের প্রতিপক্ষ হিসেবে ৩৫ হাজার বাঙালিÑ শিশু-কিশোর, নর-নারী, আবালবৃদ্ধবনিতাকে হত্যা করা হয়েছে। কোটি কোটি টাকার ফসল, ঘরবাড়ি, পশুপাখি বধ করেছে খুনি শান্তিবাহিনী। লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার, সাপ্তাহিক পার্বত্য বার্তার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাঙ্গামাটি জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল রশিদসহ জানা-অজানা শত শত বাঙালিকে গুপ্তহত্যা, ব্রাশফায়ার ও টাইমবোমার আঘাতে হত্যা ও পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। এরপরও সরকার তাদের শুধু ছাড়ই দিয়ে চলছে। মনে হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা সরকারেরও নেই। কিন্তু কেন?

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রভৃতির শিক্ষা কী? যারা বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড কেড়ে নিতে চায়, যারা দেশের এক-দশমাংশ ছিনিয়ে নিতে চায়, তারা জাতির বন্ধু হতে পারে না, তারা বাংলার বিভীষণ-গণদুশমন, স্বঘোষিত মীরজাফর ও যুদ্ধাপরাধী। রাঙ্গামাটির পিতৃহারা নমিশা চাকমা ও স্বামীহারা সাধনা চাকমারা ন্যায়বিচার-প্রত্যাশী। তাদের আপনজন সার্জেন্ট মুকুল চাকমা আমাদেরই নিরাপত্তাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক। তাকে হত্যা বা অপহরণকারী বড়ঋষি চাকমা, প্রভাত চাকমা, বিস্তার চাকমা ও কাকলি বাবুরা বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। স্থানীয় সামাজিক বিচারের কথা বলে এ অপরাধকে ধামাচাপা দেয়া যাবে না, খুনিদের আড়াল করা যাবে না। এটি একটি হত্যামামলা। এর অবশ্যই ন্যায়বিচার হতে হবে।

এ ছাড়া বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ করার অপরাধে জেএসএস ক্যাডাররা স্থানীয় উপজাতি নেতাদের অপহরণ করে চলছে। কোথাও সামান্য অপরাধে, খোঁড়াযুক্তিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পাছা পরিষদ) নামধারী ব্যক্তিরা উপজাতি মেয়েদের শাস্তি হিসেবে নিজেরাই বিচার করে নির্যাতন বা জরিমানা করে চলেছে। এর শেষ হবে কবে? দুঃখের বিষয় হলো- পুলিশ যদিও দু-চারজনকে গ্রেফতার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তার বিরুদ্ধে জনসংহতি সমিতি দু-তিন দিন হরতাল ডেকে অন্যায়কারীদের পক্ষ নিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। বান্দরবান, বিলাইছড়ি ও খাগড়াছড়িতে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত ও হাতেনাতে ধৃত জেএসএস এবং ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী ক্যাডারদের মুক্তির দাবিতে তারা মিছিল ও হরতালও করেছে। স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা আওয়ামী ও বিএনপির অনেক পাহাড়ি প্রার্থীকে নমিনেশন ফরম পর্যন্ত জমা দিতে দেয়নি। তাদের অনেককে অপহরণ ও নির্যাতনও করা হয়েছে। অথচ সন্তু বাবুরা বলে যাচ্ছেন, তাদের কোনো অধিকার সরকার দিচ্ছে না। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে পাহাড়ে শান্তির নহর বইতে থাকবে। কী অপরূপ তামাশা!

ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বাঙালিদের মালিকানাধীন চা, আনারস, সেগুনের চারা ইত্যাদি কোটি কোটি টাকার বাগান রাসায়নিক পদার্থ ঢেলে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারও কোনো বিচার হয়নি। বাঙালিরা আজ পাহাড়ে ঘরের মালিক হলেও ভূমির মালিকানা পাচ্ছে না। ভূমি কমিশন আইন ২০১৬ বাঙালিদের বিতাড়নের জন্যই যেন করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে আলাদা কোনো ভূখণ্ড নয়। এটি আমাদের দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমরা বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, পাংখু, লুসাই, বোম, রবিদাস, জলদাস, তনচঙ্গা, মুরং, মনিপুরি, অহমিয়া, গুর্খা ইত্যাদি সব জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়, বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী সবাই মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান প্রথাগত ভূমি অধিকার কিংবা নিজস্ব সামাজিক বিচার-আচার, আইন-সালিস ইত্যাদির অজুহাত দেখিয়ে কাউকে অপহরণ বা হত্যা করে আইনের হাত থেকে ছুটে যাওয়ার কোনো উপায় বাংলাদেশের সংবিধানে নেই; পাহাড়েও নেই। বড়ঋষি বাবুরা বাঘাইছড়ির সম্রাট(?) হলেও যাদের কাছে আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে, তাদের উচিত আইনের গতিতে নিজেদের গতিশীল করে তোলা। ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর মূলমন্ত্র। কিন্তু বাঘাইছড়ি থানা কর্তৃপক্ষ সার্জেন্ট মুকুল চাকমাকে অপহরণ ও হত্যার পর এক মাসেরও বেশি সময় তার পরিবারকে ঘুরিয়েছে। সামান্য একটি জিডি নিতেও পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেয়া হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের পুলিশবাহিনীকে এ ব্যাপারে আরো বেশি সাহসী ভূমিকা রাখার আবেদন জানাই।

পার্বত্য চট্টগ্রামের দেশপ্রেমিক উপজাতিদের হত্যাসহ সব রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনে রাষ্ট্রপক্ষ যেন আরো সজাগ হয়, সাহসী হয়, সংবিধানরক্ষক হয়, অসহায় উপজাতি নর-নারীর পাশে দাঁড়ায়, পাহাড়ে মানবাধিকার চর্চা যেন আরো জোরদার হয়- আমরা সেই প্রত্যাশা করছি। আমরা মনে করি, উপজাতি নেতাদের কথায় নয়, উপজাতি জনগণের মানবাধিকার রক্ষার মাধ্যমেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক : মো: মনিরুজ্জামান মনির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন এবং সাবেক ডেপুটি কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট, রাঙ্গামাটি
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]