শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতের নতুন ষড়যন্ত্র

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভারতের নতুন ষড়যন্ত্র ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাকে পূর্ব বাংলা তথা পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, কিন্তু তা না মেনে রাঙ্গামাটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করে চাকমারা, এরপর ১৭ই আগস্ট পাকিস্তানের বেলুচ রেজিমেন্টের সেনারা রাঙ্গামাটি থেকে ভারতের পতাকা নামিয়ে পাকিস্তানের পতাকা উড়ান। এখন ভারত চাকমাদের দিয়ে গতবছর থেকে এই দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করায়, আর তা ফলাও করে প্রচার করে ভারতের সকল মিডিয়া।তারা ভারতীয়দের দেখায় দেখ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম টা ১৯৪৭ সালে ভারতের হওয়ার কথা ছিল। আচ্ছা তাহলে দেশ ভাগের সময় নদীয়া, মুর্শিদাবাদ পূর্ব বাংলার অংশ হয় এরপর ১৭ ই আগস্ট ভারত তা দখল করে এবং আসামেন বাঙালি মুসলিম অধ্যুষিত জেলা করিমগঞ্জ গনভোটে বর্তমান বাংলাদেশ তথা পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়, কিন্তু রেডক্লিফ করিমগঞ্জ ভারতকে দিয়ে দেন তাহলে এখন কি ভারত করিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার মানুষেদর কালো দিবস পালন করতে দিবেন?
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পূর্ণ ভাবে বর্তমান বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল ছিল, আসামের সাথে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সেই সময় পূর্ব বাংলা ও পাকিস্তান অংশ হয়, সেই দেশভাগের সময় পরগানা, মলদা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর সম্পূর্ণ মুসলিম বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও ভারতের অন্তর্ভূত হয়। এগুলো কালো কাজ হয় নি? তখন যদি পরগানা,মালদা,মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর দিনাজপুর, করিমগঞ্জ, কাছাড়, ধূবড়ি জেলা আমাদের অংশ হত আর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের হত তাহলে আখের লাভ তখন আমাদের তথা বর্তমান বাংলাদেশরই হত, তাছাড়া তখন কথা ছিল বাংলা ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা হবে, কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে পশ্চিম বাংলার সংযোগ ছিল না। আসলে ভারত আজও পার্বত্য চট্টগ্রাম কে নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখে, তাই তারা নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শান্তিবাহিনী গঠন করে ভারত চেয়েছিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল নিতে, আজও ভারত সেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]