রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭

রোহিঙ্গাদের সাথে দেশদ্রোহী উপজাতিদের তুলনা হতে পারে না।

জাতীয়তা পরিচয়হীন দেশহীন নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় রোহিঙ্গাদের সাথে কোনো ক্রমেই বাংলাদেশেরর পার্বত্য চট্টগ্রামের চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, বাংলাদেশ বিরোধী দেশদ্রোহী উপজাতিদের তুলনা হতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই পার্বত্য ৩টি জেলার উপজাতিরা একজন বাঙালির মত পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা ও কোটা ভিত্তিক বাধ্যতামূলক সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, ডিসি, এসপি সবই হচ্ছে উপজাতিরা। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান প্রণয়নের পাক্কালে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গুরু মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বঙ্গবন্ধুর কাছে দাবি জানালো বাংলাদেশকে ফেডারেল রাষ্ট্র করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মাল্যান্ড নামক স্বায়ত্তশাসীত প্রদেশ করতে। অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চাকমা রাজা সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতিররা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে।
আসলে এরা প্রথম থেকেই ছিল বাংলাদেশ বিরোধী গোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধু তার সেই দাবি মানে নি। তাছাড়া সংবিধান প্রণয়নে পর আরো এক সমস্যা দেখা দেয় তা হল বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ। যেখানে তখন পাহাড়ের ৪ লাখ উপজাতি বাংলাদেশকেই মেনে নিতে পারে না সেখানে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ মানার প্রশ্নই আসে না। অথচ বাঙ্গালি জাতি আর বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ এক বিষয় না। কিন্তু তারপরও এর জন্য তারা কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে নি। সোজা ভারতে গিয়ে তৈরী করলো জেএসএস তথা শান্তিবাহিনীর।শান্তিবাহিনীর হেড কোয়াটার তখন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেই ছিল। ভারত শান্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করে তুলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে উপজাতিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। পুলিশ ও বিজিবির ওপর আক্রমণ শুরু করলো শান্তিবাহিনী। এরপর সরকার দেশের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আস্তে আস্তে পাহাড়ে সেনা মোতায়েন শুরু করলো। শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামের সারকারি খাস ভূমিতে প্রায় ৩১ হাজার ৬শ ২০ পরিবার বাঙ্গালিকে পুনর্বাসন করেন। তখন উপজাতি জঙ্গিরা জুম্মাল্যান্ড গঠনে প্রধান বাধা মনে করতো বাঙ্গালিদের। তাই তারা গনহত্যা চালাতে থাকে বাঙ্গালি মুসলিমদের ওপর। একের পর এক হত্যা করলো শত শত বাঙ্গালিকে।

অথচ আজ দেখি পাহাড়ের সন্ত্রাস ও অশান্তির সৃষ্টিকারীরা নিজেদের রোহিঙ্গাদের সাথে তুলনা করে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা বললে তারা নিজেদের নির্যাতিত বলে চিল্লাচিল্লি করে। অথচ কোথায় রোহিঙ্গা আর কোথায় উপজাতি জঙ্গি জানোয়ারা। যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই উপজাতিরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং সর্বক্ষেত্রে কোটা ভিত্তিক বাধ্যতামূলক সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আসছে সেখানে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নাগরিকত্ব পাওয়া ত দূরের কথা একের পর এক রোহিঙ্গাদের ওপর গনহত্যা চালিয়ে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করতে থাকে মিয়ানমার সরকার। বাংলাদেশে বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতিগোষ্ঠী এবং ২০ বছর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেও উপজাতিরা বাংলাদেশে রাজার হালে আর মিয়ানমারকে নিজেদের মাতৃভূমি মনে করেও রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সরকার দ্বারা হত্যা গণহত্যা স্বীকার।

[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]